নির্বাক-ধূসর শূন্য জীবনের গল্প (১০% শেয়াল পণ্ডিত মামা জন্য)
২৫ শে মাঘ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
০৮ ফেব্রুয়ারি,২০২২সাল
হ্যালো
আলমগীর কবির |
---|
এখান থেকে নেওয়া হয়েছে
জীবনকে সার্থক করিতে হইবে কবির, তো কেমন চলছে সব কিছু? বড় মা কেমন আছে?
_পড়াশোনা করতেছিস তো ঠিকঠাক ? এই তো ভাই সব কিছুই চলছে মোটামুটি ভালোই জীবনের দুঃখ স্রোতের বিপরীত পথ বেয়ে বেয়ে। আপনি দক্ষিণে উঠিলেন মোদের এই ঝোপঝাড় সরিয়ে। কিছু একটা করতে হবে। ভেবে ভেবে বছর দু'য়েক কাটিয়ে গেলো আঁখি তুলতেই।
শুনলাম ললনার মেহেদী রাঙানো হাত নাকি তোমার হাতে পড়েছে? ছাড় তবে এইবার ললনার দেঘল কেশের দিকে তাকিয়ে পাট কলের শ্রমিকদের দুঃখ হাতে নিতে। জীবনের ভার বোঝা মনে হবে যদি মান হার! সে দিন খানিক বকে গেলেন ;শোনার মালিম শুলাম কিন্তু একবারো ইচ্ছে হয়নি শুনিবার কে বললো তাকে! উপদেশ শুনতে ভারী আগ্রহ আমার। শুধুই যে শুনে যাউ তা নয় তন্দ্রা যখন বালিশের কাছে এসে চোখ নেতিয়ে নেয় তখন ভাবি নিরালায়। কি করিলাম? আবার টুং করে মুঠোফোনে মেসেজ এলো কি কর? ভাবনার মাঝে পরিবর্তন এলো নিমিশেই হাত ছানি দিয়ে উপদেশকে। পরদিন সকালে মেট্রিকুলেশন পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে আবার খানিক উপদেশ ঝাড়িলেন। শুনলাম মাথা নিচু করে।
এই ফলাফলে কোথাও চান্স পাওয়াও বড়জোর! তখনো চিন্তা আসেনি যে আমাদেএ ঘরখানা শীতে জমে যায়;বর্ষায় ভিজে যায় আর প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাবা নিয়ম করে বাড়ি ফেরে! খারাপ ছাত্র ছিলাম না বটে। প্রত্যেক শ্রেণীতে প্রথম হতাম বাবা-মাও তাদের আস্থা রেখেছিলো আমার উপর, তাই সুযোগ হয় শহরে ভর্তির। তবে প্রতিপদর্শিনীকে সঙ্গে নিয়েই! দু'টি বছর অনেক আনন্দেই কেটে গেল মাঝ খানে করোনার কারনে অনেক কিছু হারিয়েছি এটা মনে হয়েছিল বার বার কিন্তু এখন উপলব্ধি করতে পারছি যা আমার ছিলো না তা'ই হারিয়েছি। যা যা আমাদ সেগুলো আমার কাছেই আছে এবং আসতেছে।
এখান থেকে নেওয়া হয়েছে
যাইহোক, রমজানের ঈদের দু'দিন আগে একটি তারা কাছে এসেছিল নাম তার রাসেদুর। সে তারা সংঘর্ষিত দুটি গ্রহের মাঝে এসেছিলো কিন্তু সে বসবাসের উপযোগী মনে করে একটি গ্রহ নিজের কাছে টেনে নিলো! দু'টি গ্রহের মাঝে অভিমান এবং ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছিলো। বিপরীতমুখী চলা বস্তুগুলো ছেড়ে যেতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তাই সে ছেড়ে চলে গিয়েছে বহুদূরে।
একলা থাকা গ্রহ ভেবেছিলো অভিমানে সে হয়তো ছেড়ে গেছে, তার বহুতর ডাকে হয়তো সারা দিবে কিন্তু সে ভালো থাকার জন্যই গিয়েছে বুঝতে পারেনি সেটা অভিমান নয় ছিলো প্রতারণা! কিন্তু আমি অভিমান করি। নেই আর সে অপেক্ষার প্রহর।
প্রতিপদর্শিনীকে নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম আজকের কথাগুলো। কিন্তু আসেনি সে শব্দগুলি যা পাঠকের মনের মাঝে আন্দলিত করবে। নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে নিয়ে অনেক কিছু লিখা যাগ কিন্তু মী জাফর কে নিয়ে লিখা একটি শব্দ 'প্রতারক'
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ