প্রিয়@rme দাদাকে উৎসর্গ করে এবিবি পরিবারের পক্ষ থেকে কবিতায় শোক বার্তা||~~
শোক বার্তা
মৃত্যু একমাত্র সত্য।
আশ্রু ভেজা চোখে তোমাকে শেষ বিদায় জানাই। শান্তিতে থেকো, প্রিয় বাবা
সকলকে শোকাবহ😭 শুভেচ্ছা। আমি জানি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের চলছে শোকের মাতম।
আমাদের কারোরই মন ভালো নেই আজ। আমাদের সকলের প্রিয় দাদার বাবা যখন গত হয়েছেন। মানে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের বাবা আজ না ফেরার দেশে। কেন যেন, খুব বেশি মনে হচ্ছে দাদার সাথে সাথে আজ আমরা সবাই এতিম হয়ে গেছি। তারপরেও দাদা সহ দাদার পরিবারের সকলের এই শোক শক্তিতে রূপান্তর হোক এটাই প্রত্যাশা করছি।
বন্ধুরা কাল যখন ডিসকর্ডে জানতে পারলাম দাদার বাবা আর নেই। মুহূর্তে কেন যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে বুকের বাম পাশটায় টং করে একটা শব্দ বেজে উঠলো। আর নিজের অজান্তেই চোখের কোন দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো। স্মৃতিতে ভেসে উঠলো আমার বাবার মৃত্যুর দিনের ছবি। সেইসব স্মৃতিগুলো গতকাল অনেক বেশি মর্মাহত করেছে আমাকে। পৃথিবীতে এতিম হওয়ার যন্ত্রণাটা এত তীব্র, যা আবেগ অনুভূতি দিয়ে কখনোই প্রকাশ করার মতো নয়।
রাতে যখন ডিসকোডের অ্যানাউন্সমেন্ট চ্যানেলে, দাদার আহাজারীর বাক্য-লিপি গুলো, চোখে পড়ল,
দাদার বুকের হাজারো যন্ত্রণায় এই শব্দটি- মৃত্যুই একমাত্র সত্য।
আর এই কঠিন বাক্যটি সারা রাত আমাকে ঘুমাতে দেয়নি। ছটফট করেছি আমি। মনে হচ্ছিল দাদার গভীর কষ্টের অনুভূতিগুলো আমাকে এসে স্পর্শ করছিল। আর সেই অনুভূতি থেকেই দাদাকে উৎসর্গ করে, আমার আজকের এই স্বরচিত গদ্য কবিতা। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল ইউজারদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধেয় দাদার পরিবারের প্রতি ছোট্ট নিবেদন।
আসুন তবে কবিতাটি পড়ে আসি
কবিতা- "মৃত্যুই একমাত্র সত্য"
কলমে- সেলিনা সাথী
উৎসর্গ- @rme দাদাকে
সমস্ত আয়োজনের পরিসমাপ্তি।
আমাদের অস্তিত্বের সূক্ষ্মতায় মৃত্যুর ছায়া
প্রতিনিয়ত জড়িয়ে থাকে, প্রতিটি নিশ্বাসে,
প্রতিটি স্পন্দনে, জীবনের প্রতিটি কণায়
মৃত্যুর আহ্বান লুকিয়ে থাকে।
জীবন সঞ্চালিত হয় এক অনন্ত গতিতে,
আর আমরা সেই গতির অমোঘ চক্রে বন্দী।
আমরা স্বপ্ন দেখি, সংগ্রাম করি, ভালোবাসি,
ঘৃণা করি—এই সব কিছুর শেষে একদিন
থেমে যেতে হয়, সময়ের হাত ধরে ।
জীবন এগিয়ে যায়, আর মৃত্যুই হলো
সেই সময়ের শেষ সীমা।
প্রকৃতির নির্দিষ্ট নিয়মে, পৃথিবীর প্রতিটি
সৃষ্টির শুরু হয় এক সূক্ষ্ম কণা থেকে,
আর সেই কণার গন্তব্য একদিন
ধুলায় মিলিয়ে যায়, আর পাতা ঝরে যায়
গাছ থেকে, ফুল মলিন হয়ে যায়, প্রবাহমান
নদী শুকিয়ে যায়—এ সবই মৃত্যুর নির্ভরতা।
তবুও আমরা বেঁচে থাকি, সময়ের প্রবাহে
নিজেদেকে একান্ত ভাবে খুঁজে ফিরি,
মৃত্যুর নীরব আহ্বানে, কেমন যেন
এক গভীর সুর, যা আমাদেরকে
মনে করিয়ে দেয় যে, জীবন ক্ষণস্থায়ী।
মৃত্যু আমাদের শেখায় জীবনের মূল্য,
জানিয়ে দেয় প্রতিটি মুহূর্তের গুরুত্ব।
মৃত্যুই একমাত্র সত্য। যা আমাদের
মনে করিয়ে দেয় জীবনের অপার মাধুর্য।
মৃত্যু আমাদের জীবন্ত প্রাণের নীরব শিক্ষক
যা আমাদের নিয়ে যায় জীবনের গভীরতায়।
আমাদের শেখায় জীবনকে ভালবাসতে,
সম্মান করতে, আর এই সত্যটি জানিয়ে দেয়
যে আমাদের অস্তিত্বে মৃত্যু শুধু একটি
অনিবার্য ঘটনা নয়, বরং
জীবনেরই একটি অপরিহার্য অংশ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
৫ জুলাই ২০২৪
সময় রাত ১১:৪৫
কবিতা কুটির -নীলফামারী।
🥀 বিশ্লেষণ:- 🥀
আমার লেখা "মৃত্যুই একমাত্র সত্য" কবিতাটি একটি গভীর ও ভাবনাপ্রবণ রচনা, যেখানে জীবনের সাময়িকতা ও মৃত্যুর অনিবার্যতা তুলে ধরা হয়েছে। এই কবিতার মূল থিম এবং এর প্রতীকী ও দর্শনীয় দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হলো:
* মৃত্যুর অনিবার্যতা:
কবিতার প্রথম লাইনেই বলা হয়েছে, "মৃত্যুই একমাত্র সত্য, যা এ জীবনের সমস্ত আয়োজনের পরিসমাপ্তি।" এখানে কবি মৃত্যুর অবধারিততাকে সামনে এনেছেন। জীবনের সমস্ত আয়োজনের পরিসমাপ্তি শুধুমাত্র মৃত্যু দিয়েই হয়।
* জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব:
কবিতার বিভিন্ন লাইন, যেমন "আমাদের অস্তিত্বের সূক্ষ্মতায় মৃত্যুর ছায়া প্রতিনিয়ত জড়িয়ে থাকে" এবং "জীবন সঞ্চালিত হয় এক অনন্ত গতিতে," জীবনের সাময়িকতা ও ক্ষণস্থায়িত্বকে গভীরভাবে চিত্রিত করে। প্রতিটি নিশ্বাসে, প্রতিটি স্পন্দনে মৃত্যুর ছায়া লুকিয়ে থাকে, যা জীবনের অস্থায়ী প্রকৃতিকে বুঝিয়ে দেয়।
* প্রকৃতির নির্দিষ্ট নিয়ম:
কবিতায় প্রকৃতির নির্দিষ্ট নিয়মকে তুলে ধরা হয়েছে। "পাতা ঝরে যায় গাছ থেকে, ফুল মলিন হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়"—এই লাইনগুলো প্রকৃতির নিয়মিত চক্রের প্রতীক। প্রতিটি সৃষ্টির শুরু হয় সূক্ষ্ম কণা থেকে, যা একদিন ধুলায় মিলিয়ে যায়। এটি জীবনের সাময়িকতা ও মৃত্যুর অনিবার্যতাকে বুঝিয়ে দেয়।
* মৃত্যুর নীরব আহ্বান:
কবিতায় মৃত্যুর নীরব আহ্বানকে গভীর সুর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা জীবনের মূল্য এবং প্রতিটি মুহূর্তের গুরুত্বকে জানিয়ে দেয়। "মৃত্যুর নীরব আহ্বানে কেমন এক গভীর সুর,"—এই লাইনটি মৃত্যুর মর্মস্পর্শী আহ্বানের কথা বলে, যা আমাদের জীবনের মূল্য বোঝায়।
* জীবনের মূল্য ও মুহূর্তের গুরুত্ব:
মৃত্যুই আমাদের জীবনের মূল্য শেখায়, যেমনটি বলা হয়েছে, "মৃত্যু আমাদের শেখায় জীবনের মূল্য, আমাদের জানায় প্রতিটি মুহূর্তের গুরুত্ব।" মৃত্যু আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।
* মৃত্যু: জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ:
কবিতার শেষ লাইনগুলোতে মৃত্যুকে জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। "মৃত্যু শুধু একটি অনিবার্য ঘটনা নয়, বরং জীবনেরই একটি অপরিহার্য অংশ।" এটি দেখায় যে মৃত্যু জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা আমাদের অস্তিত্বের সত্যকে নির্ধারণ করে।
সার্বিক বিশ্লেষণ:
"মৃত্যুই একমাত্র সত্য" কবিতাটি আমাদের জীবনের সাময়িকতা এবং মৃত্যুর অনিবার্যতাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করায়। কবিতাটি জীবনের মূল্য, প্রতিটি মুহূর্তের গুরুত্ব এবং মৃত্যুর সত্যতা বোঝায়। এটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে মৃত্যুই জীবনের শেষ নয়, বরং জীবনেরই একটি অপরিহার্য অংশ।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
আমি সেলিনা সাথী
💞
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: কবিতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি ঠিক বলেছেন দাদার বাবার মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। আসলে আপু যাদের বাবা নেই তারাই বুঝে বাবা কি জিনিস। সত্যি বলতে দাদার বাবার মৃত্যুর কথা শোনার পরে হঠাৎ আমার বাবার কথা অনেক মনে পড়েছিল।আসলে বাবার মতো পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তবে মৃত্যু একমাত্র সত্য এটাকে আমাদের মেনে নিতেই হবে।মৃত্যু নিয়ে অনেক সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। দোয়াকরি পৃথিবীর সকল বাবা মা ভালো থাকুক। আর যারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন তারা ওপারে ভালো থাকবে। আমিন।
একদম যথাযথ একটি পোস্ট করলে তুমি। দাদার বাবাকে জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য, প্রণাম। তোমার কবিতায় শোকের যে বার্তা তুমি দাদার প্রতি পৌঁছে দিলে, এমন ভাবেই মানুষের পাশে থাকতে হয় যেন। দাদার এই দুঃসময়ে সকলের উচিৎ এভাবে দাদার পাশে থাকা। মানসিক শক্তি দেওয়াও জীবনে ভীষণ দরকার। দাদার সমগ্র পরিবারের প্রতি আমারও শোকবার্তা আমি পোস্টের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছি৷ তুমি যেভাবে কবিতার প্রতিটি লাইনের মর্মার্থ ভেদ করে বোঝালে, তা ভীষণ অর্থবহ। প্রণাম জানাই দাদার শ্রদ্ধেয় পিতাকে 🙏
শোক জ্ঞাপনের সুন্দর বা অসুন্দর মন্তব্য হয় না৷ সমবেদনা জানাই৷ এ কবিতার আর কিই ভালোমন্দ বলব বন্ধু? হৃদয় ছুয়ে যায়, নাড়িয়ে দিয়ে যায় ঘুমন্ত কোষগুলোকে৷
দাদা সামলে উঠুন এই কামনাই করি৷
তুমিও সব্বাইকে নিয়ে ভালো থাকো৷ ভালোবাসা নিও৷
দাদার বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সত্যিই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। এমন হঠাৎ মৃত্যু আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। দাদার পরিবার যাতে এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণ করতে পারেন,সেই কামনা করছি। যাইহোক কবিতার লাইনগুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। আপনার কবিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এমন সময়োপযোগী একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকের পোষ্টটি একটু ভিন্ন রকম মনে হয়েছে আমার নিকট, আগের নিয়মের থেকে একটু ভিন্ন। অবশ্য আজকের বিষয়টিও একটু ভিন্ন, এক কঠিন সত্যকে নিয়ে লেখা। আমাদের সবাইকে এই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। কবিতাটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ