গুচ্ছগ্রাম
গুচ্ছগ্রাম
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম, আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার ক্রিয়েটিভিটির নতুন একটি উপহার নিয়ে হাজির হলাম। আবার আমি দারিদ্রতা খুব ভালোবাসি কারণ আমি দারিদ্র্য পরিবারের একজন সন্তান।বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই দেশে সোনার ফসল ফলে কিন্তু দিন দিন মানুষ আরাম প্রিয় হয়ে উঠতেছে। একটা সময় মানুষ যখন তাঁতযন্ত্র হাত দিয়ে ঘুরাতো তখন মানুষের ঘরে অভাব ছিল কিন্তু কর্মের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতো না। এখন মানুষের মাঝে অলসতা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ এখন কাজ খুজে পায় না।
যাইহোক আজকে আমার আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে গচ্ছগ্রাম। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় দরিদ্র এবংগৃহহীন মানুষদের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কিছু সংখ্যক বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় তাদের থাকার জন্য যা গচ্ছগ্রাম নামে পরিচিত।
তবে এ গুচ্ছগ্রামে যাদের বসবাস তাদের প্রত্যেক জনার আলাদা আলাদা একটি করে গল্প আছে। সত্যিকথা বলতে এই গল্প আমি হয়তো লিখে শেষ করতে পারবো না। যারা এখানে বসবাস করে তারা কেউ এখানে স্বচ্ছায় আসেনি। কেউ এসেছে বড়লোক সন্তানের বোঝে থেকে,কেউ এসেছে স্বামি সংসার হারিয়ে কেউ বা এসেছে অজানা কিছু রিদয় ক্ষয়ি গল্প নিয়ে যা আত্মা দিয়ে ই অনুভব করা সম্ভব। তারা সেখানে তার কাটায় আজারো কষ্ট বুকে নিয়ে, তাদের কষ্টের দৃশ্য এমনো হতে পারে যে পরের দন তারা কি খাবে এটা তারা অনিশ্চিত। তার পরেও তাদের মুখে হাসির আলো দেখা যায়।
আমরা আমাদের যায়গা থেকে সব কিছু আমাদের মতো করেই ভাবি। আমাদের তিন বেলারি খাবার আছে তার পরেও আমরা চিন্তা করি রাতের খাবারে গোস্ত খেতে পারবো না। কারন কাজের মেয়ে তো আজ আসেনি। আমাদের ভাবনা তিন বেলায় ভালো খাওয়া কিন্তু সেই গ্রামে থাকা সোনার মানুষ গুলো যানে না তারা তার পোহায়লে কি খাবে।দুঃখ কষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন।
আপনি যদি ও দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তারপরে আপনার ভেতরেও বর্তমান পরিস্থিতি এবং বর্তমান যুগ সম্পর্কে কোনো না কোনো ভাবে কাজ করে।সুতরাং সেভাবে হলে আপনাকে অবশ্যই এই পৃথিবীর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে
তাছাড়া আপনি অবশ্যই পিছিয়ে পড়বেন এবং তখন মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবেন