ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (অষ্টম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


সপ্তম পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের সপ্তম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে অষ্টম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক রতন যখন সীমার মা'কে ফোন দিয়ে সীমার কথা জিজ্ঞেস করে, তখন সীমার মা বলে যে সীমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর রতন বারবার সীমার মোবাইলে ফোন দিয়ে মোবাইল বন্ধ পায়। তারপর রতন তার বাসায় ফোন দিয়ে তার মা এবং ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে বলে যে সীমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তারাও বিভিন্ন জায়গায় সীমাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু সীমাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। সীমাকে তো খুঁজে পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সে তো তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।


treason-6971578_1280.jpg

Source


এদিকে রতনের ছোট্ট মেয়েটা তো সীমাকে কাছে না পেয়ে ইচ্ছেমতো কান্নাকাটি করা শুরু করলো। রতন তার মেয়ের এমন কান্নাকাটি শুনে ভীষণ কষ্ট পায়। তারপর রতন তার মা'কে ফোন দিয়ে বলে যে, সীমার বাসায় গিয়ে তার মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য। রতনের মা এবং ছোট ভাই তখনই সীমার বাসায় গিয়ে, রতনের ছোট্ট মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় নিয়ে আসার পর তারা বিভিন্ন ভাবে রতনের মেয়ের কান্না থামানোর চেষ্টা করে। তারপর তাকে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু রতনের মেয়ে খাবার খেতে চায় না। যাইহোক অনেক কষ্ট করে খাবার খাইয়ে, রতনের মেয়েকে তার দাদী ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করে। এদিকে সীমাকে খুঁজে না পেয়ে, সীমার মা বাবা থানায় গিয়ে সেটা জানায়। তারপর সীমার মোবাইল নম্বরও থানায় দিয়ে আসে।


থানা থেকে বলা হয় মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করার চেষ্টা করবে এবং তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। তবে মোবাইল বন্ধ থাকলে তো আর মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করা সম্ভব নয়। যাইহোক পরের দিন দুপুর বেলা সীমা তাদের বাসায় ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বলে। সীমা বলে যে আমরা অনেক দূরের একটা জায়গায় আছি এবং সীমাকে যেনো কেউ না খুঁজে। সীমার মা সীমাকে অনেক অনুরোধ করে বাসায় ফেরার জন্য এবং সীমার ছোট্ট মেয়েটা যে কান্নাকাটি করছে সেটাও বলে,কিন্তু সীমার মন একেবারেই নরম হয় না। এদিকে থানায় গিয়ে সীমার মা বাবা তাদেরকে বলে যে, সীমার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, অর্থাৎ সীমার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তো পুলিশ আর এসব ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামায় না। তারপর সীমাকে রতন যখন ফোন করে, তখন সীমা সবকিছু রতনকে বলে এবং এটাও বলে যে,সীমা রতনের সাথে সংসার করতে চায় না।


এমনকি তার মেয়েকেও সীমা নিতে চায় না। এটা শুনে তো রতন একেবারে ভেঙে পড়ে। সীমাকে অনেক বকাবকি করে রতন। একজন মা কিভাবে তার সন্তানকে রেখে এভাবে অন্যের হাত ধরে চলে যেতে পারে,সেটা আমার বোধগম্য হয় না। রতন এবং তার মেয়ের ভাগ্যটা আসলেই খুব খারাপ। সীমা রতনকে বলে যে খুব শীঘ্রই রতন ডিভোর্স পেপার পেয়ে যাবে এবং তার পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করবে। এটা শুনে রতন সীমাকে অনেক গুলো কথা শোনায় এবং বলে যে সীমা কখনোই সুখী হবে না। তারপর রতন সীমাকে বলে যে তাড়াতাড়ি ডিভোর্স পেপার পাঠাতে। কারণ সীমার মতো বাজে মেয়ের সাথে রতন আর সম্পর্ক রাখতে চায় না। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ৬.১২.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 3 months ago 

ডেইলি টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20241206_122548408.jpg

 3 months ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই। আপনার গল্পটিও সেটাই প্রমাণ করলো। সব মেয়ে মায়ের জায়গা নিতে পারে না৷ তারা ব্যর্থ। দুনিয়ায় সবাই সব জায়গায় যোগ্য নয় আসলে। ভগবান সবার জন্য সব জায়গা বানাননি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে গল্পটি দিয়ে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন। বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকেই অনেক অসুবিধায় পড়েন। কিন্তু তাদের কিই বা আসে যায়

 3 months ago 

কিছু কিছু মেয়েরা নিজের স্বার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারে ভাই। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.23
JST 0.031
BTC 79489.17
ETH 1885.78
USDT 1.00
SBD 0.81