মনোযোগ বিচ্ছিন্নতা(প্রথম পর্ব)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি,সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।এই মনোযোগ বিচ্ছিন্নতা এখনকার প্রজন্মের জন্য মেজর একটি সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।সবার কথা না হয় বাদ দিলাম।আমি নিজেই কোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারিনা।মনোযোগ ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করি।আর এই উপায়গুলো তো নিশ্চয় গুগলে সার্চ করেই করে থাকি। আধুনিক যুগে অন্যতম সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ব্যবহার আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।তো আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়।যেকোনো প্রয়োজনে গুগলের শরণাপন্ন হতে ভুল করিনা।তারপরেও কিছু বিষয়ের সমাধান হয়তো সহজে মিলানো সম্ভব না।
তো বন্ধুরা এই মনোযোগ বিচ্ছিন্নতা এটার সাথে আমি বেশ কয়েবছর আগেই জড়িত।যেমন ধরুন আপনি আমার সামনে বসে কথা বলছেন,আর আমিও আপনার দিকে তাকিয়েই আছি।কিন্তু কি বললেন, এটা আমি খেয়াল করিনি। মুখোমুখি এটা খুব বেশি একটা হয়না তবে অনলাইনে ক্লাস করার সময় হঠাৎ করেই নিজের অজান্তে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যেটা প্রতিনিয়তই ঘটে আমার সাথে।অন্যদিকে আরো একটি সমস্যা ফেইস করতে হয় আমার।এই ধরুন একজন একটা টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছেন আমাকে।তার মেসেজ আমি দেখে উত্তর দিয়ে দিয়েছি।আসলে সে যে কি প্রশ্ন করেছেন বা জানতে চেয়েছেন।এটা সেভাবে লক্ষ্য করিনি।আর পরে যখন নিরিবিলি সময়ে মেসেজ দেখি তখন বুঝতে পারি সে তো অন্য প্রশ্ন করেছে আর আমি দিয়েছি ভিন্ন উত্তর।তো আমি যেহেতু এই কাজটি প্রায় করি,তাই আমার যাতে পরবর্তীতে চিন্তায় পড়তে না হয় সেজন্য মেসেজ সবসময় ডিলিট দিয়ে দিই।
মানুষের একটানা মনোযোগ সহকারে কতোক্ষণ একটি কাজ করতে পারে।সেটা নিশ্চয় আপনাদের সকলের জানা।যদি পছন্দের কাজ হয় তাহলে ৪৫ থেকে এক ঘন্টা মতো। আর যদি অপছন্দের কাজ হয় তাহলে সেটা ১৫-২০ মিনিট।তবে এই মনোযোগ বিচ্ছিন্নতার অন্যতম কারণ বর্তমান ইন্টারনেটের বেশি ব্যবহার।আর মোবাইল ফোন তো রয়েছে।যেহেতু মোবাইল রয়েছে সাথে ডাটা কানেকশন তো থাকবেই।আর নোটিফিকেশন তো আসতেই থাকবে সারাদিন।গবেষকদের মতে,দৈনন্দিন একজন মানুষের দুই ঘণ্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার অনুচিত।এছাড়াও দিনে নিদ্দিষ্ট একটি সময়ে মোবাইল ব্যবহারের পরামর্শ তারা দিয়েছেন।অতিরিক্ত বেশি মোবাইল ব্যবহারে মস্তিষ্ক তার কার্যক্ষমতা হ্রাস করে ফেলে ধীরে ধীরে।আমরা কতো ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করছি,আর সেটা কতোটা ক্ষতিকর আমাদের মস্তিষ্কের জন্য নিশ্চয় এতক্ষণে আন্দাজ করতে পেরেছেন বন্ধুরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষের মস্তিষ্কে একবার চেক করা নোটিফিকেশনের রেশ থেকে যায় ২৬ মিনিট।এখন ভাবুন আমি বা আপনি দিনে কতোবার নোটিফিকেশন চেক করি।আমরা যেহেতু ব্লগিংয়ে যুক্ত রয়েছি।আমাদের পোস্টে কয়টা ভোট পড়েছে,কমেন্ট পড়েছে এগুলোতে তো একটু কৌতূহল থেকেই যায়।যা দেখতে দিনে কতোবার আসা হয় সেটা আমাদের হিসাবের বাইরে।আমি এই বিষয়টি জেনেছি প্রায় এক বছর,যে মনোযোগ বিচ্ছিন্নতার প্রধান একটি কারণ নোটিফিকেশন চেক।সেদিন থেকেই কিছু সিস্টেম ফলো করে আসছি। হয়তো এখনো পুরোপুরি এই নোটিফিকেশন চেকিং থেকে বেরোতে পারিনি।তবে নিদ্দিষ্ট কিছু উপায় অবলম্বন করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি নিজেকে।এজন্য আমি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপসে লক সেট করে রেখেছি আবার নোটিফিকেশন অফ করে রেখেছি সেগুলোর। অ্যাপস গুলোতে লক সেট করাতে যেটা হয়েছে যখন তখন নোটিফিকেশন চেক করা হয়না।কারণ ওইযে লক খুলে আসতে হবে মানে অনেকটা কষ্টসাধ্য,যা মস্তিষ্ক সেট করে নিয়েছে তার মেমোরিতে।এর পরের পর্বে আপনাদের সাথে মনোযোগ বিচ্ছিন্নতার আরো একটি অন্যতম কারণ নিয়ে আলোচনা করবো।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে সময় উপযোগী দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে মনোযোগ বিচ্ছিন্নতা আমি মনে করি প্রতিটা মানুষের খারাপ দিক। যেকোনো ভালো কাজ করার সময় যদি সে কাজ থেকে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে কাজে আর মন বসে না। বর্তমান সময়ে মনোযোগ বিচ্ছিন্নের সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোষ্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
এই সমস্যাটা আমার মাঝে মধ্যে হয়,কেউ আমাকে কিছু বলছে এবং আমিও শুনছি কথা গুলো, কিন্তু আমার মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। বিশেষ করে মোবাইলে নোটিফিকেশন আসলে তো মনোযোগ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি বেশিরভাগ সময় মোবাইল সাইলেন্ট মুডে দিয়ে রাখি। যাতে করে নোটিফিকেশন এর আওয়াজ কানে না আসে। তবে অ্যাপস লক এর ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে আপু। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফোন সাইলেন্ট করে রাখলে আর আব্বু ফোন দিয়ে না পেলে আর রক্ষা থাকেনা ভাইয়া।সাইলেন্ট করে একবার একটা সমস্যা হয়েছিল,আগামীতে কোনো পোস্টে শেয়ার করবো সেটা।ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।