দৈনন্দিন জীবন ^|
হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।মাঝে কিছু সময় নিজের কিছু কারণে নিয়মিত পোস্ট করতে পারি নাই।তবে আবার নিয়মিত শুরু করে ছিলাম।কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে আবার নানান ঝামেলায় জড়িয়ে যাই। পরিবারের একমাত্র ছেলে বলে হয়ত দায়িত্বগুলোও বেশি । গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার আমি ময়মনসিংহ যাই। আবার ঢাকা আসি রবিবার।এর মাঝে খুবই বেস্ত ছিলাম ।আর ছিল সেই পরিমাণে গরম। গরমে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে আর ঠান্ডা পানি খেতে খেতে বেশ ভালোই সর্দি লেগে গেছে। ঢাকা আসার পর বাসায় এসে গোসল করে আবার ভার্সিটির দিকে রওনা দেই । মানে কোন বিশ্রামের সুযোগই পাই নি। মাঝে আবার শনিবারের ক্লাস মিস দিয়েছি কাজের কারণে।এত ব্যস্ততার মাঝে সময় করে উঠতেই পারিনি যে পোষ্ট করতে হবে। কালকে আবার ময়মনসিংহ যেতে হবে ।
আজ কি যে পোস্ট করবো তাই বুজতেছি না । মন মেজাজও তেমন ভালো নেই । কাজের এবং ভার্সিটির চাপে সময় করে উঠতে পারতেছি না। সাথে আছে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম এবং গরম। দুইয়ে মিলে জীবন পুরো দূর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নতুন বাজার থেকে আমাদের ভার্সিটি যাওয়ার রাস্তায় ঢাকা ওয়াছা কাজ শুরু করেছে। যেখানে আগে সাধারণত ১৫/২০ মিনিট সময় লাগত , সেখানে এখন প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই রাস্তার উপরও যদি ফ্লাইওভার থাকতো , তাহলে খুব দ্রুতই ভার্সিটি চলে যেতাম।
আজকে সকাল থেকেই প্রায় সব রাস্তায় অনেক জ্যাম ।আমার বন্ধুর বাসা ধানমন্ডি।ওর প্রায় ১.৫/২ ঘণ্টা সময় লাগে ভার্সিটি আসতে।কিন্তু আজকে আমাদের সকাল ১০ টার ক্লাসে প্রায় শেষে এসেছে ।সে বললো সে নাকি সকাল ৮ টায় বের হয়েছে।ওর আজকে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে আসতে।আজ আমাদের দ্বিতীয় ক্লাস ছিল ১২.৩০ এ।কিন্তু স্যারের কোন সমস্যার কারণে উনি আজকে ক্লাস নিতে পারবেনা বলে আমাদের সকাল ১১ টার দিকেই মেইল করে জানিয়ে দেয়।তাই অনেকদিন পর আজকে আমরা আমাদের গেমস্ রুমে যাই ক্যারাম খেলতে।আমি মনে হয় প্রায় ৭/৮ মাস পর আজকে ক্যারাম খেললাম। প্রথম প্রথম খুব মিস করলেও একটু পর মোটামুটি খেলতে শুরু করি।আমি যে খুব ভালো ক্যারাম পারি তেমন না।কিন্তু সবার সাথে খেলতে পারবো ততটুকু পারি।
ঘণ্টা খানেক খেলার পর সবাই ক্যান্টিনে গিয়ে হালকা সিঙ্গারা, চা এইগুলো খাই।তারপর সবাই বসে আড্ডা দেই।সেই সময় আমাদের এক বন্ধু বলে , চল নয় তালায় যাই , ঐখানে বেশ অনেক বাতাস। তার কথা শুনে সবাই চলে যাই নয় নাম্বার ফ্লোরে। এইখানে আসলেই বেশ অনেক বাতাস ছিল ।বসে , আড্ডা দিয়েও বেশ মজা পাই। খানেক সময় আড্ডা দিয়ে সবাই আবার বাসার দিকে রওনা দেই।বাসায় আসার সময় আজকে এত জ্যাম ছিল যে মেজাজ আজকে খুব বাজে হয়ে গেসিলো। বাসে বসে বসে মোবাইল দেখা ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না। একসময় আর মোবাইল দেখতেই ভালো লাগছিল না।কি আর করার ঢাকার নিত্যদিনের ব্যাস্তময় জীবন হয়ত এমনই।অনেক জ্যাম ঠেলে বাসায় এসে খেয়ে যে বিছানায় শুইয়ে পরি, ঠিক তখনই কারেন্ট চলে যায়। আজকে হয়ত দিনটাই ভালো ছিল না ।আর ইদানিং যা লোডশেডিং হচ্ছে বলার বাইরে। হয়ত দেশের এখন দেশের ক্রান্তিকাল চলছে তাই কিছুদিনের জন্য এই পরিস্থিতি মেনে নিতেই হবে।আসা করি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।
সবাই ভালো থাকবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি আরাফাত হাসান সৌনক। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টেরএকজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি।আমি আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.