বাস্তব গল্প- ভালোবাসার মানুষ থেকেও পরকীয়ায় আসক্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
source
মানুষ কিসে আটকায়? মায়ায়, ভালোবাসায় নাকি অর্থে।আজ এমন একটা বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো যেটা আসলে সচরাচর সব দিকেই ঘটছে।ব্যাপারটা আসলে বাস্তবিক একটা ঘটনা। যেটা কিনা আমাদের কাছের এক মানুষের। তার পরিস্থিতি এবং মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ।দোটানায় রয়েছে এখনো সে,কি করবে কি না করবে বুঝে উঠতেই পারছে না।আজ সেই মানুষটার জীবনের গল্প নিয়ে হাজির হলাম।
মেয়েটা সম্পর্কে ভাগনি হয়,বয়সে বড় আমার থেকে। তবে সম্পর্কের খাতিরে আমি তার মামনি হই। যাইহোক, প্রায় ৬/৭ বছর আগেই তার বিয়ে হয়। ছেলেটার সাথে রিলেশন ছিল বিয়ের আগে থেকে। তারপর তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। যদিও পরবর্তীতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল।এভাবে ২পরিবার সবকিছু মেনে নিয়েছে। ভালোভাবেই চলছিল সব। প্রথমবার একটা বেবি মিস হয়েছিল। পরবর্তীতে ৩বছর আগে আরেকটা বেবি হয়। যার বয়স এখন ৩ বছর।
কয়েকমাস আগের ঘটনা,হঠাৎ করে শুনলাম সেই মেয়েটার হাজব্যন্ড পরকীয়ায় জড়িত হলো।তার আরও আগে থেকেই নাকি অনেকের সাথে কথা বলতো। আর ভাগনী দেখলো যে বর্তমানে যার সাথে কথা বলে তার সাথে রিলেশনটা অনেক দূর গড়িয়েছে।তখন সে এগুলা নিয়ে হাজব্যন্ড এর সাথে কথা বলতে চাইলে তার হাজব্যন্ড বিভিন্নভাবে তাকে টর্চার করে।পরবর্তীতে মেয়েটা তার ফ্যামিলিকে সব জানায়।
এর মাঝে সে সবরকম প্রমাণ হাতে নিয়েছে। মেয়েটা তার হাজব্যন্ডের বন্ধুর কাছ থেকে সব রকম ইনফরমেশন পেয়েছে। আর তার হাজব্যন্ড যে মেয়েটার সাথে বর্তমানে রিলেশন করেছে তারও একটা মেয়ে আছে। বুঝেন কি একটা অবস্থা।যাইহোক, পরবর্তীতে সে তার হাজব্যন্ডের বিরুদ্ধে সকল তথ্য তার মামা,মা বাবার কাছে পাঠায়, যাতে করে ঐ মেয়েটার খোঁজ করতে পারে।
এদিকে সবাই সবার মত করে খোঁজ নিচ্ছে। পরবর্তীতে জানা গেল মেয়েটার খোঁজ যারা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে ঐ মেয়ের জামাই। তার কথা হলো সে এসব ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু অন্যরা কেন খবর নিচ্ছে।সে মুখে বলছে সব ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে সবকিছুই চালিয়ে যাচ্ছে।আবার কিছুদিন পর ঐ মেয়েটার হাজব্যন্ড দেশে আসে। তখন তাকেও সবকিছু জানানো হয়। কিন্তু সে হলো আরেক হাদারাম,কোথায় বউকে সামাল দেবে তা না,উলটা অন্যদের জেরা করছে।
আসলে ভাগনীর জামাই মূলত টাকার লোভে অন্ধ হয়ে গেছে।যে মেয়েটার সাথে সে রিলেশন শুরু করেছিল সেই মেয়েটা তাকে টাকা পাঠাতো। মেয়েটার পরিবারের লোকজন বিদেশে থাকে আর জামাইও। আর সে জামাইয়ের টাকা পাঠাতো পরপুরুষকে। এভাবেই সে সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছে। দুজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছে,সে সকল ছবিও ভাগ্নী পেয়ে গিয়েছে।
কিন্তু সবশেষে দেখা গেল ভাগনী নিজেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল। যেখানে সে প্রথমদিকে সবকিছুই নিজে নিজে করেছে,আর এটাও বলেছে যে এই সংসার সে করবে না।কিন্তু পরবর্তীতে বলছে যে সে আরেকটা সুযোগ দিবে। কারণ সে তো ভালোবেসেছিলো। যাইহোক যদিও তারা এখন সংসার করছে, কিন্তু জামাই তার সাথে কথা বলে না।আর সে একরকম ঘাড়ত্যারা লোক। অন্যায় করেছে নিজে,আবার নত হচ্ছে না।
যাইহোক মূলত পুরো ঘটনার বিস্তারিত না বলে জাস্ট এই বিষয়টা বোঝাতে চাইলাম, যেখানে ভালোবেসে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল সেখানেই আবার পরকীয়ায় যুক্ত হওয়ার মানে টা কি?কিছু মানুষের রুচি দেখলেও বমি পায়,এক জনে আসক্তি নেই তাদের। সর্বোপরি ভালোবাসাটা থাকা দরকার,অর্থের লোভে ভালোবাসা বিলিয়ে দেয়া মোটেও ঠিক না।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপনার ভাগ্নির জন্য সত্যি অনেক আফসোস হচ্ছে অবশেষে তিনি খারাপ একটা সিচুয়েশনে পড়লো। আসলে সত্যি বলতে পরকীয়াটা আমাদের সমাজে এমনভাবে একটা রূপ নিয়ে এসেছে যে প্রায় অধিকাংশ বাড়িতে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে । আর এটার জন্য দুটো দম্পতির মধ্যে সংসারটা ভেঙে যায়। আপনার ভাগ্নের জামাই টাকার জন্য অন্ধ হয়ে গেছিল কথাটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো এটা সত্যি অনেক দুঃখজনক একটা বিষয়।
মানুষের মন কখন কেমন হয়ে যায় সেটা কেউ ই জানে না ভাইয়া।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সমাজে মানুষের রুচিবোধ যে কোন দিকে যাচ্ছে একমাত্র আল্লাহই ভাল জানে। একটা সময় মনের মধ্যে এমন চিন্তা ধারা ছিল যে নিজে পবিত্র থাকব অন্যকে পবিত্র রূপে দেখব। কিন্তু মানুষের মধ্যে সেই অনুভূতি যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। নিজের সবকিছু থাকার পরেও খারাপ পথে যে কিভাবে পা বাড়ায়। ইসলামিক আইন যদি থাকত তাহলে এমনটা কখনো হতো না।
কি আর করার ভাইয়া যার মন যেমন চাইছে ঠিক তেমনি করছে। সমাজ পরিবেশ পরিস্থিতি চিন্তা করে না কখনো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম অহরহ ঘটনা আছে আপু।বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে পরকীয়া।ভালোবেসে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরেও পরকীয়ায় আসক্ত খুবই দুঃখজনক ঘটনা।সত্যি আপনার ভাগ্নির জীবনটাই নষ্ট। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এখন নাকি ঠিক হয়েছে,কিন্তু আগের মত আর নেই। যতই হোক ভাঙা কাঁচ জোড়া লাগে না ঠিক মত।