"কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৬ ই ডিসেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হলো সিলেটে পিসিমণির বাসাতে ছিলাম তারপর গতকালকে ঢাকাতে এসেছি। গতকালকে স্পেশাল হ্যাংআউটে গান গাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা ছিল কিন্তু ঠান্ডা লেগে গলা বসে যাওয়ার কারণে সবার মাঝে গান পরিবেশন করতে পারিনি। আজকে ইউনিভার্সিটিতে প্রেজেন্টেশন ছিল তাই বন্ধু রাহুলকে বলেছিলাম আমাদের বাসায় আসতে। কারণ দুইজন মিলে একসাথে প্রিপারেশন নিলে ভালো হয়। আজকে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে প্রেজেন্টেশন কমপ্লিট করে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঠিক করলাম যে, ধানমন্ডির কাচ্চি ভাইয়ে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাবো। তারপর ইউনিভার্সিটি থেকে আসার সময়ে ছোট ভাই জীবনকে ফোন দিয়ে বললাম যে, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে চলে আসতে।
তারপর আমরা মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাইক নিয়ে তিনজন চলে গেলাম কাচ্চি ভাইয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাইতে। আমার কাছে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি বেশ ভালো লাগে। আমার বন্ধুরা রাহুল যখন মোহাম্মদপুরে থাকতো তখন মাঝেমধ্যেই এখানে গিয়ে আমরা কাচ্চি বিরিয়ানি খেতাম। কাচ্চি বিরিয়ানি হোক কিংবা যে, কোন বিরিয়ানি হোক আমি ভীষণ পছন্দ করি।
আমরা প্রথমে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভেতরে গিয়ে বসলাম। ডাইনিং টেবিলে কাচ্চি মেনু ছিল সেটা থেকে আমরা ১:৩ এবং ১ প্লেটের কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করি। আর সাথে অর্ডার করি তিনটা বোরহানি। আমি বোরহানি খেতে আগে তেমন একটা পছন্দ করতাম না কিন্তু এখন মোটামুটি ভালই লাগে। খাবার অর্ডার করার পরে আমাদেরকে কয়েক মিনিট বসে অপেক্ষা করতে বলে।
তারপর আমরা টেবিলে বসে নিজেদের ভেতরে কিছু সময় গল্প গুজব করতে থাকি। কয়েক মিনিট পরে আমাদের অর্ডার করা খাবার ওয়েটার ম্যান এসে টেবিলে দিয়ে যায়। খাবারগুলো টেবিলে পাওয়ার পরে ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিই। একটা প্লেটে ছিল ওয়ান স্টু থ্রি আর অন্য আরেকটা প্লেটে শুধু ওয়ান ছিল।
তারপর আমরা চামচ দিয়ে খাবারগুলো আমাদের প্লেটের ডিস্ট্রিবিউশন করে নিই। তারপর যার যার মতো খাওয়া শুরু করে দিলাম। আহ্ প্রতিবারের ন্যায় এবারেও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে খাবারটা। কাচ্চি ভাইয়ের যারা ওয়েটারম্যান ছিল তারাও বেশ রেস্পন্সিবল ছিল। অনেকদিন পরে তিনজন একসাথে বসে খেতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিল।
অবশেষে আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম তারপর বিল মেনু টেবিলে দিয়ে গেলো। তারপর বিল পরিশোধ করে বাইরে চলে আসলাম। ছোট ভাই জীবন যেহেতু নিজের বাসায় যাবে তাই তাকে বিদায় দিয়ে আমি আর আমার বন্ধু আমাদের বাসায় চলে আসলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৬ ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


বন্ধুরা মিলে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে সকলে মিলে কাচ্চি খেয়ে সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। আনন্দে থাকার নামই জীবন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বন্ধুরা মিলে এমন আনন্দ করতে বেশ ভালই লাগে। তবে এত সুস্বাদু সব খাবার দেখে আমাদেরও যে খিদে পেয়ে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট টিভি সুসজ্জিত এবং সুন্দর বলেই মনে হলো।
হ্যাঁ ভাই এটা সত্যি বলেছেন আনন্দের তার নামই হচ্ছে জীবন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
তিনজনে মিলে বেশ মজা করে কাচ্চি খেয়েছেন সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে বিরিয়ানি খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। সেটা যেটাই হোক না কেনো।কিছুদিন আগে ঘরে কাচ্চি বানিয়ে খেয়েছিলাম। আপনার আজকের ছবি শেয়ার করার কারণে আবারো খেতে ইচ্ছে করছে।
অনেকদিন পরে তিনজন মিলে একসাথে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছি অনেক মজা করেই। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি খাওয়ায় মজাই আলাদা। আপনারা দুজনে মিলে বেশ মজা করে খেয়েছেন।মাঝে মাঝে এভাবে বাইরে খেলে অনেক ভালো লাগে। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। তবে খাবার দেখে লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধু আর ছোট ভাইদেরকে সাথে নিয়ে এভাবে মাঝেমধ্যে বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে বেশ ভালোই মজা হয়। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
বন্ধু তোমার নামে জরিমানা হয়ে গিয়েছে। তুমি সিলেট থেকে এসেই আমাদেরকে না নিয়ে কাজটা সেরে ফেললে?? আমাদের জন্য বড় বাজেট হাতে রাখো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে।
এত জরিমানার বোঝা আর সইতে পারছি না বন্ধু 🥹 অবশ্যই ঢাকাতে চলে আসো সাধ্যমত জরিমানা দেব।
আপনার ব্লগ পরে বেশ ভালো লাগলো আমাদের কুষ্টিয়াতেও এখন কাচ্চি ভায়ের কাচ্চি চলে এসেছে দেখি দুই এক দিনের মধ্যে যাব খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই কুষ্টিয়াতে এখন কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি চলে এসেছে তাই সেখানে গিয়ে খেয়ে আসবেন।
আপনি সহ আপনার বন্ধুরা মিলে রেস্টুরেন্টে এগিয়ে সবাই মিলে কাচ্চি খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনারা তিনজন মিলে অনেক মজা করে কাছে খেয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি খাওয়ার মজাই আলাদা।আমাদের সাথে সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ আপু তিনজন মিলে অনেক মজা করেই কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।