"আমার ফোনে চার্জ দেয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংক ক্রয়"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৯ ই মে, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করছিলাম যে আমার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশ কম যাচ্ছে। আসলে আমার ফোনের বয়স ৬ বছর চলছে তাই আর কি ব্যাটারি ব্যাকআপ টা অনেক কমে গিয়েছে। যদিও স্যামসাং ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক কম যায় এমনিতেই তারপরেও ফোনের বয়স বেশি হওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। আর বর্তমানে যে লোডশেডিং এর অবস্থা তাতে করে কারেন্টের উপর সবসময় নির্ভর থেকে ফোন চার্জ দেয়াটা একটু বিরক্তি।
তাই ফোন চার্জ দেয়ার সহজতর করার জন্য একটি পাওয়ার ব্যাংক ক্রয় করেছিলাম। তবে পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে আমি ফোনের ব্যাটারিটা চেঞ্জ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাটারি চেঞ্জ করতে গিয়ে যা শুনলাম সেজন্য আর কি ব্যাটারি চেঞ্জ করার সাহস পেলাম না। এ ফোনের ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হলে আগে ডিসপ্লে খোলা লাগবে তারপরে ব্যাটারি চেঞ্জ করা লাগবে আর ডিসপ্লে খোলার সময় যদি ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যায় সেটার দায়ভার তারা নেবে না। তাই আর কি এর দায়ভার আমিও নিতে চাইনি কারণ বর্তমানে ফোন কেনার মতো অবস্থায় নেই আমি।
যেহেতু আমাকে পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে তাই দারাজ অ্যাপ থেকে অনলাইনে অনেকগুলো পাওয়ার ব্যাংক দেখলাম। আমার ফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৩৬০০ এম এ এইচ তাই দশ হাজার এমএ এইচ ক্যাপাসিটির ভেতরে পাওয়ার ব্যাংকটি কিনতে চাচ্ছিলাম।
দারাজ অ্যাপ থেকে ৭০০- ৮০০ টাকার ভিতর কয়েকটি পাওয়ার ব্যাংক চয়েস হলো। তারপর দ্বারাজা থেকে কেনার জন্য আমি মোহাম্মদপুরে গিয়ে আমার বিকাশে টাকা লোড দিলাম। টাকা লোড দেয়ার পরে ভাবলাম যে মোহাম্মদপুরে যতক্ষণ এসেছি তাহলে দোকানে খোঁজ করে দেখি আমার মন মত পাওয়ার ব্যাংক পায় কিনা!
মোহাম্মদপুর মার্কেটের কয়েকটি দোকানে দাম জিজ্ঞাসা করলাম দেখলাম মন মত পারবেন আসলে হচ্ছে না। দারাজ অ্যাপে যেতাম তার থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। তারপর তাদের থেকে না নিয়ে ভাবলাম যে দারাজ থেকেই কিনে নেব। তারপর মার্কেটে নিচে নামতে দেখি ফুটপাতে ভ্যান গাড়িতে ইলেকট্রনিক্সের অনেক পণ্য বিক্রি করছে
তখন আমি ফুটপাতের দোকানটিতে গিয়ে আবার চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার ব্যাংকের কথা বললাম তারা বললো যে তাদের কাছে এমন পাওয়ার ব্যাংক আছে। কয়েকটি পারবেন দেখার পরে একটি পাওয়ার ব্যাংক চয়েজ হলো। দেখতেও অনেক ছোট এবং কিউট, খুবই সুন্দর লাগছিল পাওয়ার ব্যাংকটি আমার কাছে। এই পাওয়ার ব্যাংকটির ক্যাপাসিটি ছিল ৬৫০০ এম এ এইচ
আমার ফোনটা মোটামুটি দুইবার চার্জ দেওয়া যাবে। আর আমি মোটামুটি দুইবার চার্জ র্চ দেয়ার মতই পাওয়ার ব্যাংক খুজতেছিলাম কম টাকার ভেতরে। দোকানদারের কাছে দাম জিজ্ঞাসা করলে বলল ৪০০ টাকা রাখবে। তারপর আমি ৩০০ টাকা দাম বললাম, তো দোকানদার বললো ৩০০ টাকাতে নাকি দিতে পারবে না। কিন্তু আমি দোকানদারের কথা শুনে বুঝলাম যে হয়তো আর কিছু দাম বাড়ালেই পাওয়ার ব্যাংকটি দিয়ে দেবে। তাই আমি আরো একটু সময় নিয়ে ৩২০ টাকা বললাম। তারপর দোকানদার পাওয়ার ব্যাংক দিতে সম্মত হলো। তারপরে ৩২০ টাকা দিয়ে পাওয়ার ব্যাংক ক্রয় করে মেসে চলে আসলাম।
বেশ অল্প টাকায় ইচ্ছামতো পাওয়ার ব্যাংকটি কিনতে পেরে বেশ ভালই লাগছিল আমার। প্রায় এক মাসের বেশি পাওয়ার ব্যাংকটি ব্যবহার করছি বেশ ভালই উপকারে আসছে আমার। আমার এই পাওয়ার ব্যাংকটি না থাকলে হয়তো আমার বাংলা ব্লগে কাজ করা অনেক অসুবিধা হয়ে যেতো। এই ছোট একটি পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে ফোনে দুইবার মতো চার্জ দিতে পারছি। ছোট পাওয়ার ব্যাংক হওয়ার কারণে পকেটের ভিতরে রেখে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ফোনে চার্জ দিতে পারছি। এই পাওয়ার ব্যাংকটি থাকার কারণে বর্তমানে আমার খুবই উপকার হচ্ছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১০ ই এপ্রিল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon


খুব ভালো কাজ করেছেন ভাইয়া পাওয়ার ব্যাংক কিনে। কারণ লোডশেডিং এর যা অবস্থা। আর কারেন্ট প্রায় থাকছে না বললেই চলে। আর এই সময় ফোনের ব্যাকআপ হিসেবে খুবই ভালো একটি উপায় আর খুঁজে বের করেছেন।
বর্তমানে সব জায়গাতেই লোডশেডিংয়ের খুব খারাপ অবস্থা। হ্যাঁ আপু ফোনের ব্যাকআপ চার্জ দেয়ার জন্য পারবেন কিনে বেশ ভালোই করেছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফোনের বয়স ৬ বছর হয়েছে আর কত সার্ভিস দেবে ব্যাটারীতে এখন একটু দুর্বল হবেই। স্যামসাং ফোন যে এত বছর টিকে আপনার ফোনটাই প্রথম দেখলাম। আমার তো 2/3 বছরেই হ্যাং হওয়া শুরু করে। তাছাড়া এরকম ফুটপাথ থেকে ইলেকট্রিক জিনিস কেনা কি ঠিক হলো নাকি বুঝতে পারছি না। কোন ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি ছাড়া কয়দিন টিকবে? পরবর্তীতে রিভিউ দিবেন ভাইয়া কেমন ছিল আপনার পাওয়ার ব্যাংকটি।
হ্যাঁ আপু ফোনের বয়স ৬ বছর হয়েছে তাই ব্যাটারি অনেকটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আসলে অল্প দামের পাওয়ার ব্যাংক তো মার্কেটের দোকানেও এসব পাওয়ার ব্যাংকের কোন ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি দেয় না। তবে এক মাসের বেশি হলো কিনেছি এখনো বেশ ভালোই চার্জ দিতে পারছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
একটা বিষয় না বললেই নয় ফোনের অনেক বয়স হয়ে গেছে ভাই ফোনটাই পাল্টে ফেলেন। যেকোনো ফোন হোক না কেন আমার তো তিন থেকে চার বছরে বেশি যায় না। যাক আপনি খুব ভালো একটি কাজ করেছেন পাওয়ার ব্যাংক কিনে। এ সময় কখন ঝড় ঝাপটা হয় তাতে কারেন্ট থাকে না। আর এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি। তবে আমি বলব ৩২০ টাকায় খুব ভালো মানের একটা পাওয়ার ব্যাংক আপনি পেয়েছেন।
হ্যাঁ ভাই ফোনটা পাল্টে ফেলাটা জরুরি হয়ে গেছে। দেখি কিছুদিনের ভিতরেই হয়তো পাল্টে ফেলবো ফোনটা। তার আগে যতদিন চালিয়ে নেওয়া যায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য আপনি পাওয়ার ব্যাংক নিলেন অনেক ভালো একটি কাজ করলেন। কারণ বর্তমান সময়ে লোডশেডিং এর মাত্রা একটু বেশি। বিশেষ করে বর্ষাকাল আসলে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লোডশেডিং হয় বেশি। তাছাড়া গরম অতিরিক্ত হওয়ার কারণে বিদ্যুতের কভার হয় না তাই লোডশেডিং হয়। যদি পাওয়ার ব্যাংক থাকে তাহলে তো আর কোন টেনশন থাকে না অনেক ভালো একটি কাজ করলেন।
সত্যি পাওয়ার ব্যাংক থাকা মানে ফোনে চার্জ দেয়ার টেনশন টা অনেক কম থাকা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে ফোনের বয়স যত বেশি হয় ততই ব্যাটারি দুর্বল হয়ে পড়ে। যেহেতু আপনার ফোনের বয়স 6 বছর হয়ে গিয়েছে তাই ব্যাটারি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই লোডশেডিং এর সময় আপনি পাওয়ার ব্যাংক কিনে কিন্তু ভালোই করেছেন। আসলে এই সময়টাতে কারেন্ট একেবারেই থাকে না বললে চলে। কখন যায় কখন আসে বলা একেবারে অসম্ভব। আপনি ৩২০ টাকার মধ্যে মনে হচ্ছে বেশ ভালোই একটা পাওয়ার ব্যাংক পেয়েছেন। আমাদের মাঝে এই পাওয়ার ব্যাংক কেনার বিষয়টা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু ফোনের বয়স যত বেশি হয় ততই ব্যাটারি দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন আপাতত পাওয়ার ব্যাংকের সাহায্য নিয়ে চলতে থাকি তারপরে একটি নতুন ফোন নেবো ইচ্ছা আছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এখন ঝড় বৃষ্টির সময় চলছে তাই কখন যে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাই বুঝতেই পারা যায় না। এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি একটা পাওয়ার ব্যাংক কিনেছেন এটা সত্যিই ভালো একটা উদ্যোগ।
বর্তমানে বিদ্যুতের অবস্থায় এই আছে তো এই নাই ।তাই পাওয়ার ব্যাংক থাকলে ফোনে চার্জ দেয়ার জন্য টেনশন করতে হয় না। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
৬ বছর ব্যাটারি বেক আপ দিয়েছে মানে অনেক সময়। তবে ব্যাটারি ভালো থাকলেও পাওয়ার ব্যাংক খুব জরুরী একটি ডিভাইস, যেকোন সময় কাজে লাগে। তবে নন ব্র্যান্ডেড পাওয়ার ব্যাংক কিন্তু ভালো ব্যাটারি নষ্ট করে দেয়। একান্ত জরুরী হলে ভালো ব্র্যান্ডের একটি পাওয়ার ব্যাংক নিতে পারেন। তাছাড়া ব্র্যান্ডেড গুলোও বছর হয়ে গেল পারফরম্যান্স খারাপ হতে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি মনে করি পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে আসলে নতুন ফোনে চার্জ দেওয়া ঠিক না। তবে আমার ফোনের বয়স হয়ে গেছে যেহেতু তাই ব্যাটারির অবস্থা ভালো নয় তাই আর কি পাওয়ার ব্যাংক কিনেছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পাওয়ার ব্যাংক. নিয়েছেন খুব ভালো কাজ করছেন ৷ আসলে বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ অনেক সমস্যা করছে ৷ ভালো করছেন আর যত তারাতারি পারেন একটা নতুন ফোন নিয়ে নেন ৷
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমি মনে করি আপনি পাওয়ার ব্যাংকটি কিনে বেশ ভালোই করেছেন। এরকম লোডশেডিং এর মধ্যে সবারই পাওয়ার ব্যাংক জরুরী বলে আমি মনে করি। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম আমিও একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনব ভালো দেখে। আপনার মোবাইলের বয়স ৬ বছর তাই ব্যাটারি একটু বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে। অনেকের তো ৪-৫ বছরও একটা মোবাইল টিকে না। আপনি এই পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে মোবাইল দুইবারের মতো চার্জ দিতে পারছেন এটাও অনেক ভালো। পকেটে করে এটি যে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় মুহূর্তে মোবাইল চার্জ দিতে পারবেন। ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা।
প্রয়োজনীয় মুহূর্তে মোবাইল চার্জ দেয়ার জন্য আসলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক টা কেনা। অনেক বয়স হয়েছে তো তাই ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক কমে গিয়েছে। তবে কিছুদিনের ভিতরে নতুন একটি ফোন নেওয়ার ইচ্ছা আছে। এই পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে যতদিন চালিয়ে নেওয়া যায় আর কি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।