আরশোলার ভয়ে ভয়ংকর অসুস্থ 😒
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বাসি বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন সুস্থ আছেন আমিও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার মেয়ের স্কুলের একটি ঘটনা। তো চলুন ঘটনাটি কি ছিলো।
প্রতিদিনের ন্যায় যথারীতি সকালবেলা উঠে মেয়েকে রেডি করিয়ে খাইয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ছিলাম।স্কুলে গিয়ে মেয়েকে ক্লাস রুমে বসিয়ে দিয়ে আমি। ওয়েটিং রুমের বারান্দায় বসে ছিলাম রোদ্রে। বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সঙ্গে কখনো আড্ডা দিচ্ছি। কখনো সবার পোস্টে কমেন্ট করছি অবশ্য প্রতিদিনের এরকম করেই কাটে আমার দিনটি। বেশ ভালই হয়েছে বাংলা ব্লগে কাজ করার পর থেকে। আগে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যেতাম সময় কাটতো না। এখন বাংলা ব্লগে সময় দিতে গিয়ে সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় বুঝতেই পারি না। এজন্য ধন্যবাদ জানাই বাংলা ব্লগকে। ধন্যবাদ জানাই @bristychaki কে।হঠাৎই মনে পড়লো বেতন পরীক্ষার ফি এগুলো দিয়ে নেই। ৩০ তারিখ থেকে মেয়ের ফাইনাল পরীক্ষা। তাই বেতন পরীক্ষার ফি দেয়ার জন্য স্কুলের অফিসে অধ্যক্ষের রুমে চলে গেলাম। অধ্যক্ষ পালাতক রাজনীতি সমাচারে সেগুলো এখানে শেয়ার করতে চাচ্ছি না। অধ্যক্ষের ওয়াইফ দায়িত্বে আছেন। উনি নিলেন পরীক্ষার ফিস ও বেতন। এরপর ওনার সঙ্গে একটু গল্প গুজব করছিলাম। আরো দুই একজন বাচ্চার মা ছিল ওখানে। হঠাৎই একদল মেয়ে আরেকটি মেয়েকে ধরাধরি করে অফিস রুমে ঢুকে পরলো। মেয়েটি কান্না করছিলো।হাত পা গুলো অস্বাভাবিক বাঁকা বাঁকা লাগছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম পড়ে গিয়ে এমনটি হয়েছে। ম্যাডাম ওদেরকে প্রশ্ন করল কি হয়েছে। মেয়েটির নাম তনী চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ।ওর সাথের বান্ধবীরা বলল যে ওদের ক্লাসের ছেলেরা ওকে নাকি আরশোলার ভয় দেখিয়েছে ,ওর শরীরে আরশোলা ধরে ছেরে দিয়েছে কোন এক বাচ্চা আর। তনী ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাত এবং পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আমরা তাড়াতাড়ি ওকে চেয়ারে বসিয়ে হাত-পা ম্যাসাজ করতে লাগলাম। কান্না কিছুতেই থামছে না। ওর নাকি প্রচন্ড বুকে ব্যথা অনুভব হচ্ছে। আসলে আগে থেকেই নাকি ও হার্টের রোগী। হঠাৎ ওভাবে ভয় পাওয়ার কারণে এমন অসুস্থ হয়ে গেছে। আমরা হাত পা এবং বুক ম্যাসাজ করতে লাগলাম। না কিছুতেই কিচ্ছু হচ্ছে না। ও আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বুকে ব্যথার জন্য। আমাকে বলছিল আন্টি আমার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা। এরপর ডাক্তার কে ফোন করা হলো। আপনারা হয়তোবা জানেন গ্রামের চিকিৎসা পরিস্থিতি অনেক দুর্বল। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একমাত্র হাতুড়ে ডাক্তার শেষ ভরসা। সেই হাতুড়ে ডাক্তার ও নেই। কোথাও এক জায়গায় রুগি দেখতে গেছেন এসব ডাক্তারের আবার গ্রামে অনেক চাহিদা।তাই সসাদ্ধে এই ডাক্তারদের দেখা পাওয়াও মুশকিল তনীর বাবাকে ফোন করা হলো। একটুর মধ্যেই তড়িঘড়ি করে ছুটে চলে আসলেন মেয়ের অসুস্থতার খবর শুন। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে মা কি হয়েছে তোমার প্রশ্ন করলেন মেয়েকে।মেয়ে বাবাকে দেখে ভেঙ্গে পরল বাবা আমার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা। তনীর বাবা একটি ভ্যান ডেকে আনলো।মেয়েকে কোলে তুলে ভ্যানে ওঠাবে কিন্তু পারছিলেন না কারণ তনীর বাবার একটি হাত নেই।খুব খারাও লাগলো এই মূহুর্তে। পরে স্কুলের ম্যাডম ও এক স্যার সহ ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলো ডাক্তারের উদ্দেশ্যে।তনীকে নিয়ে যাওয়ার পর স্কুল ছুটি দিয়ে দিলেন।বাড়িতে চলে এসেছি। ঘটনাটি যেন চোখের সামন থেকে সরছেই না। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি তনী যেন ভালো হয়ে যায়।
আজ এই পর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্ট
নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশের |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু কিছুদিন আগে আমার ছেলের সাথে এমন ঘটনা ঘটে ছিল। সে হঠাৎ করে তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়ে অনেক জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে আর ভয়ে কান্না যেন থামছেই না। তখন অনেক কষ্টে থামিয়েছি আর এরপর থেকে তেলাপোকা দেখলে খুব ভয় পায়। সেদিন রাতেও ঘুমের মধ্যে চিৎকার দিয়ে ওঠে। যাই হোক তনীর সাথে এটা করা বাচ্চাদের ঠিক হয়নি। যে যেসব জিনিসে ভয় পায় তাদের সেগুলো না দেখানোই ভালো। তনীর বাবাও শারীরিক ভাবে অসুস্থ জেনে সত্যি খুব খারাপ লাগলো। তনীর এরপর কি হলো খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
কেন জানি সব বাচ্চারাই তেলাপোকা ও মাকড়সা দেখলে ভয় পায়।আমার মেয়েও প্রচন্ড রকমের ভয় পায়।আসলে ওই বাচ্চাটিও বুঝতে পারেনি এতো ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে।তনী ভালো আছে এখন ওর হার্ড দূর্বল তাই এমন শরীর খারাপ হয়েছিল ভয়ে।
যে ছেলেটা এই কাজ করেছে সে হয়তো বুঝতে পারিনি যে এত বড় একটা সমস্যা হতে পারে। তবে অবশ্যই তাকে কিছুটা শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে।যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর না করে। আর ওই বাচ্চা মেয়েটার হার্টের রোগ থাকার কারণে হয়তো আরো বেশি কষ্ট হয়েছে। তবে আপনার আজকের এই পোষ্ট টা পড়ে সত্যিই অনেক কষ্ট লাগছে। তার ওপর আবার ওই মেয়ের বাবার একটি হাত নেই। আশা করি বাচ্চাটা জলদি সুস্থ হয়ে যাবে।
হ্যাঁ আপু ছেলেটিও বুঝতে পারেনি কিন্তুু অনেক বড়ো দূর্ঘটনা হতে পারতো।ছেলেটিও ভয় পেয়ে গেছে খুব তবে শুধু ওই ক্লাসে নয় ম্যাডাম বল্লেন সব ক্লাসেই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বাচ্চাদের সাথে।যাতে করে কেউ কাউকে এমন করে ভয় না দেখায়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।