হরি বাসর
সবাই কে আমার নমস্কার /আদাব। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন ও সুস্থ আছেন। আমি ও ভালো আছি সুস্থ আছি।আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমাদের এখানে হয়ে যাওয়া হরি বাসর।
হরি বাসর এ মুলত শ্রী কৃষ্ণের নীলা কির্তন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয় এ শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী সর্বস্তরের মানুষ এসে উপস্থিত হয়। তৈরি হয় এক উৎসব মুখর আনন্দদায়ক পরিবেশ। এটি কয়েক দিন যাবৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে অধিবাস হয়।তারপর দুদিন যাবৎ নাম কির্তন,তারপর আবার দু দিন ধরে পদাবলী এবং সব শেষে ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে আমি এই নিয়ম গুলো সঠিক জানি না। এটা আমার এই কয়দিন এর অভিজ্ঞতা। কিছু ছবি তুললাম।
আর আমি জীবনে প্রথম প্রায় শুরু থেকে শেষ অব্দি দেখলাম।
কারন আমি প্রতিদিন ই এবার হরি বাসর এ উপস্থিত ছিলাম।
এখানে রান্নার আয়োজন ছিল।
হরি বাসর এক প্রকার মিলন মেলা। অনেক অপরিচিত মানুষ এর সাথে নতুন করে পরিচয় হয়। আবার এমন অনেক মানুষ আছে যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে, কিন্তু ব্যাস্ততায় আর যোগাযোগ করা হয় না। তাদের সাথে দেখা হয়, ভাব বিনিময় হয়।
হরি বাসর এ দু বেলায় ভোজন করানো হয় সাধারণ মানুষদের।
দুপুর এ ভাত, ডাল, টক সব্জি, রসা ইত্যাদি একেক দিন একেক রকমের। আর রাতের বেলায় খিচুড়ি সব্জি। অনেক নিজে থেকে পাপড় কিনে নিয়ে যায়।
আমরাও খিচুড়ি খেলাম।
আমরা বড়রা হরি বাসর এ কৃষ্ণ কথা শুনতে। আর আমাদের সাথে যাওয়া ছোট পাবলিক মনে বাচ্চারা ওদের মজাই সব থেকে বেশি।ওরকম মজা হয়তো আমরাও করতাম। ওদের দেখলাম আর মনে হলো সেই ছোট বেলার ঝামেলা মুক্ত জীবন এ ফিরে যাই।ওদের মেলা ঘুরে খেলনা কেনা, নাগোর দোলায় উঠা, সারা মন্দির প্রঙ্গন ছোটাছুটি করা সব কিছু মিলিয়ে এক মজাদার পরিবেশ।
সন্ধ্যাতে যেতাম আর রাত একটা দেড়টা তে আসতাম। বেশ মজা লাগত রাতের রাস্তা।
গতকাল দুপুরে ছিল ভোগ। সেখানে বেশ মজা করে ভোজন করলাম। ভাত,সব্জি,রসা,ডাল,বাঁধাকপির তরকারি, পায়েস ও টক।
আসার সময় এক গ্লাস পায়েস আনলাম অনেক কাহিনি করে।পায়েস টা অনেক স্বাদ ছিল।
এভাবে বেশ আনন্দে কাটল কয়টা দিন।আজ আর নয়। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের পোস্ট টি। ভুল এুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ে আপনার মতামত জানাবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.