শৈশব জীবনের স্মৃতিময় গল্প // চাল চুরি করে সিনেমা দেখা // পর্ব-০১।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার । ২৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, ২০০৩ সালে আমি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। ওই সময় আমাদের পাড়াতে মাত্র একটি টেলিভিশন ছিল। আর তখন সপ্তাহে মাত্র দুই দিন টেলিভিশনে মুভি দেখার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই সময় মুভি দেখাতেও অনেক বেশি বাধার সম্মুখীন হতে হতো। বিশেষ করে মুভি দেখার সময় বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা ছিল অন্যতম প্রধান, আবার একই সাথে ছিল লোডশেডিং এর প্রচন্ড অত্যাচার। শুধু এখানেই শেষ নয়, আমার বাড়ি থেকেও মুভি দেখতে খুবই বাধা দিত। তারপরেও আমি একজন দারুণ মুভি লাভার ছিলাম। কারণ ওই সময় আমাদের বাংলা সিনেমার একটি সোনালী অধ্যায় ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকারের পারিবারিক ও সামাজিক মুভি এবং প্রেমের মুভিগুলো আমাদের সকল শ্রেণীর মানুষেরা খুবই পছন্দ করতো।একই সাথে একশনের সিনেমা গুলো আমার খুবই পছন্দের ছিল।
কারণ ওই সময় বাংলা সিনেমার যুবরাজ অমর নায়ক সালমান শাহ, মহানায়ক মান্না, রুবেল, ওমর সানি, বাপ্পারাজ, আলমগীর-শাবানা, কিংবা রাজ্জাক-শাবানার দুর্দান্ত মুভি গুলো যতই দেখতাম ততই মুগ্ধ হয়ে যেতাম। শুধু তাই নয়, ওই সময়কার প্রত্যেকটা মুভির গানগুলো ছিল আরো বেশি আকর্ষণীয়। এমনকি ওই সময় ভারতীয় অভিনেতা সালমান খান, শাহরুখ খান, আমির খান ও গোবিন্দের মুভির হিন্দি গান গুলো আরো বেশি আমাদেরকে মুভি প্রেমী করে তুলেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটাই আমার প্রচন্ড আকারে মুভি দেখার প্রতি আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও মুভি দেখার সুব্যবস্থা ছিল না। তারপরেও মুভি দেখার জন্য কত দিন যে স্কুল ফাঁকি দিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। আবার মুভি দেখার জন্য কতদিন যে দুপুরের খাবার বিকেলে খেয়েছি তারও কোন হিসাব নেই। তারপরও মুভি দেখার চেষ্টা করেছি এবং দেখেছি।
ওই সময় আমাদের পাড়ার একটি বড় ভাই ছিল। আমি যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তাম উনি তখন দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে পড়তেন। আমাদের সেই বড় ভাই মাঝেমধ্যেই আমাদের গাংনী শহর থেকে ভিসিআর ভাড়া করে আনতেন এবং মুভি দেখতেন। কিন্তু ওই সময় নিয়ম ছিল যারা যারা ভিসিআর ভাড়া করে আনতে অংশগ্রহণ করবে একমাত্র তারাই মুভি দেখার সুযোগ পাবে। তাছাড়া অন্য কাউকে মুভি দেখার সুযোগ দেয়া হতো না। এমনকি যে ঘরে মুভি চালানো হতো সেই ঘরের দরজায় খিল দিয়ে মুভি দেখতো। যাতে অন্যরা কেউ সেই ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।
তাই আমি ভিসিআর ভাড়া করে মুভি দেখার জন্য প্রচন্ড আগ্রহী হয়েছিল। কিন্তু কাছে কোন টাকা ছিল না। ওই সময় স্কুলের টিফিন খাওয়া বাবদ বাড়ি থেকে এক থেকে দেড় টাকা করে দিত। মাঝেমধ্যে কয়েকদিন দুই টাকা করে দিত। কিন্তু সেই টাকা টিফিনেই শেষ করে দিতাম। ভিসিআর ভাড়া করে আনার জন্য কাছে কোন টাকা ছিল না। আবার মুভি দেখার জন্য বাড়ির অভিভাবকদের কাছ থেকেও টাকা চাওয়ার কোন সাহস ছিল না। টাকার জন্য গিয়েছিলাম নানীদের বাড়ি। যখন আমার ছোট খালা জানতে পারলো টাকা দিয়ে ভিসিআর ভাড়া করবো তখন খালাও নানিকে বলে টাকা দেয়া বন্ধ করে দিল। কিন্তু ভিসিআর ভাড়া করে সিনেমা তো আমি দেখবোই। তখন আমার চোখ পড়ল ঘরের কলসি ভর্তি চাউলের দিকে।
আমার পরিচয়।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।




আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
আজকের কাজ সম্পন্ন।
আসলে শৈশব জীবনের গল্প বা কাহিনী গুলো পড়লে কিন্তু খুবই ভালো লাগে।কিন্তু সেই শৈশব জীবনকে আর ফিরে পাবো না আমরা।তবে এইরকম চাল চুরি করে আমরা মুভি দেখি নাই, কিন্তু আমিও মুভি পাগল।তবে আমার বড় ভাই যারা ছিল তারা কিন্তু এই ধরনের কাজ গুলো করতো।যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনার ভীষণ ভালো লেগেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এভাবে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোটকালের সিনেমা দেখা আমারও এক ধরনের নেশা ছিল। আমিও সালমান শাহ মান্না এদের ছবি দেখতাম। তবে আপনি দেখছি চতুর্থ শ্রেণী থাকা অবস্থায় সিনেমা দেখতেন। তবে ওই সময় আমাদের এই দিকেও ভিসিআর ক্যাসেট গুলো চলতো। দেখি আপনার নানুর বাড়িতে কি পরিমান চাউল চুরি করেছেন। সেটা অবশ্য পরের পর্বে জানতে পারবো। আশা করি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরের পর্বটি।
নানুর বাড়িতে না ভাই, নিজের বাড়িতেই চাউল চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছিলাম।