দ্যা কলোনি - The Colony [ দ্বিতীয় খন্ড ]
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম। কি অবস্থা সবার? গত সপ্তাহে ঠিক এই দিনেই আমি কলোনি মুভিটি দুই খণ্ডে ভাগ করে প্রথম খন্ড রিভিউ করেছিলাম। গতপর্বে যেখান থেকে শেষ করেছিলাম সেখান থেকে আবার শুরু করছি।
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
মুভি সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ-
নাম: কলোনিয়া
পরিচালক: ফ্লোরিয়ান গার্লেনবের্গার
দেশ: জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, ইউ.কে
মুক্তি: ১৩ সেপ্টেম্বর , ২০১৫
ভাষা: ইংরেজি,স্প্যানিস
বক্স অফিস : $৩.৬ মিলিয়ন
তথ্যগুলো Wikipedia থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
কাস্ট-
নং | বাস্তব নাম | চরিত্রে |
---|---|---|
১ | এমা উয়াটসন | লিনা |
২ | ড্যানিয়েল ব্রুল | ড্যানিয়েল, লিনা'স বয়ফ্রেন্ড |
৩ | মাইকেল নিকোভিস্ট | পল |
৪ | লিসেন্ডা কারেই | গিসেলা |
প্লট/ স্টোরিলাইনঃ-
তো গত পর্বে আমরা জেনেছিলাম লিনা পল এর আস্তানায় এন্ট্রি নিয়েছে। পরবর্তী সিনে আমরা দেখতে পারি এই আস্তানার কোন একটা জায়গায় ড্যানিয়েলকে আটকে রাখা হয়েছে। সেটা ছিলো একটা কারখানা। ড্যানিয়েল কে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ড্যানিয়েল মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে অর্থাৎ তার উপর হয়তো অনেক অত্যাচার করা হয়েছে।
এরপর পরবর্তী সিনে দেখতে পাই লিনা তার সঙ্গী সাথীদের সাথে একটা ঘরে শুয়ে আছে। লিনা হঠাৎ মাঝ রাতে খেয়াল করে ওই ঘর থেকে একটা মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। লিনা গোপনে তার পিছু নেয়। পল একটা রুমের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে গিয়ে অনেক পুরুষের সামনে বসিয়ে রাখে। এরপর সেই মেয়েকে অনেক খারাপ ভাবে উপস্থাপন করা হয় সবার সামনে। এরপর সবাই ওই মেয়েকে অত্যাচার করতে সমর্থন করে। এখানে আসলে সব মানুষজনের ব্রেন ওয়াশ করে রেখেছে পল। এরপর পল সেই মেয়ের উপর অনেক অত্যাচার চালায়। এগুলো গোপন লিনা দূর থেকে দেখে ফেলে। পল হঠাৎ বুঝতে পারে জানালার ওপারে কেউ একজন আছে। লিনা তখন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে দৌড়ে তার রুমে চলে আসে।
এরপর আমরা দেখতে পাই ড্যানিয়েল রাতের অন্ধকারে একটি টর্চ লাইট নিয়ে ওই আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু হঠাৎ একটা তাঁরের সাথে তার পা বেধে যায় এবং ড্যানিয়েল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন সবাই বুঝতে পেরে যায় ওখানে কেউ একজন আছে । আর এভাবেই ড্যানিয়েল ধরা খেয়ে যায়। কিন্তু কেউ কিছু বলেনা কারন সবাই জানে ড্যানিয়েল মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ। ও হয়তো পাগলামি করতে করতে এখানে চলে এসেছে।
কিছুদিন পর ওই কলোনিতে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাহির থেকে অনেক অতিথি আসে। সেদিন পল ঐ কলোনিতে থাকা সব পুরুষ এবং মহিলাদের একত্রিত করে। তাদের যেহেতু ব্রেন ওয়াশ করা আগে থেকেই তাদেরকে ওই ভাবে প্রস্তুত করা হয় যেন সব সময় হাসি খুশি থাকে। অতিথিদের সামনে সবাই এমন আচরন করে যে সবাই অনেক খুশিতে এখানে বসবাস করছে। ওই অনুষ্ঠানেই দেখা হয়ে যায় ড্যানিয়েল ও লিনার। ড্যানিয়েল লিনার কাছে গিয়ে হাত ধরে। তখন লিনা বলে আজ আলুর গুদামে আমার ডিউটি আছে ওখানে তুমি রাতে দেখা করবা। এরপর ড্যানিয়েল আলুর গুদামের গেটে গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য আবেদন জানায় এবং সেই সেটা মঞ্জুর হয়। এরপর রাতে লিনা এবং ড্যানিয়েলের দেখা হয়। তারা দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে৷ অনেক কথা হয় তাদের মাঝে। এরপর হঠাৎ একটি জায়গায় ড্যানিয়েলের পা আটকে যায়। এরপর সেখানে লক্ষ করে দেখতে পায় যে ঐখান দিয়ে একটা সুরঙ্গ চলে গেছে বহুদূর।
এরপর ঘরে একজন গার্ড চলে আসেন। তখন লিনা কৌশলে ঐ সুরঙ্গ পথের ঢাকনা বন্ধ করে দেয়। ওদিকে ড্যানিয়েল সুরঙ্গ পথের পুরো ধারনা নিয়ে ফিরে আসে। আসার সময় একটা ক্যামেরা পায়। ওটা দিয়ে কিছু ছবি তুলে আনে। এরপর ড্যানিয়েল সুযোগ বুঝে উপরে চলে আসে। এরপর ড্যানিয়েল লিনাকে সবকিছু খুলে বলে। ড্যানিয়েল লিনাকে বলে আমার বিশ্বাস এই সুরঙ্গ দিয়ে আমরা বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবো। আমরা আগামীকাল রিক্স নিব। কারণ আগামীকালের মধ্যে যদি বেরিয়ে না যেতে পারি তাহলে মেডিকেল রিপোর্ট ওরা দেখে ফেলবে। ওরা বুঝে ফেলবে যে আমার মাথায় কোন সমস্যা নেই৷ আর আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। তখন আমাকে সন্দেহ করবে আর আমাদেরকে ধরে ফেলবে।
এর পরদিন রাতে ড্যানিয়েল আর লিনা প্রস্তুতি নেয় বেরিয়ে যাওয়ার। এ সময় একজন নার্স আসে ওইখানে। ওই নার্সের ডিউটি ওইখানে ছিল সেদিন। নার্স সবকিছু বুঝে ফেলায় ওদেরকে সন্দেহ করে। তখন ড্যানিয়েল আর লিনা নার্সকে বুঝায় যে তুমি চাইলে আমাদের সাথে বেরিয়ে যেতে পারবে। তখন নার্স রাজি হয়। ওরা তিনজন একসাথে তখন ঐ সুরঙ্গ দিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগে। এরপর অনেকক্ষন হেঁটে যাওয়ার পর সুরঙ্গের মাথা খুঁজে পায়। সুরঙ্গ দিয়ে উপরে উঠে দেখে একটা জঙ্গলের মধ্যে উঠেছে। তখন তারা সুরঙ্গ থেকে বেরিয়ে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হাঁটতে শুরু করে। এমন সময় একটা ফাঁদে ওই নার্স পা দিয়ে ফেলে। তখনই ওই ফাঁদে সেট করে রাখা তির নার্সের গায়ে এসে লাগে। নার্স ওখানেই মারা যায়।
এদিকে লিনা আর ড্যানিয়েল কোনমতে একটা এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছায়। ওখানে লিনার এক পরিচিত পাইলট ছিলো। তারা সেদিন টিকিট করতে পারছিল না। তখন লিনার ওই কলিগকে রিকোয়েস্ট করে এবং তার সেই কলিগ প্লেন স্টার্ট দেওয়ার আগে তাদের জন্য অপেক্ষা করে। লিনা আর ড্যানিয়েল ওই প্লেনে ওঠে তারপর তার কলিগ প্লেন ছেড়ে দেয়। আর এজন্য তাদেরকে কেউ ধরতেও পারে না। এভাবেই তারা দুজন রক্ষা পায়। এরপর ড্যানিয়েলের তোলা ছবিগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। তখন সারা বিশ্ব ওই কলোনির কথা জানতে পারে। আর এরইমধ্যে শেষ হয়ে যায় মুভিটা।
মুভি ট্রেইলারঃ-
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

দারুন ইন্টারেস্টিং মুভি।প্রতিমূহুর্তেই টানটান উত্তেজনা।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউ দিয়েছেন।আগের রিভিউ পড়ে প্রথম পর্ব দেখে নিয়েছি।এবার এটিও দেখে ফেলব।
এটা মুভি টা দেখা নেই। তবে গল্প পড়ে বেশ কৌতূহল বাড়লো। আর আপনার বর্ণনা বেশ ভালো হয়েছে।
লিনা আর ড্যানিয়েলকে যদি বন্ধু পাইলট সহযোগিতা না করতো তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত। খুবই দুঃসাহসিক ছিল মুভিটি। চমৎকার ভাবে আপনি রিভিউ করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
প্রিয় ভাইয়া, দ্যা কলোনি বেশ কয়েকদিন আগে প্রথম খণ্ড পড়েছিলাম এবং দ্বিতীয় খন্ডের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ দ্বিতীয় খন্ড পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার। তবে কলোনিতে পল মেয়েদের উপর যে অত্যাচার করে এটা জানতে পেরে আমার খুবই খারাপ লাগলো। আর ড্যানিয়েল ও লিনা দুজনই কলোনি থেকে বের হওয়ার জন্য খুবই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা সুরঙ্গ পথের মাধ্যমে কলোনি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং এয়ারপোর্টে গিয়ে লিনার কলিগ এর সহায়তায় বিমানের টিকিট ক্রয় করে তাদের নিরাপদ স্থানে যেতে পারে। তারপর কলোনিতে বিভিন্ন অত্যাচারের দিক তারা সারা বিশ্বে প্রচার করতে থাকে। এই মুভিটির এ সমস্ত বিষয়গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ভাইয়া এরকম আরো সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
দ্যা কলোনি মুভি কখনো দেখি নাই। কিন্তুু আপনার সুন্দর বনর্না পড়ে আর দেখার প্রয়োজন মনে করতেছি না। নার্সটাকে সাথে নেওয়ার সময় বুঝতে পারছিলাম। নার্সটা রাস্তায় মারা যাবে। আর ধারনা সঠিক হয়ে গেল। অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলোনি জায়গাটা আজব লাগলো আমার কাছে এবং মুভিটি অনেক রোমাঞ্চকর। লিনা যদি রিস্ক নিয়ে কলোনিতে প্রবেশ না করতো তাহলে হয়তো ড্যানিয়েল কখনোই উদ্ধার পেত না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় তারা আলুর গুদামে আসতে পেরেছিল। লীনা আলুর গুদামে ডিউটি না নিলে হয়তো সুরঙ্গের খোঁজ কখনোই পেত না। যাক শেষ পর্যন্ত যারা মুক্তি পেয়ে ফিরতে পেরেছে এটাই অনেক কিছু। মুভির খন্ড দুটি পরে আমার খুব ভালো লেগেছে সময় করে আজকেই দেখে নেব।
ধন্যবাদ আপনাকে।