আমার স্টিমিট ক্যারিয়ারের রেকর্ড ভেঙে দিল ঘূর্ণি ঝড় রেমাল

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার স্টিমিট ক্যারিয়ারের রেকর্ড ভেঙে দিল ঘূর্ণি ঝড় রেমাল। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া দাওয়া শেষ করেছিলাম,তারপরে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যেহেতু আর অল্প কিছুদিন বাকি আছে পরীক্ষার, তাই কোচিংয়ে সব রিভিশন চলছে প্রত্যেকটা সাবজেক্ট। আজকে কোচিং এ আইসিটি এবং ইংলিশ পরীক্ষা ছিল আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো পরীক্ষা হয়েছে। কোচিং শেষ করে বাড়িতে এসেছি আজকে বাড়ির পাশে একটা কাকার মেয়ের বিয়ে সেখানে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। বর যাত্রীদের খাওয়া দাওয়া শেষ করিয়ে দিয়ে আমিও খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছি তারপরে পোস্ট রাখা শুরু করেছি। আসলে বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই প্রত্যেকটা মানুষের জীবন গরমে বেশ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বাড়ি থেকে চেয়ার বের করে বাইরে এসেছি একটি বাগানের মধ্যে বসেই পোস্ট লেখা শুরু করেছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

বাংলাদেশের মূলত গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিন সন্ধ্যায় আমাদের কমিউনিটির উন্মুক্ত হ্যাংআউট ছিল। আসলে সন্ধ্যায় আমার মোবাইলে বেশ ভালোই চার্জ ছিল। হ্যাংআউটে জয়েন করার পরে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেশ ভালো আলোচনা শুনেছিলাম। আমাদের এলাকায় সেই দিন রাত বারোটার পর থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা গিয়েছিল। তখন আমার মোবাইল ফোনে চার্জ ছিল প্রায় ৭৩%। আসলে অনেক রাত জেগে লেখাপড়া করতে হয় যেহেতু আর অল্প কয়েকদিন পরেই পরীক্ষা। রাত বারোটার পরে আমাদের এলাকায় কারেন্ট চলে গিয়েছিল তখন আমি আমার মোবাইল ফোন সাথে নিয়ে একটু বাইরে বের হয়েছিলাম আম কোড়ানোর জন্য। আসলে বাইরে যেখানে আম কুড়াতে এসেছিলাম সেখানে একটি গাছ ভেঙে গিয়েছিল তাই ভয়ে আমি বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে বেশ কিছু সময় মোবাইল টিপাটিপি করে শুয়ে পড়েছিলাম। সেই দিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পানির প্রভাব দেখা গিয়েছিল আমাদের এলাকায়।

সকালবেলায় আমি ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখি আমাদের এলাকায় প্রবল বেগে পানি এবং ঝড় হয়ে চলেছে। আমি ভেবেছিলাম সেই দিন সকাল সকাল পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। সকালবেলায় বেশ কিছু সময় আপনাদের মাঝে প্রথমে কমেন্টে যুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে বেশ কিছু সময় প্রত্যেকের সাথে জেনারেল চারটে আড্ডা দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কিছু সময় পরে পোস্ট শেয়ার করব। সকালবেলায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে দেখি আমার মোবাইল ফোন চার্জ সীমিত। ভাবলাম মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার মতো কোন ব্যবস্থা নেই যেহেতু কারেন্ট ছিল না। মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে আমি যখন নেটওয়ার্ক অন করেছিলাম তখন দেখি আমার মোবাইলে আর কোন নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করছে না। আমার মোবাইলে দুইটা সিম নোইন্টারনেট কানেকশন দেখা দিচ্ছিল। আমাদের গ্রামের মোবাইল ফোনের টাওয়ার রয়েছে আমি সেখানে ছাতি মাথায় দিয়ে গিয়ে পোস্ট লেখার চেষ্টা করেছি কিন্তু নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সেখান থেকে বাড়িতে আসতে আসতেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর কোন চার্জ ছিল না।

বাড়িতে এসে আমি আমার ল্যাপটপ দিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ দিয়েছিলাম। তারপরে বাইক নিয়ে ছাতি মাথায় দিয়ে বেশ কিছু এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছিলাম যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবে সেখানেই বসে পোস্ট শেয়ার করব। কিন্তু আমাদের এলাকায় কোথায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পেয়েছিল না। পরবর্তীতে আমি আমাদের গ্রাম থেকে একটু দূরে টাওয়ারের কাছে গিয়েছিলাম সেখানেও মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না। সব মিলিয়ে সেই দিন পোস্ট লেখার জন্য বেশ কষ্ট করেছিলাম। তাও পোস্ট আপনাদের মাঝে সাবমিট করতে পেরেছিলাম না। পোস্ট আমি সম্পূর্ণ হাতে লিখে ছিলাম নোটপ্যাডে। কিন্তু ছবিগুলো আপলোড করতে পেরেছিলাম না এবং পোস্ট সাবমিট করতে পেরেছিলাম না। আসলে আমার স্টিমিটে জার্নি শুরুর পর থেকে আমি একমাত্র ঘূর্ণিঝড়ের দিন শুধুমাত্র পোস্ট করতে পারিনি আসলে বেশ খারাপ লেগেছিল আমার কাছে। ঘূর্ণিঝড়ের দিনের সেই অভিজ্ঞতা আলোকে আজকের এই পোস্টটি লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের মাঝে সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।