ভ্রমণ পোস্ট:রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমন (চতুর্থ পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ১৪ ই জুলাই ২০২৪ ইং
আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমনের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছি। আপনারা হয়তো সকলেই আমার শেয়ার করা ব্লগ গুলো পড়েছেন এবং দেখেছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমনের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই পার্কের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আশা করছি সকলের নিকট অনেক বেশি ভালো লাগবে। আসলে রংপুর বিভাগের মধ্যে যে কয়টি বিনোদন পার্ক রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পার্ক হচ্ছে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক। এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন। আবার অনেকেই হয়তো এই পার্কের মধ্যে ইতোমধ্যে ঘুরতে এসেছিলেন। যারা ঘুরতে এসেছিলেন এই পার্কের মধ্যে তারা হয়তো সব কিছু সম্পর্কে অবগত আছেন। যারা এখন পর্যন্ত এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে আসেননি, তারা আমার এই ব্লগ টি ভালো ভাবে পড়ুন এবং দেখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন সব কিছু।
অন্যান্য পার্কের মতো এই পার্কের মধ্যে ও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পশু ও প্রাণির ভাস্কর্য।আর এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে পুরো পার্ক টি সাজানো হয়েছে। আসলে কৃত্রিম ভাস্কর্য না থাকলে কোন বিনোদন পার্কের সৌন্দর্য তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না।তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিনোদন পার্কের মধ্যে কৃত্রিম ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। অনেক দর্শনার্থীরা আছেন, যারা এই ভাস্কর্য গুলোর মধ্যে নিজের ছবি তুলতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে বাঘ, বিশালাকার সাপ, বানর ইত্যাদি ভাস্কর্যের মধ্যে ছবি তুলতে পছন্দ করেন। তবে, আমাদের চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে তেমন কোন বড় ধরনের ভাস্কর্য নেই। তবে, এই রকম বড় ধরনের ভাস্কর্য ভবিষ্যতে তৈরি হতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যে গুলো ভাস্কর্য রয়েছে সেগুলো খুবই ছোট ছোট পশু পাখির । এই ভাস্কর্য গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগে আমার কাছে।
চিকলি ওয়াটার পার্কের একদম মাঝ বরাবর রয়েছে একটি বিশাল বড় বট গাছ।এই বট গাছ টি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে আমার কাছে। আমার কাছে মনে হয় এই বট গাছ টি দীর্ঘদিনের পুরনো একটি বট গাছ।বট গাছের মধ্যে তেমন একটা পাতা নেই। তবে, এই বট গাছের ডাল পালা গুলো খুবই মোটা আকারের।দুর থেকে এই বট গাছ টি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। পার্কের বাহির থেকে এই বট গাছ টি দেখতে বেশ দারুন লাগে।আর এই বট গাছের নিচে দাড়ালে অন্যরকম স্বস্তি কাজ করে। তীব্র গরমের মধ্যে ও বট গাছের নিচে গিয়ে দাড়ালে অনেক টা শান্তি পাওয়া যায়।আর এই বট গাছের কয়েক টি ডাল পালা অনেক খানি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। অনেকেই আছেন, যারা এই বট গাছ টি দেখার জন্য এই পার্কের মধ্যে প্রবেশ করে।
অন্যান্য পার্ক যেমন টা ইট পাথরের নগরের মতো তৈরি, আমাদের চিকলি ওয়াটার পার্ক তার থেকে পুরোপুরি আলাদা। কেননা, আমাদের চিকলি ওয়াটার পার্ক পুরোপুরি সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দিয়ে ভরপুর। প্রচন্ড গরমের সময় অন্যান্য পার্কের মধ্যে যেমন টা অস্বস্তিবোধ হয়। কিন্তু এই পার্কের মধ্যে তেমন একটা অস্বস্তি বোধ হয় না। কেননা, এই পার্ক টি পুরোপুরি ভাবে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দিয়ে ভরপুর।আর সবুজ শ্যামল প্রকৃতি আমাদের কে স্বস্তি উপহার দিয়ে থাকে।আর আমরা বেশিরভাগ মানুষ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি কে অনেক ভালোবাসি। আমরা অনেকেই আছি যারা, সবুজ শ্যামল প্রকৃতি কে বন্ধু হিসেবে ব্যবহার করি। একজন বন্ধু যেমন বিপদের সময় ছায়া হিসেবে দাড়ায়। ঠিক অনুরুপ ভাবে প্রচন্ড গরমের মধ্যে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি আমাদের কে মনোরম পরিবেশ উপহার দেয়।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি আধুনিক পার্ক রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক। কেননা রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক টি সম্পুর্ন ভাবে বিভিন্ন কালারের লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা রাতের বেলা এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখনো এই পার্কের মধ্যে রাতের বেলা ঘুরতে যাননি।তারা রাতের বেলা এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে আসতে পারেন। কেননা, এই পার্কের সৌন্দর্য দিনের থেকে রাতের একটু বেশি। রাতের বেলা পুরো পার্কের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লাইট দিয়ে উজ্জ্বল করে ফেলে। আপনাদের সকলের আমন্ত্রণ রইল, আশা করছি আপনারা সকলেই এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে আসবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের ভ্রমন পোস্টটি। যদিও আপনার এই পার্কে ভ্রমন করতে আমার যাওয়া হবে না, তবুও আপনার মাধ্যমে এই পার্ক সম্পর্কে সবকিছু জেনে রাখলাম। সত্যি বলতে পার্কের দৃশ্যগুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে।
এইবার রংপুরে গিয়ে আমিও এই ওয়াটার পার্ক এ যেতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভুল রাস্তায় চলে যাওয়ার কারণে আর যাওয়া হয়নি। আপনার আজকের পোস্ট দেখে এখন আফসোস হচ্ছে। আসলেই বেশ সুন্দর বোঝা যাচ্ছে। এর পরের বার গেলে আবারো যাওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারা বেশ মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
ভ্রমণ করতে আমি নিজেও বেশ পছন্দ করি।এমন জায়গায় ঘুরতে তো বেশ ভালো লাগে।এই পার্ক টি আমার খুবই পছন্দের জায়গার মধ্যে একটি জায়গা।আপনি সেইখানে গিয়ে দারুন কিছু সময় উপভোগ করেছেন।আর সেই মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমণের চতুর্থ পর্বটি পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পার্কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে, বট গাছের বর্ণনা এবং সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সৌন্দর্য খুবই মুগ্ধ করেছে। ছবিগুলোও দারুণ হয়েছে। এই পার্কে আমিও বেশ কয়েকবার গিয়েছি, কিন্তু আপনার ব্লগ পড়ে মনে হচ্ছে যেনো আবার নিজেই ঘুরে আসলাম। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
[@redwanhossain]