রোযনামচার পাতা থেকে ০৫||১০%btm-school
মায়েরা যেমন হয়।
আমি তখন অনেক ছোট,নিজে নিজে কিছুই করার ক্ষমতা আমার ছিলনা ,হাঁটাচলা থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া কোন কিছুই করতে পারতাম না । প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করতেও সক্ষম ছিলাম না।
আমার যখন যা প্রয়োজন হতো মা নিজ থেকে তাঁ পুরা করতেন।যখন কিছুটা বলতে চাইতাম আমার সাথে কথা বলে আমাকে ভাষা শিক্ষা দিতেন।আমাকে স্কুলে পাঠিয়ে রান্না শেষে টিফিনটা নিয়ে খাইয়ে দিয়ে আসেতন।
স্কুল থেকে ফেরার সময় ব্যাগটা নিজ কাঁধে নিয়ে যেতেন যাতে আমার কষ্টটা কম হয়।বিকালে বাইরে যেয়ে খেলার সময় মা সর্বদা আমার দিকে লক্ষ্য রাখতেন যাতে কোন সমস্যায় না পরে যাই।সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসলে হাত পা ধুইয়ে দিতেন।ক্লাসের পড়া শিখা, হোম ওয়ারক করানো,হাতের লেখা শিখানো,সব মায়ই করাতেন।
রাতের খাবার শেষে ব্রাশ করার ব্যাপারে খুব তাকিদ দিতেন।বিছানা রেডি করে পাশে শুয়ে এবার শুরু করতেন তাঁর তরবিয়ত। কাউকে মারা যাবে না, মিথ্যা বলা যাবে না, চুরি করা যাবে না,গিবত করা যাবে না,রাহাজানি করা যাবে না, ছিনতাই করা যাবেনা।
সমাজ নষ্ট হয়ে যায় এমন কাজ করা যাবে না। নামায পড়তে হবে। হালাল খাইতে হবে।মানুষকে সৎ কাজে আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে।রাস্তা থেকে কষ্ট দায়ক জিনিষ সরিযে দিবে। আরও একটি গুরুত্ব পূর্ন কথা বলে রাখি আমাদের নবিজী বলতেন তোমরা মা বাবাকে কখনো কষ্ট দেয়া যাবে না।
পিতা মাতার প্রতি সদাচার করতে হবে। বড়দের সম্মান করতে হবে।ছোটদের স্নেহ করতে হবে।দেশেক ভালোবাসতে হবে।নবীর আদর্শে চলতে হবে। এভাবে আরো নবীর সিরাত বিষয়ক ঘটনা শুনাতেন। শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম। ঘুম থেকে উঠে প্রতিটি কাজে মায়ের দেয়া তরবিয়ত মেনে চলার চেষ্টা করতাম।
ভাবতাম আমার মায়ই মনে হয় শুধু এরকম।চারপাশ বুঝার ক্ষমতা যখন হলো বুঝতে পারলাম পৃথিবীর সব মায়েরাই এমন। আল্লাহ মাকে তোমার মতো করে জাযা দান করো। আমিন।
লেখাটি ভালো হয়েছে।
তবে আপনার লেখাগুলোতে একটা বিষয় খেয়াল করলাম, সেটা হচ্ছে লেখার শিরোনাম। আপনার প্রায় প্রতিটা লেখার শিরোনাম একই হয়ে যাচ্ছে (রোযনামচার পাতা থেকে), এটা বারবার পড়তে একঘেয়েমি লাগে, মনে হয় একই লেখা বারবার দিচ্ছেন।
সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে সাজেশন দিবো, আপনি লেখার ভেতরে শুরুতেই আরেকটা শিরোনাম দিয়ে থাকেন, এবং সেই বিষয়ের উপরই আপনি পুরো লেখাটা শেষ করেন। তাহলে আপনি যেটা করবেন তা হলো, আপনার নির্ধারিত শিরোনাম অর্থাৎ 'রোযনামচার পাতা থেকে' লিখে একটা কমা অথবা সোজা দাগ দিয়ে ভেতরের শিরোনামটা দিবেন। তাহলে পুরোটাই আপনার মেইন টাইটেলে থাকবে।
যেমনঃ আজকের মূল শিরোনামটা হতে পারতো এমন-
"রোযনামচার পাতা থেকে-০৫ | মায়েরা যেমন হয় | ১০% @btm-school"
আশাকরি বোঝাতে পেরেছি।
ওকে বুঝতে পেরেছি!
আমিন
আল্লাহ সকল মাকে সম্মান এবং জান্নাত দান করুক আমিন
পৃথিবীর সব মাই একই। মায়ের মতো এতো আপন আর কেউ হয় না। আম্মুকে ছাড়া দূরে থাকিতো তাই বুঝি মায়ের সাথে অন্য কারো তুলনা নেই। যাই হোক পোস্টটি পড়ে আম্মুর কথা মনে পরে গেলো। আর আপনার লিখাটিও মন ছুঁয়ে গেছে।
একজন মা একটা বাচ্চা লালন পালন করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ শিকার করে কিন্তু বেশির ভাগ ছেলে মেয়ে তার যথাযত দাম দেয় না