নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি||
||আজ-১১ই,ফাল্গুন||১৪২৯বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল||
আসসালামুআলাইকুম/আদব।
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হলাম। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটিও আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে বিকেলে আব্বুর সাথে বাজারে গিয়েছিলাম নিজের কিছু কেনাকাটা করার জন্য।তার সাথে বাসার জন্যও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিল আব্বু।নিত্য প্রয়োজনীয় এসকল দ্রব্যের দাম বেশ বেড়েছে এটা আমাদের কারও অজানা নয়।আমিও জানতাম জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কিন্তু এতটা বেড়েছে,আজ সামনে থেকে দেখতে পেয়ে অনেকটাই অবাক হলাম।যখন আব্বু এগুলো নিয়ে দাম দিচ্ছিল,এক কেজি ছোলা ৯০ টাকা, তীর লবণ তিন কেজি ১১৫ টাকা, ফাস্টওয়াশ ডিটারজেন্ট ১৫০ টাকা এক কেজি,বুটের ডাল ১ কেজি ৭৫ টাকা,মসুর ডাল ৫০০ গ্রাম ৬৫ টাকা। যেখানে এগুলোর দাম আগে প্রায় এই মূল্যের অর্ধেক ছিল।এভাবে দিন দিন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের দিন দিন আরও কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
আমাদের বাসায় সোয়াবিন তেল খাওয়া বাদ দেওয়া হয়েছে প্রায় তিন বছর মতো।শুধুমাত্র ডিম ভাজতে এবং হঠাৎ কোনো রান্নায় সোয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়।তাছাড়া সরিষার তেল রান্নায় ব্যবহার করে থাকি আমরা।সোয়াবিন তেল এ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এর মাত্রার আধিক্য অনেক বেশি থাকে, যা হৃদরোগ,রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।অন্যদিকে সরিষার তেল এ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এর মাত্রার আধিক্য কম থাকে যার ফলে এই তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।এজন্য আমাদের বাসার ২-৩ মাসের জন্য ঘানিভাঙা খাঁটি সরিষার তেল একবারে আনা হয়।যদিও আমি মিলে যায়নি,আব্বু নিয়ে এসেছিল।প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কেনাকাটা করে আমি বাসায় ফিরে এসেছিলাম।তারপর আব্বু মিল থেকে ঘানিভাঙা খাঁটি সরিষার তেল নিয়ে এসেছিল।আমাদের পাশের গ্রামের বাজার থেকে এই তেল আনা হয়।একবারে বসে থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে আসেন আব্বু প্রতিবার,সামনে বসে থেকে না ভাঙিয়ে আনলে আবার ভেজাল মেশানোর ঝুঁকি থাকে।দুই ঘণ্টা মতো সময় লেগে গিয়েছিল সরিষার তেল ভাঙিয়ে আনতে আব্বুর।১০ লিটার ঘানিভাঙা খাঁটি সরিষার তেল নিতে নাকি মোট ২১০০ টাকা লেগেছিল।আমি সরিষার তেলের দাম শুনে অবাক হলাম আরও একবার।আগে এই তেল ৫ লিটার ছিল ৬০০-৭০০ টাকার মধ্যে।আজ বিকেল থেকেই এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুলার ঊর্ধ্বগতি দেখে আমি হতবাক।এভাবে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকলে আগামীতে কি হবে সেটাই ভাবছি। আপনাদেরও কি আমার মতো অবস্থা বন্ধুরা অবশ্যই কমেন্ট জানাবেন কিন্তু।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যাবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
লোকেশন | সুলতানপুর,রাজবাড়ী |
তারিখ | ২৪-০২-২০২৩ |
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। আসলে বাজারে গেলেই সেই চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। সয়াবিন তেলের চেয়ে সরিষার তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যদিও সরিষার তেল খুব একটা খাওয়া হয় না। এখন থেকে চেষ্টা করে দেখতে হবে। যাইহোক আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু বাজারে যান না তাই ধারণা নেই কিন্তু যারা নিয়মিত বাজারে যান তারাই জানে যে উর্ধ গতি কেমন হারে বেড়েছে সত্যিই সবকিছু ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন। আপনি যে দামের বর্ণনা দিয়েছেন সেগুলো আগে থেকে দুই/ তিনগুণ বাড়তি নিচ্ছে। আপনার আব্বুর সাথে বাজারে গিয়ে বেশ সুন্দর একটি আইডিয়া হল এবং আমাদের সাথে সেই আইডিয়াটি শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু।
দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। যারা বাজার করে তারাই বুঝতে পারে জিনিসপত্রের দাম কি হারে বাড়ছে। যদিও আমি মাঝে মাঝে বাজার করতে যায়। আমাদের বাড়িতেও সরিষার তেল খায়। আপনার বাবার সাথে যেয়ে বাজার করার অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু, আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আমাদের মতোন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের অবস্থা একেবারে করুন। প্রত্যেকটি জিনিসের অতিরিক্ত দাম । আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক গুণ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে জীবন এবং জীবিকা নির্বাহ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনি তো দুই বোতল সরিষার তেল কিনেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া।
দিন দিন সব কিছুর দাম বেড়েই চলেছে।মানুষ কিভাবে বাঁচবে তাই ভাবছি।আমিও সরিষার তেল দিয়ে রান্না করি।কিন্তু শেষ হওয়ার পর বাড়ি থেকে আর আনা হয়নি। সরিষা তেল নিজেরা ভাঙিয়ে নিলে খুব ভাল হয়।আপনি বেশকিছু জিনিসের বর্তমান বাজারদর আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু।
সারাদেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ক্রাইসিস দেখে সত্যিই সকল মানুষ হতাশাগ্রস্ত। আপনি আজকে বাংলাদেশের দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি বিস্তারিত আলোচনা সাথে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আর এই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে জনসাধারণ, যারা দিন আনে দিন খান তাদের জন্য হয়ে গেছে বিশেষ দুর্ভোগ। বাজারে যত টাকায় নিয়ে যাওয়া হতো না কেন অল্প কিছুতেই ফুরিয়ে যায় কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে ওঠে না সম্পূর্ণ।
বাংলাদেশে এর আগেও তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি হয়েছিল বেশ কিছু দিন আগে, কার জানো একটা পোস্টে পড়েছিলাম এই বিষয় নিয়ে। তবে এটা সত্যি কথা যে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি হলে নিম্নবিত্ত পরিবারদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। কারণ আপনি যে দামগুলো এখানে লিখেছেন সেগুলো আসলেই অনেকটাই বেশি, যেটা সাধারণ মানুষ এর নিয়মিত কিনে খেতে গেলে যথেষ্ট কষ্ট হবে।
জি ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।