দিনাজপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় একদিন
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ০৪ ই মার্চ ২০২৫ ইং
কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্প ও বাণিজ্য মেলা এবং কুটির শিল্প মেলা। রমজান মাস উপলক্ষে এখন প্রায় সব ধরনের মেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। এবছর আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছিল , এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দিনাজপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। দিনাজপুর জেলা টি বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম জেলা।এটি রংপুর জেলার পাশের একটি জেলা। যাইহোক, বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছিলাম যে দিনাজপুর বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু যাওয়ার তেমন একটা সুযোগ হচ্ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে আমার কলেজের মধ্যে ইনকোর্স পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। পরীক্ষা উপলক্ষে সেদিন গিয়েছিলাম দিনাজপুর সরকারি কলেজে।
পরীক্ষা শেষ করে ভাবলাম যে মেলায় ঘুরতে যাবো।একা একা মেলায় যাওয়ার ইচ্ছা করছিল না, তাই ভাবলাম কয়েকজন বন্ধু বান্ধব কে সাথে নিয়ে যাই মেলায়, তাহলে অনেক বেশি মজা করতে পারবো। এরপর আমি আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব কে সাথে নিয়ে চলে গেলাম দিনাজপুর বাণিজ্য মেলা। আমাদের কলেজ থেকে মেলার দূরত্ব ছিল প্রায় কিছু টা দূরে।তাই আমরা সকলেই রিকশা নিয়ে চলে গেলাম মেলার দিকে। আমাদের কলেজ থেকে মেলায় চলে আসতে প্রায় পনের থেকে বিশ মিনিট সময় লেগেছিল। তবে, সেদিন রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে ভীড় জমে গিয়েছিল। ভীড় না থাকলে আরো কম সময় লাগতো। যাইহোক, আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসলাম দিনাজপুর বড় মাঠ। আসলে এই মেলা টি দিনাজপুর বড় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আমরা চলে গেলাম মেলার গেইটের সামনে। তখন বেলা বারোটা বেজেছিল।আর এই পড়ন্ত দুপুর বেলা মেলায় তেমন একটা ভীড় ছিল না। আমরা মেলায় প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে নিলাম। মেলায় প্রবেশ করার টিকেট মূল্য ছিল ২০ টাকা। যাইহোক আমরা টিকেট কেটে মেলার মেইন গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম মেলার মধ্যে। দুপুর বেলা হ ওয়ায় মেলায় তেমন একটা ভীড় ছিল না। আর আমরা গিয়েছিলাম মেলা শেষের দিকে। মাঝামাঝি সময়ে গেলে হয়তো অনেক কিছু দেখতে পারতাম। যাইহোক, আমরা মেলায় প্রবেশ করে মেলার গলি দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।
আসলে এই মেলার মধ্যে প্রায় সব ধরনের দোকান বসেছিল। আমরা সব গুলো দোকান ঘোরাঘুরি করে দেখছিলাম। প্রতিটি দোকানের মধ্যে খুবই সুন্দর সুন্দর জিনিস পত্র ছিল। আমার এক বন্ধু সহ আমরা বেশ কিছু জিনিস পত্র ক্রয় করেছিলাম। আসলে এই ধরনের মেলা গুলোর মধ্যে পণ্য সামগ্রীর দাম কিছুটা বেশি থাকে। যেহেতু জিনিস গুলো আমাদের পছন্দের ছিল, তাই আমরা বেশি দাম দিয়ে সেসব জিনিস পত্র কিনেছিলাম। আমরা মেলার চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম।আর সেদিন ছিল প্রচুর রোদ। আমরা রোদ কে উপেক্ষা করে মেলার মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছি।
এই মেলার মধ্যে আমাদের একজন পরিচিত ক্যামেরা ম্যান ছিল। আমরা তার সাথে দেখা করলাম। কিন্তু সে ব্যস্ততার কারণে আমরা ফটোশুট করতে পারিনি। এরপর আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকগ্ৰাউন্ড গুলোর মধ্যে ছবি উঠিয়েছি।ছবি গুলো বেশ দারুন হয়েছিল। আসলে এই মেলা টি খুবই সুন্দর করে সাজানো গোছানো হয়েছিল। তবে, এমন ধরনের মেলা গুলো সন্ধ্যা বেলা অনেক বেশি সৌন্দর্য ধারণ করে থাকে।আর সন্ধ্যা বেলা প্রচুর পরিমাণে ভীড় জমে যায়। আমার বাসা দূরে হ ওয়ার কারণে এখানে সন্ধ্যা বেলা যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে, সামনের দিকে কখনো এমন ধরনের মেলার আয়োজন করা হলে রাতের বেলা যাওয়ার চেষ্টা করবো।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://x.com/Riyadx2P/status/1896795012069020097?t=CL34wcomql3pGyt5MfVD-Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দিনাজপুর বাণিজ্য মেলার অভিজ্ঞতা দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।মেলার পরিবেশ, দোকানপাট, ঘোরাঘুরি সবকিছুই খুব আকর্ষণীয় মনে হলো। সত্যিই, এসব মেলা শুধু কেনাকাটার জন্য নয়, বরং বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর দারুণ সুযোগ তৈরি করে। সন্ধ্যায় মেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারলেও, দিনের বেলাতেই অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
দিনাজপুর শিল্প এবং বাণিজ্য মেলায় আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রথম গেটটা খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। ভালো লাগলো আপনার মেলায় কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সন্ধ্যাবেলায় গেলে হয়তো আরো বেশি লাইটিং দেখা যেত। যাই হোক মেলায় ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শিল্প বাণিজ্য মেলা গুলিতে যেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আসলে এই ধরনের মেলাগুলিতে হরেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রি হয়। এইসব জিনিসপত্র সব না কিনতে পারলেও চোখে দেখতেও বেশ আনন্দ হয়। আপনাদের ওখানে শিল্প বাণিজ্য মেলা ও খুব সুন্দরভাবে আয়োজিত হয়েছে দেখছি। ছবিতে এত সুন্দর সব ডিজাইনের স্টল দেখে বেশ ভালো লাগলো।