পুকুর পাড়ে মুলা চাষ || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - শুক্রবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার মুলা চাষ নিয়ে। বিস্তারিত আলোচনা থাকবে মুলা চাষ নিয়ে। আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে বিস্তারিত পড়বেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
শাক সবজি ফটোগ্রাফি
সবজি তৈরি করতে আমি খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে শীতকালীন শাকসবজি গুলো। কারণ এই সময়ে অনেক প্রকার সবজি চাষ করা সম্ভব হয়। তবে বর্তমান বাজারের চিন্তা মাথায় রেখেই দুই বন্ধু মিলে সবজির চাষ করা শুরু করেছিলাম। তবে আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি এখানে শুধু আমি নিজেই একাই মুলা চাষ করেছি। একদম প্রথম পর্যায়ে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যখন কার্যক্রম শুরু করি। সেই থেকে এই পর্যন্ত কত সুন্দর মুলা গাছ হয়ে গেছে, যা নিজের কাছেই ভালো লাগছে দেখে। হ্যাঁ বন্ধুরা বিশেষ বিশেষ সময় এর ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আশা করি আমার এই শাকসবজি আপনাদেরকে উৎসাহ প্রদান করবে নতুন কিছু উৎপাদন করার ক্ষেত্রে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করছেন একটি বাস রয়েছে। ওটাও আমি লাগিয়েছিলাম একটি বাসের ঝাড় বানানোর জন্য। আর যে স্থানটি নির্বাচন করেছি এখানে ছিল একটি কলা ঝাড়। সম্পূর্ণ জায়গাটা ছিল কলা ঝাড় আর অন্যান্য গাছড়ার জঙ্গল।
মুলা চাষ শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে এখানকার কলা গাছ গুলো সব কেটে উপড়ে ফেলেছিলাম। হয়তো এটা শুনে আপনাদের খারাপ লাগবে কেন কলা ঝাড় নষ্ট করলাম। অবশ্য এই কলা ঝাড়টির বয়স অনেক বেশি। ২০১১ সালে প্রথম লাগিয়েছিলাম এই স্থানে অর্থাৎ আমাদের এই পুকুর গুলার মধ্যে প্রথম কলা ঝাড় ছিল এটা। কোন কলা ঝাড়ের বয়স দীর্ঘদিন হয়ে গেলে সেখানে ভালো কলা আরো হয় না। সব সময় রোগ লেগে থাকে। আমার এখানেও ঠিক তেমন হয়েছিল। যার জন্য দেখতে পারছেন সামনে কলা গাছগুলো কেটে লাইন করে রেখে দেয়া হয়েছে। জায়গাটিকে নতুন কিছু করার উদ্দেশ্যে। আর সেই উদ্দেশ্যটা ছিল মুলা চাষ। যেহেতু জানেন কলা গাছের স্থান মানেই জৈব সারের জায়গা। আমি জায়গাটা খুব সুন্দর করে সাফ করে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে মুলা চাষের উপযুক্ত স্থান বানিয়ে ফেললাম।
আমার লাগানো বাঁশ গাছটি কেমন জানি লাল হয়ে যাচ্ছে। তবে যখন মূলত চাষের জন্য কাজ করছিলাম তখন এমন সুন্দর ঘন সবুজ ছিল। যাই হোক মুলা চাষের উপযুক্ত স্থান তৈরি করে ফেলেছিলাম খুব স্বল্প সময়ে। শুধু জঙ্গল সাফ করতে একটু বেশি সময় লেগেছিল।
কাজ করার মুহূর্তে দুই একটা সেলফি না তুললে যেন মানায় না! গা ঘামা অবস্থায় কাজের ফাঁকে চেষ্টা করেছিলাম তাই কয়েকটা সেলফি তোলার। তবে যাই হোক জায়গাতে ছায়া ছিল মেয়েগুনি গাছের। যার ফলে মাটি কোপাতে যেয়ে হাঁপিয়ে গেলে একটু রেস্ট নিতে পারছিলাম।
সেই থেকে এই পর্যন্ত দেখুন কত সুন্দর মুলা গাছ হয়ে গেছে। অবশ্য এ মুলার পাতার শাক খাওয়া যায়। তবে শাক খাওয়ার জন্য অন্য স্থানে পরবর্তী সময়ে মোলা চাষ করেছি দুই বন্ধু, আমি আর মারুফ মিলে। মারুফ বলতে আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ইউজার আপনাদের প্রিয় বন্ধু মারুফের কথা বলছিলাম। সেই আমাকে সার এনে দিয়েছিল। আর আমি এখানে সার দিয়েছিলাম, যার জন্য মুলা গাছের পাতা ঘন সবুজ।
শুধু মুলা গাছি নয়। এরমধ্যে জায়গায় জায়গায় রয়েছে বেগুন গাছ,লাউয়ের গাছ। আর নির্দিষ্ট একটি স্থানে কিছু ঝালের চারা। অবশ্য এমন ভাবে শাক সবজি চাষের অভিজ্ঞতা আমার ২০১১ সাল থেকে। আমি গাছ রোপন করতে এবং শাকসবজি চাষ করতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকি। আর বুঝতেই পারছেন নিজের হাতে উৎপাদিত কোন ফল তুলে খাওয়ার আনন্দই আলাদা। আশা করি এই থেকে আপনারা উৎসাহিত হয়ে আমার মত সবজি চাষ করার চেষ্টা করবেন। আর এদিকে মারুফ তো বলেই দিয়েছে এই মুলা দিয়ে জুস বানিয়ে আমার বাংলা ব্লগে একটি পোস্ট করবে। দেখা যাক, সে যদি মুলার জুস বানিয়ে আপনাদের দেখাতে পারে। তাহলে আমি কেন থেমে থাকব? আশা করি পরবর্তী পোস্ট দেখার জন্য প্রস্তুত থাকবেন সকলে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনি দেখছি বর্তমান বাজারের কথা চিন্তা করে অনেক সুন্দর মুলা চাষ করছেন । মুলা তেমন একটা খেতে আমার ভালো লাগেনা। আপনার তৈরি মুলাগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সতেজ। আপনার মুলা চাষ আগ্রহ দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ।
রিমা খাতুন,আশা করি আমার হাতের মুলার জুস ভালো লাগবে। আমার হাতের তা ভালো না লাগলে বলবো তোমার ভাবিকে বানিয়ে দিতে
মুলা সবজি হিসেবে আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। বিশেষ করে মাছ দিয়ে মুলা ও ফুলকপির ঝোল রেসিপি ঠান্ডা করে খেলে আমার কাছে দারুন লাগে। আর আপনি সেই মুলা সবজিকে উৎপাদন করেছেন নিজের মতো করে। আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করে রেখেছিলেন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এত সুন্দর টাটকা টাটকা মুলা সবজি চাষ করে আমাদের মাঝে পোস্ট আকারে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক মূলা হয়েছে ভাই। আমি নিজেও কল্পনা করিনি এত সুন্দর সবজি হবে।