"ইউনিভার্সিটির ক্লাসমেটদের সাথে বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২২ জুলাই, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রায় এক বছর হয়ে গেলো ঢাকার একটি ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আসলে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদের জীবনে অনেক কিছুরই দরকার আছে। এই মনকে সবসময় সুন্দর রাখার জন্য বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা, একটু হাসি তামাশা, খাওয়া দাওয়া করা ইত্যাদি কিছুর দরকার রয়েছে। জীবনের প্রতিটা ধাপে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়। স্কুল জীবনের এক রকম অভিজ্ঞতা ইনস্টিটিউট জীবনের এক রকম অভিজ্ঞতা আবার ইউনিভার্সিটি লাইফের আরেক রকম অভিজ্ঞতা।
আমাদের ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্টের ক্লাসমেটরা মিলে মাঝে মাঝেই এরকম খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে থাকি। প্রতিবার হালকা নাস্তা করলেও এবার সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিরিয়ানি খাওয়ার। তারপর সবার কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের টাকা তোলা হয়। সবার কাছ থেকে টাকা তোলার পরে আমার বন্ধু রাহুল সহ কয়েকটা ক্লাসমেট মিলে মোহাম্মদপুরের বোবা বিরিয়ানি হাউসে চলে আসে।
কারণ কয়েকটা ক্লাসমেট বলছিল যে, বোবা বিরিয়ানি হাউজের "মোরগ পোলাও" নাকি অনেক সুস্বাদু হয়।
সেদিন আকাশে বেশ ভালোই মেঘের আনাগোনা ছিলো। বন্ধু রাহুল সহ কয়েকজন ক্লাসমেট মিলে মোটরসাইকেলে বিরিয়ানি আনার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে হালকা ভিজে যায়। আসলে মোহাম্মদপুরের এই প্রবা বিরিয়ানি হাউজ আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে একটু দূরে হওয়ার কারণে সবার যাওয়া সম্ভব ছিল না।
তাই কয়েকজনকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল যাতে তারা বিরিয়ানি নিয়ে আসে। আর সবাই মিলে ইউনিভার্সিটিতে একসাথে বসে খেতে পারি। শুধুমাত্র বিরিয়ানি আনার কথা থাকলেও আমাদের ভেতরের কয়েকজন চাকুরীজীবী ক্লাসমেটদের কল্যাণে রসমালাই, চকলেট ও কোকাকোলা নিয়ে আসা হয়।
আসলে এতো আয়োজন দেখে আমরা তো ভীষণ খুশি। সবাই মিলে ক্লাসে বসে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে পারবো কতই না আনন্দ হবে! জীবনে এরকম মুহূর্তগুলো হয়তো ইউনিভার্সিটি লাইফ পার হয়ে গেলে আর পাওয়া যাবে না।
তারপর আমাদের ক্লাসে বসে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। যদিও বোবা বিরিয়ানির খুব একটা টেস্ট ছিল না, তারপরেও সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালো লাগছিলো। তবে রসমালাই ও চকলেটের বেশ টেস্ট ছিলো।
সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে পারায় সবারই মনে অনেক আনন্দ ছিলো। আজকের সবাই অনেক হাসিখুশি ও ফুরফুরে মেজাজে ছিলো। আমাদের নিজেদের ভেতর আরও শক্তিবন্ধন তৈরি করতে মাঝে মাঝে এরকম আয়োজন সত্যিই অসাধারণ। সবারই একদিন ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু থেকে যাবে এই আনন্দঘন মুহূর্তের স্মৃতিগুলো। ইউনিভার্সিটির ক্লাসমেটদের সাথে বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ০৯ ই জুন ২০২৩ |
লোকেশন | গাবতলী,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon


ক্লাসমেটদের সাথে বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে এভাবে সবাই মিলে খেলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট ভিজিট করে আমার পুরানো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমার পোস্টটি ভিজিট করে আপনার পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ইউনিভার্সিটির ক্লাসমেটদের সাথে বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি। আসলে বন্ধুদের সাথে যে কোন জিনিসই খেতে বেশ ভালো লাগে ভাই। আপনি বন্ধুদের সাথে বেশ মজা করে অনেক কিছু খেয়েছিলেন দেখে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ভালো-মন্দ খাওয়া-দাওয়া শেষে কোক খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে সবাই মিলে একসাথে বসে খাবার ভিতরে আলাদা একটি আনন্দ ও শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিকই বলেছেন। এক সময় এই স্টুডেন্ট লাইফ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু রয়ে যাবে বন্ধুদের সাথে কাটানো এই চমৎকার মুহূর্তগুলোর স্মৃতি। এই যে একসাথে খাওয়া দাওয়া, আড্ডা দেয়া খুনসুটি করা এই মুহূর্তগুলো আসলেই অনেক মজার। বেশ ভালো লিখেছেন।
আমার কাছে মনে হয়, সবার জীবনেই স্টুডেন্ট লাইফটা সব থেকে বেশি স্মৃতিময়। আমার পোস্টে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে এভাবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া খাওয়া-দাওয়া করার মজাটাই আলাদা। আপনি আপনার ইউনিভারসিটির বন্ধুদের সাথে বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছেন এবং বিরিয়ানি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আর বিরিয়ানির সাথে কোক না হলে তো আমার চলে না। আপনার বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু বন্ধুদের সাথে এভাবে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। আসলে সবারটা গুলো একদিন স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে মনের পাতায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রিয় বন্ধুদের সাথে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনারা এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সাথে একসাথে একত্রে বিরিয়ানি খাওয়ার সুন্দর একটা মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন এখানে। তবে তার মধ্যে চাকরিজীবী বন্ধুরা যে এক্সট্রা হিসাবে আরো কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে এটা সুনে কিন্তু খুব খুশি হলাম
বন্ধুদের সাথে বসে গল্প আড্ডা খাওয়া দাওয়া সত্যি অনেক মজাদায়ক । সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।