সিলেটের মাটিতে আবারো এক নতুন ইতিহাস তৈরি করলো প্রিয় রংপুর রাইডার্স

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রংপুর রাইডার্সের অসাধারণ অসাধারণ একটি খেলার রিভিউ শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

জাগো বাহে কোনটে তোমরা

যারা বাংলাদেশী ব্লগার রয়েছেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই অবগত আছেন যে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে (বিপিএল) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা চলছে। প্রতি বছর আমাদের দেশে এই বিপিএল খেলা বেশ দারুন ভাবে আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর ও খুবই সুন্দর আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই বিপিএল খেলা আয়োজিত হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে। বেশ কিছু দিন ধরে এই বিপিএল খেলা চলছে। এবছর মোট সাতটি ক্রিকেট দল নিয়ে বিপিএল খেলা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় একই সমান দল নিয়ে এই খেলা পরিচালিত হয়। যারা ক্রিকেট খেলা প্রতিনিয়ত দেখে থাকেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন। আসলে বিপিএল খেলা গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

আজকে দুপুর একটা ত্রিশ মিনিটে ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্সের ষষ্ঠ তম খেলা ছিল। এই খেলার মধ্যে ফরচুন বরিশাল ব্যাটিং নেয় এবং রংপুর রাইডার্স বলিং নেয়। রংপুর রাইডার্স ফরচুন বরিশাল কে প্রথম অভার একদম শূন্য রান দেয়। তবে, দ্বিতীয় অভারে খুবই অল্প পরিমাণ রান নিতে সক্ষম হয় ফরচুন বরিশাল। যাইহোক, এভাবে ফরচুন বরিশাল ব্যাটিং করতে থাকে। একপর্যায়ে ফরচুন বরিশালের মোট রান হয় ১৯৭। ফরচুন বরিশাল মাঝামাঝি সময়ে ব্যাটিংয়ে বেশ ভালোই পারফরম্যান্স করেছিলেন। যাইহোক, ফরচুন বরিশাল রংপুর রাইডার্স কে ১৯৮ রান টার্গেট দেয়। প্রথম অবস্থায় রংপুর রাইডার্সের পক্ষে এতো পরিমাণ রান করা একদম অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কিন্তু খুশির খবর হলো, রংপুর রাইডার্স এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচের মধ্যে ও হারেনি।একটির পর একটি ম্যাচ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জয় লাভ করেছিল প্রিয় রংপুর রাইডার্স। তাদের এই দুর্দান্ত খেলা দেখে পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা রংপুর রাইডার্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিন্তু আজকে যখন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষ দল ফরচুন বরিশাল বিশাল পরিমাণ একটি রানের টার্গেট দেন, তখন রংপুর রাইডার্স ভক্তরা কিছু টা ভেঙে পড়ে যান। কেননা, রানের টার্গেট ছিল একদম আকাশ ছোঁয়া। যাইহোক, রংপুর রাইডার্সের প্লায়াররা তাদের রান টার্গেট নিয়ে ব্যাটিং এ নেমে পড়েন। প্রথমে অবস্থায় রংপুর রাইডার্স ব্যাটিং এ তেমন একটা পারফরম্যান্স করতে পারেননি।

প্রথমে এক অভার শেষ হতে না হতেই রংপুর রাইডার্সের সেরা ক্রিকেটার অ্যালেক্স হ্যালেস আউট হয়ে যায়।এটা দেখে রংপুর রাইডার্সের ভক্তরা অনেক টা ভেঙে পড়ে যায়। কেননা, বেশিরভাগ সময় রংপুর রাইডার্স অ্যালেক্স হ্যালেসের উপর ভরসা করে থাকে।সে ব্যাটিং এ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজকে আগেই আউট হয়ে যায়। যাইহোক, এরপর একে একে রংপুর রাইডার্সের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আউট হয়ে যায়। এটা আসলেই রংপুর রাইডার্স ভক্তদের জন্য খুবই খারাপ একটি ব্যাপার ছিল। যাইহোক, তবুও অনেক ভক্ত রংপুরের উপর আশা করেছিল যে, রংপুর রাইডার্স ভালো কিছু করবেন। অনেকের মনের মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল।

ইতিহাস তৈরির মুহূর্ত:

শেষ অভারে এসে রংপুর রাইডার্সের মোট রান প্রয়োজন ২৬। কিন্তু শেষ অভারে স্ট্রাইকে যায় আমাদের সকলের প্রিয় সোহান, যার সাথে আমরা কম বেশি সকলেই বেশ পরিচিত।আর ফরচুন বরিশালের একজন বিদেশী বলার বল করার জন্য আসে।বলারের প্রথম বল টি আমাদের সকলের প্রিয় সোহান ছয় মেরে দেয়। আবার দ্বিতীয় বল টি চার মেরে দেয়। আবার তৃতীয় বল টি চার মেরে দেয়। তখন রংপুর রাইডার্সের মোট রান হয় ৮৬ হয়। আবার চতুর্থ বলে ছয় মেরে দেয়।পঞ্চম বলে আবার চার মেরে দেয়, তখন রংপুর রাইডার্সের মোট রান সংগ্রহ হয় ৯৬। শেষ বলে দুই রানের প্রয়োজন হয়, এক রান হলে ম্যাচ ড্র এবং দুই রান হলে জয়। শেষ বলে আমাদের সকলের প্রিয় সোহান ছয় মেরে দিয়ে রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ টি সবার শীর্ষে তুলে।

আসলে আমার খেলা দেখার বয়সে এই খেলা টি ছিল একটি সেরা খেলা। শেষ ওভারের প্রতিটি বলেই চার ছয় দিয়ে ম্যাচ কে বিজয় করা এতটা সহজ নয়। কিন্তু আমাদের সকলের প্রিয় সোহান এটি সম্ভব করে দিয়েছে। আমাদের প্রিয় টিম রংপুর রাইডার্সের জন্য শুভকামনা রইল। সোহান ভাই আজ এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। এখন পর্যন্ত রংপুরের কোন হার নেই। প্রতিটি ম্যাচ একদম দুর্দান্ত ভাবে জিতেছে।

বিঃদ্রঃ খেলার প্রতিটি দৃশ্য ইউটিউব লাইভ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।