ব্যস্ততা
লকডাউন মানুষের পেট নিয়ে টানাটানি করলেও একটা দিক থেকে আমি একটু স্বস্তিতে ছিলাম।যদিও কথাটা অমানবিক হয়ে যায় তাও বলছি।স্কুল-প্রাইভেট বন্ধ ছিল তাই বাসায় কাটাইছি সারাদিন।ফোন,ল্যাপটপ, খাওয়া আর ঘুম ছাড়া অন্যকিছুই ছিলনা রুটিনে।৭/৮মাস এমন অলস জীবন যাপন করার পর ব্যস্ততার মুখোমুখি হয়ে লড়াই করতে খুব হিমশিম খাচ্ছি।
কিছুদিন আগে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ৯/৯ঃ৩০ বাজতো।আর এখন উঠি ঠিক ৪ টা ৪৫ এ।হাত মুখ ধুয়ে মসজিদে গিয়ে ফজরের নামাজ পড়ার পর ৬ টা পর্যন্ত হাটাহাটি করি।বাসায় এসেই প্রাইভেটের পড়া পড়তে বসি।৭ঃ৩০ পর্যন্ত পড়ে রওনা দেই প্রাইভেটের উদ্দ্যেশে।৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত একটা প্রাইভেট আর ৯ টা থেকে ১০ টা একটা প্রাইভেট।তারপর আবার বাসায় এসে ১১ টার ভেতোর খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলি।ভাবছেন,এবার রেস্ট নেবো তাইনা?

Pixabay link
সে কপাল আর নাই।এসাইনমেন্ট নামক প্যারা লেগে আছে সাথে।১২ঃ৩০ পর্যন্ত এসাইনমেন্ট লিখে গোসল করে আবার যোহরের নামাজ পড়তে যাই।নামাজ পড়ে এসে একটু খেয়ে ঘন্টা খানেক চোখ বন্ধ করতে না করতেই ৩ টার প্রাইভেটের জন্য তৈরি হতে হয়।তারপর আবার চলে ৫ টা পর্যন্ত।বাসায় আসতে আসতে ৬ টা।মাগরিবের নামাজ পরে এসে রাতের খাবার খাই।একটু পড়ে আবার এশার নামাজ পড়তে যাই।চোখ খোলা রাখতেই পারিনা এশার নামাজের সময়।যেন যুদ্ধ করে দাঁড়ায় থাকতে হয়।তারপর এসে ৯ঃ৩০ এর ভেতোরই ঘুমিয়ে পড়ি।
এইটা প্রতিদিনের সাধারণ রুটিন।অনেক সময় বিভিন্ন আনুষাংগিক কাজ থাকে সেগুলোও করতে হয়।যেমন,এখন যেই কাজটা করতেছি সেটা হলো বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনকাহিনী নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখতেছি।স্কুল থেকে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে উক্ত বিষয়ে।এছাড়াও নিজের শখের কাজও আছে।সময়ের অভাবে করা হচ্ছেনা।
Cc.@farhantanvir
Date.29/08/21
আমারও একই অবস্থা রে ভাই। সাত আট মাস পড়ালেখার নামও নেয় নাই। এখন বূঝছি কী ভূল করেছি এবং এখন কী চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
মাথা আউলায় যাচ্ছে😭😭কিচ্ছু বুঝতেছিনা🥺🥺
😢😢
খুবই ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটছে আপনার।লেখা পড়ে তাই বুঝলাম ভাইয়া।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
সহ্য করা যায়না দিদি😭😭