সিসিক্যামেরাই গায়েব!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমানে আমাদের এলাকায় চোরের উপদ্রব এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে, কি আর বলবো। আসলে একেবারেই যেনো বেসামাল অবস্থা। কারণ যেভাবেই হোক, যে ই করুক না কেনো। কোনোভাবেই চোরটাকে ধরা যাচ্ছে না কারণ সে এমন এমন সময়ে চুরি করতে আসে যে, ওই সময়ে মানুষের জেগে থাকাটা অনেক বেশি কঠিন। যেমন আমি নিজের কথাই যদি বলি। আমি একদিন সারারাত জেগে ছিলাম চোরটাকে দেখার জন্য। কিন্তু সেদিন চোরটির দেখা পাইনি ঠিকই।কিন্তু সে যে আসেনি, তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ সে ঠিকই এসেছিলো। কিন্তু আমি দেখা পাইনি, এখন আপনি চিন্তা করছেন কিভাবে সম্ভব। তাই তো?
সে আসলে এসেছিলো একেবারে ভোররাতের দিকে। অর্থাৎ সূর্য উঠে উঠি করবে তখন। আর সাধারণভাবেই ওই সময়টাতে মানুষ একেবারেই ঘুমে থাকে। অর্থাৎ যাকে বলে গভীর নিদ্রায় থাকে। ঠিক তেমন একটা দিনের এই কাহিনী আজকে বলবো। অর্থাৎ আমাদের পাশের বিল্ডিংয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে শুধুমাত্র ওই চোরটাকে ধরার জন্য।
কিন্তু একদিন সকালবেলা উঠে হঠাৎ দেখে ওই সিসিটিভি ক্যামেরা টি ই নেই এবং ওই দিন রাতে আমি জেগে ও ছিলাম। চিন্তা করেন, আমি সারারাত চোরটিকে দেখার জন্য জেগে ছিলাম। আর পরের দিন সকাল বেলা উঠে দেখলাম যে চোর সিসি ক্যামেরা ই পর্যন্ত চুরি করে চলে গিয়েছে। কি হাস্যকর তাই না!
অর্থাৎ যেটা তাকে ধরার জন্য রাখা হয়েছে। সেটা সমেত নিয়ে চলে গিয়েছে। আর সিসি ক্যামেরা চুরি করার পদ্ধতি ছিলো বেশ অভিনব। অর্থাৎ যতটুকু ফুটেজ পাওয়া গিয়েছিলো। ততটুকুতে তারা চেক করে দেখেছে যে, চরটা মাক্স পরা ছিলো এবং এসেই ক্যামেরাতে একটা কাপড় ছুড়ে মারলো এবং ক্যামেরাটি ঢেকে গেল। এরপরেই ক্যামেরার আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে যে, তখন লাইনটা সে ছিড়ে ফেলেছিলো। তাহলে অবস্থা বুঝুন!
আরে বাহ! এ দেখি বেশ প্যাশনেট চোর, সাথে বেশ দক্ষ আর বুদ্ধিমান ও বটে!! খালি আফসোস এমন বুদ্ধি আর প্যাশন ভালো দিকে কাজে না লাগিয়ে চুরিবিদ্যায় লাগাচ্ছে!