"খেজুর পাকানোর দুটি ঘরোয়া টিপস"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?ভ্যাপসা গরমে নিশ্চয়ই সবাই অনেক চিন্তায় আছেন।ভাবছেন কখন বৃষ্টি নামবে আর আমাদের গরমের হাত থেকে রেহাই দেবে!কিন্তু বৃষ্টি যেন কোথায় হারিয়ে গেছে।তবুও আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থই আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।প্রতিনিয়তই তো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোষ্ট করা হয়।যেমন-কবিতা, রেসিপি, ফটোগ্রাফি, diy নয়তো কোনো অঙ্কন নিয়ে।তাই আজ ভাবলাম ভিন্ন কিছু শেয়ার করবো।আজ আমি খেজুর পাকানোর দুটি ঘরোয়া টিপস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।

IMG_20230531_062654.jpg

চলছে গ্রীষ্মকাল।প্রতিনিয়ত তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্রতা।যেটা মানুষ ও যেকোনো প্রাণীর কাছে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ছে।মানুষ শীতকাল,বসন্তকাল ও বর্ষাকাল পছন্দ করেন কিন্তু এই ভ্যাপসা গরমকাল কেউ পছন্দ করেন না।কিন্তু দেখুন, গরমকাল যতই বিরক্তিকর হোক না কেন হরেক রকমের সুন্দর সুন্দর ফল এই সিজনেই পাওয়া যায়।আম,কাঁঠাল,তাল,জাম,খেজুর, লিচু কত যে বাহারী ফল তার ইয়ত্তা নেই।প্রতিদিন যেন এই সুন্দর সুন্দর ফল পাকানোর জন্যই খরার উদ্ভব হচ্ছে।যাইহোক এখন খেজুর পাক ধরেছে আর এটা খেতে অনেক মজাদার ।যারা গ্রামে বাস করেন তারা নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে খেজুর পাকানো হয়।কিন্তু যারা ছোটবেলা থেকেই শহুরে বাস করে এসেছেন তাদের জন্যই এটা নতুন কিছু হবে। আমার আজকের আয়োজন শহুরে থাকা সেইসব মানুষের জন্য।অনেকেই দূর- দুরন্ত থেকে একমুঠো খেজুর পেড়ে বাড়ি নিয়ে যান কিন্তু পাকানোর অভাবে খাওয়া হয় না।আমি এখানে প্রথম টিপসটি অবলম্বন করেছি। আমার তোলা কিছু খেজুর পাকানোর ছবি শেয়ার করলাম ধাপে ধাপে।গতদিন নেট স্লো ছিল তাই ছবি আপলোড করতে পারিনি তাই সকালেই করে দিলাম।যাইহোক তো চলুন পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যাক---

খেজুর পাকানোর দুটি ঘরোয়া টিপস:

প্রথমত,
যখনই খেজুর কাধিতে দুই একটি করে পাক ধরবে তখনই কাধিসহ খেজুর কেটে আনতে হবে।তারপর একটা চটের বস্তায় সেগুলো ভরে বস্তার মুখ বেঁধে রোদে দিতে হবে।সূর্যের তাপে বস্তা গরম হয়ে খেজুর পাক ধরে যাবে।তারপর সেটা সারারাত ধরে অপেক্ষার পর পরের দিন সকালে বস্তার মুখ খুলতে হবে ।দেখবেন কত খেজুর পেকে টইটুম্বুর হয়ে গেছে।

IMG_20230531_062545.jpg

IMG_20230531_062609.jpg

IMG_20230531_062715.jpg

দ্বিতীয়ত,
ছোটবেলায় দেখতাম আমার সেজো জ্যাঠামসাই যখনই খেজুর কাধিতে দুই একটি করে পাক ধরতো ঠিক তখনই কাধী কাটতো।তারপর পুকুরের মধ্যে একটি খোটা পুঁতে তাতে খেজুরের কাধী বেঁধে রাখতো।যেগুলো সম্পূর্ণ ডুবন্ত অবস্থায় রাখা হতো।পরদিন সকালে দেখা যেত অনেক খেজুর খুব তাড়াতাড়ি সেই কাধিগুলোতে পেকে গেছে।কিন্তু এই পদ্ধতিতে খেজুরের মিষ্টি স্বাদ অনেকখানি কমে যায়।যদিও খেজুরের গা লাল টুকটুকেই হয়ে থাকে।তো এই ছিল খেজুর পাকানোর আমার দুটি ঘরোয়া টিপস।

আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸

অভিবাদন্তে: @green015

Sort:  
 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু গরমকাল গরমে অতিষ্ঠ হতে হয় আবার অন্যদিকে গরম কালে কিন্তু মজার মজার ফল খাওয়া যায়। আর এরকম খেজুর খেতে খুব ভালো লাগে কতদিন হয়ে গেছে খেজুরগুলো খাই না আপনার খেজুরগুলো দেখে তো আমার লোভ লাগছে আপু। খেজুর পাকানোর দারুন দুটো টিপস আপনার কাছ থেকে শিখলাম। যদিও কোনদিন এই কাজটা আমি করবো না তারপরও শিখে রাখতে দোষ কি। গরমে খেজুর পাকে আবার পানির ভিতর রেখে দিলে পাকে ভালোতো আইডিয়াটা।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু,শেখার কোনো শেষ নেই।ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্য।

 2 years ago 

গরমের সময় মানেই ভালো ভালো ফল খাওয়ার মরসুম।এই সময় অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায় তাই একটু গরম সহ্য করে ভালো ভালো ফল খাওয়ার মজাই আলাদা।আমাদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা খেজুরের গাছ আছে।আমরা কখনো খেজুর পেরে খাইনি রাস্তার ধারে হওয়াতে গ্রামের বাচ্চারা ছোট থাকতেই সব খেয়ে ফেলে।আর এভাবে যে খেজুর পাকানো হয় তাও জানা ছিলো না।আজকে নতুন একটি পদ্ধতি জানতে পারলাম তোমার পোস্টের মাধ্যমে।অনেক সুন্দর একটি প্রয়োজনীয় টিপসের পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মামনি।❤️

 2 years ago 

এইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখবেন আন্টি।খেজুর খেতে অনেক মজার, ধন্যবাদ আপনাকে😊।

 2 years ago 

আপু, গরমের তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে মানুষের জীবন যেন অতিষ্ট হয়ে গেছে। আর এই ভ্যাপসা গরম আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনা। মনে হয় সারাদিন বরফের পানিতে নিজেকে ডুবিয়ে রাখি। আগে এক সময় রাস্তাঘাটে কিংবা মানুষের বাড়িতেও খেজুরের গাছগুলো চোখে পড়তো। তবে ইদানিং কেন যেন কোথাও খেজুরের গাছ একদমই দেখতে পাই না। বিশেষ করে শহরগুলোতে খেজুরের গাছ একদম নেই বললেই চলে। যাই হোক আপু আজ আপনি খেজুর পাকানোর দুটি ঘরোয়া টিপস দিয়েছেন যা অনেকেরই কাজে লাগবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য।

 2 years ago 

খেজুর গাছগুলো দিন দিন বিলুপ্তির পথে।কারন গাছ কাটা গাছিরা হারিয়ে যাচ্ছে, ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.11
TRX 0.23
JST 0.030
BTC 78970.83
ETH 1568.45
USDT 1.00
SBD 0.65