যার বিবেক যত জাগ্রত তার দুঃখ তত বেশি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। যার বিবেক যত জাগ্রত তার দুঃখ তত বেশি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আসলে প্রতিদিনই পোস্ট শেয়ার করা হয় আপনাদের মাঝে তার মাঝে কোন দিন কি শেয়ার করব সেটা নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। তাই আজকে ভাবলাম কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করা যাক ।মাঝেমধ্যে আপনাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা মূলক পোস্ট শেয়ার করি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব সেটা হচ্ছে যার বিবেক যত বেশি জাগ্রত তার দুঃখ তত বেশি। আমি মনে করি যে বিবেক ও দুঃখের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিবেক হলো মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ যার মাধ্যমে মানুষ ভালো মন্দ সবকিছু বোঝার চেষ্টা করে।
বিবেকবান ব্যক্তিরা ভালোমন্দ সব কিছুই খুব তাড়াতাড়ি বোঝে এবং সবকিছু ভালোভাবেই বোঝার চেষ্টা করে। আর সবকিছু বুঝার কারণে তাদের মনে কষ্ট বেশি হয়ে থাকে। যাদের বিবেক নিয়ে তারা ভালো মন্দ কিছু বোঝার চেষ্টা করে না। নিজের স্বার্থটা নিয়ে পড়ে থাকে সেজন্য তাদের কোন কষ্ট নেই। কারণ তাদের কষ্ট হবে কি করে তারা তো নিজের ভালোটা নিজের অধিকারটা তারা বুঝে নিতে পারে সেজন্য তাদের জীবনে কোন দুঃখ থাকে না। তাদের প্রয়োজন তাদের চাহিদা সবকিছুই তারা বুঝে নিতে পারে। বিবেকবান ব্যক্তি তো সবকিছুই বুঝতে পারে ভালো-মন্দ বুঝতে পারে সেজন্য সমাজের কোন খারাপ কাজে সে সেটা বুঝতে পারে সেটা নিয়ে কষ্ট পায় এবং সেটা নিয়ে ভাবে সেটা নিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করে।
আর সমাজের ভালো কিছু করতে গেলে সেটা তো আর সবার পছন্দ হয় না। সবার মতামত সবার ব্যক্তিগত চয়েজ আলাদা হয় সেজন্য একজন মানুষের ভালো কাজ অন্য মানুষের চোখে খারাপ কাজে লাগতে পারে। একজন মানুষ যখন মন থেকে কারো ভালো কাজ করতে যায়। তখন সেই ব্যক্তিটা যদি সেটাকে খারাপ কাজ মনে করে বা সমাজের একটা মানুষ খুঁজে দিচ্ছে তাকে খারাপ কাজ হিসেবে বিবেচনা করে তখন তার কাছে অনেক কষ্ট লাগে। সেজন্য বিবেকবান মানুষরা বেশিরভাগই দুঃখ ভোগ করে। কারণ বিবেকবান মানুষেরা মানুষের ভালো করতে গিয়ে নিজে খারাপ হয়ে যায়।
বিবেকবান ব্যক্তিরা সবসময় তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় থাকে। কারণ তারা চিন্তা করে এই কাজটা যদি আমি করি তাহলে আমার আশেপাশের মানুষ আমার সাথে চলাফেরা করা মানুষগুলো কিভাবে আমার কোন কর্মকান্ডে কি তারা কষ্ট পাবে। এসব বিষয় নিয়ে তারা সবসময় চিন্তা করতে থাকে এবং সবসময় হতাশার মধ্যে থাকে। কারণ তারা চায় না তাদের কারণে কোনো মানুষ কষ্ট পায়। তাদের কারণে কোন মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হোক। সেজন্য সব সময় তারা কোন কাজ করার আগে নিজের কথা চিন্তা করার আগে অন্যের কথা ভাবে। যে আমার কোন কর্মকান্ডে অন্য কেউ কোনো দুঃখ পাবে কিনা আর এসব ভাবতে ভাবতে যে নিজের সুখটা বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছে নিজে দুঃখে রয়েছে সেটা তারা বুঝতে পারে না। একমাত্র সেই কারণেই বিবেকবান ব্যক্তিরা সবসময় দুঃখ ভোগ করে।
অন্যদিকে তারা বিবেকহীন তারা কোন কাজকর্ম করার সময় চিন্তা ভাবনা করে না। শুধুমাত্র নিজের কিসে ভালো হবে সেটা চিন্তা করে যে কোন কাজ করে করে ফেলে এবং সেটাতে যদি সফল হয় তাহলে তো তারা খুশি। সেটাতে যদি বিফল হয় তাহলে সাময়িক দুঃখ পেয়ে নতুন কাজে লেগে পরে। কিন্তু বিবেকবান ব্যক্তিরা যেরকম প্রত্যেক নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে নিজের ভালো থাকাটা হারাম করে দেয় এবং সব সময় দুঃখ এবং হতাশাগ্রস্থ থাকে। কিন্তু বিবেকহীন মানুষের কিন্তু বিবেকহীন মানুষের কোন দুঃখ নেই। কারণ তারা তো বিবেকহীন সে চিন্তা করবে কি সে ভালো মন্দের বিচার করার জ্ঞানই তো তার নেই। সে কোন রকম সমাজে চলছে খাচ্ছে নিজে সুখ আনন্দ উপভোগ করছে এটাই। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের কিছু আলোচনা। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভাল লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.