কক্সবাজার রাজা চায়ের আসরে চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি খাওয়ার অনুভূতি।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কক্সবাজার রাজা চায়ের আসরে চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি খাওয়ার অনুভূতি। |
---|
কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে একদিন আমরা যখন রাজা চা খেতে গিয়েছিলাম,সেখানে দেখতে পাই তাদের স্পেশাল একটি আইটেম রয়েছে। আর সেই আইটেমটি হচ্ছে চুইঝাল দিয়ে রান্না করা হাঁসের মাংস সাথে রুটি। আসলে এখানে আকর্ষণীয় যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে চুইঝাল।অন্যথায় হাঁসের মাংস তো অনেক ভাবেই খেয়েছি। তবে আমাদের এদিকে চুইঝাল পাওয়া যায় না তাই এ রেসিপিটি ট্রাই করবো বলে সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম।
সেদিন মাত্র মহেশখালী থেকে আমরা সবাই ফিরে এলাম এবং আসার পরে চিন্তা করলাম দুপুরে আজকে ভাত না খেয়ে চুইঝাল দিয়ে রান্না করা হাঁসের মাংস সাথে রুটি এই খাবারটি ট্রাই করবো। কারণ দুপুরে সবসময়ই তো ভাত খাওয়া হয়।যেহেতু চুইঝালের রেসিপি তাই আগ্রহ সবার বেড়ে গেল।এদিকে মহেশখালী থেকে যখন আসি তখন খাবারের টাইমও হয়ে যায়। তাই আর দেরি না করে আমরা চারজন এবং সেখানে এক বন্ধু ছিল তাকে ডেকে এনে পাঁচজনে মিলে বসে গেলাম রাজা চায়ের আসরে।
তারপর তাদেরকে আমরা অর্ডার করলাম এই চুইঝাল এর হাঁসের মাংসের রেসিপিটি।তারা বললো এই আইটেম তো বিকেল বেলায় তারা চালু করে। তখন আমার সেই স্থানীয় বন্ধু রিকোয়েস্ট করল যে উনারা মেহমান ওনাদের জন্য একটু ব্যবস্থা করেন। তখন তারা বললো আচ্ছা ঠিক আছে আমরা দেখছি। এরপর বলে একটু সময় লাগবে আপনারা বসেন। তখন আমরা প্রায় আধা ঘন্টার মত বসতে হয়েছে। অবশেষে তারা বানিয়ে ফেললো এই রেসিপিটি এবং সবার সামনে পরিবেশন করল।
বরাবরই হাঁসের মাংস আমার প্রিয় তবে চুইঝাল দিয়ে প্রথমবারের মত খাওয়া হবে তাই লোভ সামলাতে পারলাম না। সবার আগে রুটি নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম।তবে হ্যাঁ খাওয়া শুরু করার আগে কিন্তু দু-এক কপি ফটো তুলে নিলাম। না হলে আপনাদের মাঝে তো শেয়ার করা যেত না। খাওয়া শুরু করতেই আমার স্থানীয় ওই বন্ধুটি একটি কোকের অর্ডার করলো এবং কোকটি টেবিল এ চলে আসলো। পরবর্তীতে সবাই যার যার মত করে খাওয়া শুরু করে দিল।
মোটামুটি খাওয়া শেষে সবাই সন্তুষ্ট এবং রান্নাটি অনেক ভালো ছিল। যথারীতি যদি এই রেসিপি কে মার্ক দিতে হয়, তাহলে ১০ এ আট দেওয়া যায়। বাকি দুই দিতে পারলাম না কারণ আমি ঝাল একটু কম খাই, কিন্তু সেখানে ঝাল প্রচুর হয়েছিল তাই। যাইহোক আমরা যেহেতু ক্লান্ত ছিলাম তাই সবাই খাওয়া দাওয়া করে আমরা বাসার দিকে ফিরে গেলাম।
তো বন্ধুরা আপনারাও যদি কক্সবাজার যান তাহলে অবশ্যই লাবনী পয়েন্টে ঘুরে আসবেন। আর লাবনী পয়েন্টে এই রাজা চায়ের আসর রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন রকম চা খেতে পারবেন। আর সাথে চুইঝাল দিয়ে তৈরি করা হাঁসের মাংস সাথে রুটি। যাইহোক আজকে এ পর্যন্ত কথা আর না বাড়িয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
দুইবার যাওয়া হয়েছে তবে এই চুই জাল দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি টা তো মিস করে ফেলেছি। আপনার পোস্ট দেখে নতুন করে খেতে ইচ্ছে করছে পরবর্তীতে গেলে অবশ্যই টেস্ট করে আসবো ভাই।
জি ভাই ট্রাই করে দেখিয়েন।
বর্তমানে সবার কাছে হাঁসের মাংস অনেক প্রিয়। প্রথমবারের মতো চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ওরা অনেক ভালো লাগলো। আমিও হাঁসের মাংস রেসিপি অনেক পছন্দ করি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আমিও হাঁসের মাংস রেসিপি অনেক পছন্দ করি।
চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপির কথা শুনেছিলাম তবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনারা বন্ধুরা মিলে সেখানে গিয়ে রেসিপিটা খেয়েছেন। রিকোয়েস্ট করার কারণে আপনাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। আমার তো দেখেই লোভনীয় লাগছে। আমিও ঝাল একটু কম খাই। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু রিকোয়েস্ট করার কারণে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে হাঁসের মাংসের রেসিপিটা খেতে দারুণ লেগেছিল। তবে এই রেসিপিটা ঝাল ঝাল না হলে কিন্তু খেয়ে ততটা মজা পাওয়া যায় না। তাই হয়তোবা তারা ঝাল বেশি দিয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আসলেই চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে।