ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (ত্রয়োদশ ও শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


দ্বাদশ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের দ্বাদশ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ত্রয়োদশ ও শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন রতনের মা রতনের বিয়ে ঠিক করে তাদের এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে। সেই মেয়েটি আসলেই খুব ভালো ছিলো। তো রতন ইতালি থেকে প্রায়ই সেই মেয়েকে ফোন দিতো। এতে করে তাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। বেশ কিছুদিন পর রতন বাংলাদেশে ছুটিতে আসে ২ মাসের জন্য। তারপর রতন তার মা'কে নিয়ে সেই মেয়েকে দেখতে যায়। তারা একে অপরকে দেখার পর ভীষণ পছন্দ করে। তারপর তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। অর্থাৎ সপ্তাহ খানেক পর তাদের বিয়ের ডেট দেওয়া হয়।


treason-6971578_1280.jpg

Source


কারণ রতন তো ছুটি শেষ করে ইতালি চলে যাবে এবং পরবর্তীতে তার ওয়াইফ ও বাচ্চাকে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। যাইহোক সপ্তাহ খানেক পর রতন এবং সেই মেয়ের ঘরোয়া ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। তারপর তারা সুখের সংসার করতে থাকে। এদিকে রতনের মেয়েও নতুন মা পেয়ে ভীষণ খুশি। এভাবেই তাদের সংসার চলতে থাকে। অপরদিকে সীমার দ্বিতীয় স্বামী সীমার সাথে খুবই বাজে ব্যবহার করে সবসময়। সীমা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারে না। কারণ তার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তবে সীমা মাঝেমধ্যে ভাবে সে বাসা থেকে বের হয়ে যাবে এবং যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে চলে যাবে। রতন বাংলাদেশে আসার পর সীমা চেয়েছিল রতনের সাথে যোগাযোগ করতে। কিন্তু রতন সীমার সাথে একেবারেই যোগাযোগ করতে চায়নি।


যাইহোক রতন কিছুদিন পর ছুটি শেষ করে ইতালি চলে যায় এবং যাওয়ার আগে রতন তার ওয়াইফকে বলে যে,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদেরকে ইতালি নিয়ে যাবে। রতন ইতালি যাওয়ার পর প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করে তার ওয়াইফকে ফোন করে এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে ভিডিও কলে বারবার দেখে। আসলে রতন অল্প কিছুদিনেই তার স্ত্রী কে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছে এবং সীমার কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছে। রতনের কাছে বারবার মনে হচ্ছিলো,সে উত্তম জীবনসঙ্গিনী পেয়েছে। রতন প্রচুর চেষ্টা করছে তার ওয়াইফ এবং মেয়েকে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কয়েক মাস পর রতন এক্ষেত্রে সফল হয়। সে অবশেষে তার মেয়ে ও স্ত্রীকে ইতালিতে নিয়ে যায় এবং সেখানে সুখের সংসার করতে থাকে। এদিকে সীমার দ্বিতীয় স্বামী আবারও বিয়ে করে তার পরকীয়া প্রেমিকাকে বাসায় নিয়ে আসে। এটা নিয়ে সীমা অনেক চিৎকার চেচামেচি করে। কিন্তু তেমন কোনো লাভ হয়নি।


আসলে সীমার দ্বিতীয় স্বামী সহ তার পুরো পরিবার একেবারে বাজে। এককথায় বলতে গেলে সমাজের মানুষ তাদেরকে একেবারেই দেখতে পারে না। যাইহোক সীমা অবশেষে তার দ্বিতীয় স্বামীর বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারপর সে তাদের বাসায় যায় অর্থাৎ তার মা বাবার কাছে। তার মা বাবাকে সবকিছু খুলে বলার পর,তারা তাকে বাসায় রেখে দেয়। কিন্তু সীমা রতন এবং তার মেয়েকে হারিয়ে একেবারে সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে। এককথায় বলতে গেলে সীমা পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে। কারো সাথে তেমন কথা বলে না। সীমা এক সময় রতন এবং তার মেয়ের সাথে যে অন্যায় করেছে, সেই শাস্তি সীমা পেয়ে গিয়েছে। কথায় আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। সীমা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। তাই কারো সাথে অন্যায় করার আগে এবং কাউকে ঠকানোর আগে হাজার বার ভাবা উচিত।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ১১.১.২০২৫
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 2 months ago 

ডেইলি টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20250111_215722620.jpg

 2 months ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

অনেক সুন্দর কথা লিখেছেন আপনি। আপনার এই লেখাগুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। আশা করি আপনার এই পোষ্টটি পড়ে অনেকেই এই শিক্ষনীয় বিষয়টি তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে। একই সাথে আমাদেরকে কারোর প্রতি অন্যায় করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, আমাদের অন্যায়ের ফল আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে।

 2 months ago 

আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এটা আসলেই সত্যি কথা। যাইহোক গল্পটা পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আপনার গল্পের শেষ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। একদম ঠিক বলেছেন পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ঠিক তেমনি সীমার পাপের শাস্তি সীমা পেয়ে গিয়েছে। তাইতো বলে ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। এসব মেয়েদের সত্যিই মা হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই। রতন পরবর্তীতে সীমাকে সুযোগ না দিয়ে খুব ভালো করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

সীমা পৃথিবীতেই যথেষ্ট শাস্তি পেয়ে গিয়েছে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.23
JST 0.031
BTC 79489.17
ETH 1885.78
USDT 1.00
SBD 0.81