ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (পঞ্চম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,শিহাব গাছের মধ্যে উঠে তাবিজ বেঁধে দিয়েছিল ফকির বাবার কথায়। তো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর, শিহাব যখন দেখলো সুমি তার কাছে আসে না ভালোবাসার কথা বলার জন্য, তখন শিহাব টেনশনে পড়ে গেলো। শিহাব বারবার ভাবছে ফকির বাবা কি তাহলে ভূয়া নাকি। তারপর শিহাব তার সেই বন্ধুকে বললো,ফকির বাবার তাবিজ কি কোনো কাজে দিলো না নাকি। কারণ কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও, সুমি কেনো তার কাছে আসলো না ভালোবাসার কথা বলার জন্য।
তখন শিহাব তার বন্ধুকে বললো, ফকির বাবাকে জিজ্ঞেস করতে হবে তাবিজ কেনো কাজ করছে না। তখন শিহাবের বন্ধু বললো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখতে। কিন্তু শিহাবের তো আর সহ্য হচ্ছে না। তাই সে বলে অপেক্ষা করার সময় এখন আর নেই। তো পরের দিন তারা দু'জন আবারও সেই ফকির বাবার কাছে গেলো এবং ফকির বাবাকে বললো যে তাবিজ কেনো কাজ করছে না। তখন ফকির বাবা বেশ কিছুক্ষণ ধ্যানে বসে শিহাবকে বললো, সুমির সাথে দ্রুত দেখা করতে এবং কথা বলতে। তো তারা দু'জন বাসায় চলে গেলো এবং পরের দিন শিহাব সুমির সাথে দেখা করার জন্য সুমির কলেজে গেলো। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর শিহাব সুমিকে দেখতে পেলো এবং সাহস করে শিহাব সুমির সামনে চলে গেলো। তারপর সুমিকে জিজ্ঞেস করলো কেমন আছো। কিন্তু সুমি কোনো কথা না বলেই সামনে চলে গেলো।
শিহাব আবারও সুমির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে,সুমি ধমক দিলো শিহাবকে এবং বললো যে সুমি বাসায় গিয়ে তার দুই ভাইয়ের কাছে বিচার দিবে। তারপর সুমির দুই ভাই শিহাবের বাসায় গিয়ে বিচার দিয়ে আসবে। তো শিহাব অনুরোধ করলো সুমিকে এবং বললো যে আর কখনো কথা বলার চেষ্টা করবে না। তখন সুমি বললো এটা তাহলে একেবারে লাস্ট ওয়ার্নিং। তারপর শিহাব মন খারাপ করে তার বাসায় চলে গেলো এবং বাসায় যেতে যেতে ফকির বাবাকে মনে মনে ইচ্ছেমতো বকাবকি করলো। সাথে তার সেই বন্ধুকেও বকাবকি করলো মনে মনে। কারণ তার সেই বন্ধু ফকির বাবার কাছে তাকে নিয়ে গিয়েছিল। এতো কষ্ট করার পরেও যেহেতু কোনো কাজ হলো না,তখন শিহাব ভাবলো যে আর কোনো রাস্তা নেই সুমিকে রাজি করানোর।
সেদিনই শিহাব তার সেই বন্ধুর সাথে দেখা করলো এবং তাকে ইচ্ছেমতো বকাবকি করলো। তারপর বললো ফকির বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিতে। কারণ ফকির বাবাকে সবমিলিয়ে ১৫০০ টাকার মতো দিয়েছিল শিহাব। তো তারা দু'জন ফকির বাবার কাছে গিয়ে অনেক কথা শোনালো এবং টাকা ফেরত চাইলো। কিন্তু ফকির বাবা তো টাকা দিলোই না, বরং বললো যে আরেকবার ভিন্ন পদ্ধতি এপ্লাই করে দেখবে। কিন্তু শিহাব এতে রাজি হলো না এবং ফকির বাবার কাছ থেকে তখন জোর করে ৫০০ টাকা ফেরত নিলো। কারণ ফকির বাবার সাথে তখন ৫০০ টাকা-ই ছিলো হা হা হা। আসলে একবার যেহেতু ফকির বাবাকে বিশ্বাস করে শিহাব ঠকেছে, তাই আর দ্বিতীয়বার তার কথা বিশ্বাস করেনি। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৭.৩.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.