দার্জিলিং ম্যালের সৌন্দর্য্য
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সিকিম এবং দার্জিলিং ভ্রমণের নতুন পর্ব শেয়ার করব। গত পর্বে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ক্যালিংপং এর তিনচুলে চা বাগানের সৌন্দর্য্য। সেখান থেকে আমরা সরাসরি চলে এসেছিলাম দার্জিলিং। দার্জিলিং পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের দুপুর হয়ে গিয়েছিল। হোটেলের চেক ইন করে আমরা চলে গিয়েছিলাম খাবার খাওয়ার জন্য। খুঁজে খুঁজে মুসলিম হোটেল বের করে বাচ্চাদেরকে মাংস খাওয়ালাম। সিকিম এ আমরা মাংস খাইনি। কারণ মুসলিম হোটেল খুঁজে পাইনি। দার্জিলিং এ বেশ কয়েকটি মুসলিম হোটেল রয়েছে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে বৃষ্টি হচ্ছিল জন্যই আমরা আবার হোটেলে চলে আসি। সন্ধ্যার পরে এবং পরদিন সকালে আমরা বাইরে বের হয়েছিলাম ম্যালের সৌন্দর্য্য দেখার জন্য।
ম্যাল বা মল রোড। এটি দার্জিলিংয়ের প্রাণকেন্দ্র। দার্জিলিং এর ঐতিহ্যবাহী জায়গার মধ্যে এটি একটি। এখানে শপিং এর রাজ্য বলা হয়। অসংখ্য দোকান রয়েছে এখানে। বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এই রাস্তা দিয়ে সোজা উপরে উঠে গেলে চৌরাস্তা পৌঁছানো যায়। চার রাস্তার মিলনস্থান এখানে। এই জায়গাটির দার্জিলিংয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। তাছাড়া রাতের বেলায় দার্জিলিং এ ঘুরতে গিয়ে করার তেমন কিছু থাকে না জন্যই রাতের বেলায় সবাই এখানে এসে মিলিত হয়। বিশাল বড় একটি জায়গা। এখানে রাতের বেলা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তাছাড়া দিনের বেলায় এখানে ঘোড়ায় চড়া যায়।
খুব সকালবেলায় উঠলে এখানকার দোকানপাট গুলো বন্ধ থাকে। তখনকার পরিবেশটা খুব নিরিবিলি এবং সুন্দর থাকে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানের সব দোকানগুলো খুলে যায় এবং লোকজনের সমাগমও বাড়তে থাকে। তখন হাঁটাচলা করা কষ্টকর হয়ে যায়। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টও রয়েছে।
এটি হলো রাতে চৌরাস্তার সৌন্দর্য্য। এখানে কিছু লোক গান গেয়ে চ্যারিটির জন্য টাকা তুলছিল। সবাই সেই গানের তালে তালে খুব সুন্দর নাচছিল। দিনের বেলায় এই চৌরাস্তার একরকম সৌন্দর্য্য দেখা যায় এবং রাতের বেলায় এর সৌন্দর্য্য একেবারেই অন্যরকম।
আমাদের হোটেলটি এদিকে ছিল জন্য আমরা রাতের এবং দিনের অনেক সময় এখানে কাটিয়েছিলাম। খুবই সুন্দর একটি জায়গা।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

দার্জিলিং এ ভ্রমণ করতে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেয়েছি আপনার মাধ্যমে। যেহেতু মুসলিম হোটেল খুঁজে পেলেন বাচ্চাদেরকে মাংস খাওয়াতে পারলেন সেটা ভালো লাগের বিষয়। কারণ বিদেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে নিজের মত খাবার গুলো খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর। যাক অবশেষে ম্যালের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছি। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার মাধ্যমে খুব সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পেয়েছি।
অনেকদিন পর বাচ্চারা মাংস খেতে পেরে খুবই খুশি হয়েছিল। বাচ্চাদের কথা আর কি বলব আমারই নিজেরই খুব ভালো লেগেছিল মাংস খেয়ে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দার্জিলিং যাওয়ার কথা থাকলেও এবার শুধু কালিম্পং থেকেই ঘুরে চলে আসতে হয়েছে। তবে আপনার লেখা গুলো পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে মোটামুটি ভালো একটা আইডিয়া হল আপু। কখনো যদি যাই তাহলে এই ম্যাল রোড টা মিলিয়ে দেখব আপনার লেখার সাথে কেমন। আর জায়গাটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল সবাই কেন এখানে আড্ডা দিতে আসে। বেশ ভালো লাগলো দেখে।
এই জায়গাটা আসলেই খুব চমৎকার। এজন্য এখানে সবাই আড্ডা দেয়।
আপনার ঘোরাঘুরি মুহূর্ত পরে বেশ ভালো লাগলো। তবে আরও বেশি ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। প্রত্যেকটা জায়গা দেখার মতো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু এখানকার প্রত্যেকটি জায়গা দেখার মত। ধন্যবাদ পোস্টটি দেখে মন্তব্য করার জন্য।
আপু ম্যালের সৌন্দর্য্য দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ। জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর। আশে পাশে কয়েকটি দোকান বন্ধ দেখলাম। বিশাল বড় জায়গা,এমন জাগায় সময় কাটাতে পারলে মন খুব তারাতারি ফ্রেশ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম জায়গায় সময় কাটালে নিজেকে খুব ফ্রেশ মনে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।