ভ্রমণ পোস্ট: রাতের চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে এক দিন

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রাতের চিকলি ওয়াটার পার্কের রাতের সৌন্দর্য শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, চিকলি ওয়াটার পার্ক রংপুর শহরের মধ্যে একটি বিখ্যাত বিনোদন পার্কে পরিণত হয়েছে।আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে চিকলি ওয়াটার পার্কের বেশ কিছু পর্ব শেয়ার করেছি। আসলে আমি সেই সব পর্বের মধ্যে দিনের চিকলি ওয়াটার পার্কের সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।তবে, আজকে আমি আপনাদের সাথে রাতের চিকলি ওয়াটার পার্কের সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনারা হয়তো আমার শেয়ার করা দিনের চিকলি ওয়াটার পার্কের প্রতিটি ব্লগ দেখেছেন। আশা করছি আপনারা সকলেই সেই সব পর্ব থেকে চিকলি ওয়াটার পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন।আর আমি প্রতিটি পর্ব খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।যাতে করে আপনাদের দেখতে অনেক সুবিধা হয়। আশাকরি আপনারা আজকের ব্লগ টি খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করবেন।

চিকলি ওয়াটার পার্কের টিকেটের বিষয় গুলো আপনারা সকলেই হয়তো ইতোমধ্যে জেনে গিয়েছেন।তাই আমি আর এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাই না। আজকে আমি আপনাদের সাথে চিকলি ওয়াটার পার্কের রাতের সৌন্দর্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আপনারা আপনাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে উপভোগ করার চেষ্টা করবেন। যারা রংপুর বিভাগের আশেপাশের রয়েছেন, তাঁরা হয়তো ইতোমধ্যে সকলেই জানেন যে, বর্তমান সময়ে চিকলি ওয়াটার পার্ক আমাদের রংপুর বিভাগের বেশ কিছু জেলার মানুষের কাছে এটি একটি ইউনিক পার্ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।আর যারা রংপুর বিভাগের বাহিরের তারা হয়তো অনেকেই বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ার মধ্যে চিকলি ওয়াটার পার্কের সৌন্দর্য ভিডিও এর মাধ্যমে দেখতে পারছেন।

বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার এক বন্ধুর ম্যাসে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে সকল বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে করতে এক পর্যায়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। তখন আর তারা আমাকে বাসায় আসতে দেয়না। তারা বলে আজ রাতে সকল বন্ধু বান্ধব সহ চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে ঘুরতে যাবো।আমি তাদের কথায় রাজি হয়ে গেলাম। তবে, আমি বাসা থেকে থাকার জন্য সেখানে যাইনি।আমি শুধু মাত্র তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য গিয়েছিলাম। যাইহোক, এরপর আমরা সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। এরপর আমরা বের হয়ে রংপুর চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে যাওয়ার জন্য একটি রিকশা ঠিক করে নিলাম। রিকশা ওয়ালা মামা আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে এসে নেমে দেয়।

আমরা সকলে‌ মিলে টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখতে পারলাম, চিকলি ওয়াটার পার্কের নতুন গেটের মধ্যে বিভিন্ন রকম লাইট চালু করে দিয়েছে।লাইট গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আপনারা সামনাসামনি গিয়ে দেখলে হয়তো বিষয় গুলো আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারতেন। তবুও আমি ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তবে, এখন পুরাতন গেটের তুলনায় নতুন গেটের সৌন্দর্য অনেক বেশি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুরাতন গেট দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। আবার বের হ ওয়ার পথে নতুন এই গেটের মাধ্যমে বের হতে হয়। সেদিন রাতের বেলা এই পার্কের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জ্যাম ছিল।আর রাতের বেলা এই পার্কের মধ্যে একটু জ্যাম থাকবেই এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়।

আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় পুরো পার্ক ঘোরাঘুরি করলাম।পুরো পার্ক ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা চলে গেলাম চিকলি ওয়াটার পার্কের মূল আকর্ষণ সেই উত্তরবঙ্গের সব চেয়ে বড় নাগরদোলার কাছে। রাতের বেলা পুরো নাগরদোলা টি খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে।পুরো নাগরদোলা টি বিভিন্ন ধরনের লাইট দিয়ে ডেকোরেশন করেছে। শহরের যে কোন জায়গা থেকে এই নাগরদোলা টি দেখতে পাওয়া যায়। কিছু কিছু সময় গ্ৰাম এলাকার বড় বড় বিল্ডিং গুলোর মধ্যে উঠলে এই নাগরদোলা দেখতে পাওয়া যায়। এটা আসলে আমাদের রংপুর শহরের একটি সৌন্দর্য। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় নাগরদোলার কাছে ছবি উঠাইলাম। নাগরদোলার কাছে ছবি তোলার জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। আপনারা চাইলে সেখানে এসে নিজের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করার পর ম্যাসে চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।