ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (দ্বাদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের একাদশ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,সীমা রতনের সাথে যোগাযোগ করে সবকিছুর জন্য ক্ষমা চায় এবং রতনের কাছে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু রতন কিছুতেই সীমার কথায় রাজি হয় না। তো সীমা মাঝেমধ্যে তার দ্বিতীয় স্বামীর অগোচরে লুকিয়ে লুকিয়ে রতনকে ফোন করতো। কিন্তু রতন সীমার ফোন রিসিভ করতো না। সীমার দ্বিতীয় স্বামী সহ পরিবারের লোকজন সীমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতো। কিন্তু সীমার যাওয়ার কোনো জায়গা ছিলো না।
সীমা তখন বুঝতে পারে, সীমার দ্বিতীয় স্বামী তাকে লোভে পড়ে বিয়ে করেছে। সীমার স্বর্ণ গহনা এবং টাকা পয়সা সব শেষ করে ফেলার পর,সীমাকে এখন তারা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সীমা উপলব্ধি করতে পারে সব হচ্ছে তার পাপের ফল। সীমার প্রথম স্বামী রতন এবং তার নিজের মেয়েকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছিল সীমা,তার চেয়ে বেশি কষ্ট সীমা পাচ্ছে। আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। সীমা সবকিছু বুঝতে পারলেও, তার কিছুই করার ছিলো না তখন। এদিকে সীমার দ্বিতীয় স্বামী একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যায়। এটা সীমা বেশ কিছুদিন পর জানতে পারে। তারপর সীমা যখন তার স্বামীকে পরকীয়া প্রেমের কথা জিজ্ঞেস করে, তখন তার স্বামী সবকিছু স্বীকার করে এবং সীমাকে বলে যে, সবকিছু সহ্য করে এখানে থাকতে পারলে থাক,নয়তো বিদায় হয়ে যা।
তার মানে সীমার স্বামী তার নিজের মতো করে চলবে এবং বাঁধা দিলেও শুনবে না। এসব শুনে সীমা তার স্বামীকে বারবার অনুরোধ করে পরকীয়া প্রেম না করতে। কিন্তু সীমার স্বামী কিছুতেই তার কথা শোনে না। এক পর্যায়ে সীমাকে এসব ব্যাপার নিয়ে মারধর করে। আসলে সীমার দ্বিতীয় স্বামীর চরিত্র একেবারেই খারাপ ছিলো। তাছাড়া সে নিজের স্বার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারে। এদিকে রতনের মা রতনের জন্য খুব ভালো একটি মেয়ে খুঁজে বের করে। আসলে মেয়েটা রতনের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হয়। আত্মীয় হয় বলে রতনের একটা মেয়ে আছে জেনেও,মেয়েটা রতনকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়। তাছাড়া রতনদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো ছিলো। যদিও সেই মেয়েদের আর্থিক অবস্থা ততোটা ভালো ছিলো না। রতনকে তার মা ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বলে এবং রতনও তার মায়ের কথায় রাজি হয়ে যায়।
তারপর রতনকে তার মা বলে যে, কিছুদিনের জন্য ছুটিতে এসে বিয়ে করতে। রতন তার মা'কে বলে যে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করবে। তারপর রতন এবং সেই মেয়ে ফোনে কথা বলা শুরু করে। আসলে তারা একে অপরের আত্মীয় বলে,সবকিছুই একেবারে সহজ হয়ে যায়। তারা কথা বলতে বলতে একে অপরকে বেশ পছন্দ করে ফেলে। তাছাড়া সেই মেয়েটা মাঝেমধ্যে রতনদের বাসায় গিয়ে, রতনের মেয়ের সাথে সময় কাটায়। সেই মেয়েটা রতনের মেয়েকে অনেক আদর যত্ন করে। এতে করে রতন এবং তার পুরো পরিবার খুব খুশি হয়ে যায়। তারা ভাবে যে সেই মেয়েটা বিয়ের পর,রতনের মেয়েকে নিজের মেয়ের মতো করে লালন পালন করবে। সবমিলিয়ে রতন এবং সেই মেয়ের পরিবার খুব খুশি হয়। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২.১.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Help me iam new
X-promotion