"কুষ্টিয়ার নান্না বিরিয়ানি হাউস থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮ ই জুলাই, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এ বছরে রমজানের ঈদে বাড়িতে গিয়ে আমি আর আমার বন্ধু সাগর কুষ্টিয়াতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কুষ্টিয়া শহরে ঘোরাফেরা করতে আবার খুবই ভালো লাগে। এই শহরের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক মায়া। কারণ কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকেই আমি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছি। আমি পাঁচ বছর মতো কুষ্টিয়া শহরে থেকেছিলাম। আমি আর আমার বন্ধু সাগর কুষ্টিয়াতে গিয়ে আমার পিসির ছেলে অর্ঘ্যকে ফোন দিয়ে আমাদের সাথে দেখা করতে বললাম। তারপর অর্ঘ্য আসার পরে আমরা তিনজন মিলে বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করলাম।
আমি আর আমার বন্ধু সাগর বাড়ি থেকে সকালের খাবার খেয়ে বের হয়েছিলাম। তারপর দুপুর পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে বেশ ভালোই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। আসলে কুষ্টিয়া শহরে দেখার মতো যা যা আছে সব কিছুই দেখে ফেলেছি, তারপরেও এসব স্থানে বার বার যেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কুষ্টিয়া শহরের বুকে ঘোরাফেরা করার সময় বাইরে থেকে অনেক কিছু খেলেও ভাতের ক্ষুধা পেটেই ছিলো।
তারপর আমি আমার ভাই অর্ঘ্য কে বললাম যে, বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরের ভালো কাচ্চি বিরিয়ানি পাওয়া যাবে কোথায়? তারপর আমার ভাই অর্ঘ্য বললো যে, কুষ্টিয়া শহরে ভালো কাচ্চি বিরিয়ানি অনেক জায়গায় পাওয়া যায় পাশেই নান্না বিরিয়ানি হাউজ আছে চলো সেখানে গিয়ে খায়।
তারপর আমি আমার বন্ধু সাগর আর আমার পিসির ছেলে অর্ঘ্য তিনজন মিলে এন এস রোডের সিঙ্গার মোড়ের পাশে নান্না বিরিয়ানি হাউসে ঢুকলাম। আসলে কুষ্টিয়া শহরে অনেকগুলো নান্না বিরিয়ানি হাউজ আছে। এখানে আসল নাম না বিরিয়ানি হাউস কোনটাই না তবে এরা সবাই মোটামুটি বিরিয়ানি বেশ ভালই তৈরি করে।
নান্না বিরিয়ানি হাউজের ভেতরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে হাফ করে তিন প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির অর্ডার করলাম। তারপর একটু পরেই আমাদের টেবিলে গরম গরম কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে গেলো।
আর তিন প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে দিল শসার সালাদ। তারপর শুরু হয়ে গেল আসল কাজ অর্থাৎ পেট ঠান্ডা করা। দুপুরের দিকে খুদাও প্রচন্ড লেগে গিয়েছিল তাই বেশ ভালোই মজা করে কাছে বিরিয়ানি খেলাম। তবে কুষ্টিয়া সিঙ্গার মোড়ের এই নান্না বিরিয়ানি হাউজের কাচ্চি বিরিয়ানি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
কারণ এর আগে কুষ্টিয়ার অনেকগুলো নান্না বিরিয়ানি হাউজ থেকেই খাবার খেয়েছি তবে সিঙ্গার মোড়ের এই নানা বিরিয়ানি হাউজের খাবার অন্যদের তুলনায় বেশ ভালো। শুধু যে খাবারটা আমার কাছেই ভালো লেগেছে এমনটা নয়, আমার বন্ধু সাগর এবং আমার ভাই অর্ঘ্যর কাছেও ভালো লেগেছে।
অনেকদিন পরে তিনজন মিলে বসে একসাথে নান্না বিরিয়ানি হাউস থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে বেশ ভালো লাগছিলো। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে টাকা পেমেন্ট করে আমার ভাই অর্ঘ্য কে বিদায় জানিয়ে আমি আর আমার বন্ধু সাগর বাড়িতে চলে আসলাম।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, বিরিয়ানি খাবারটা আমার খুবই প্রিয়। তাই বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে আমি সব সময়ই চেষ্টা করি মোরগ পোলাও অথবা কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার। কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ের এই নান্না বিরিয়ানি হাউসের কাচ্চি বিরিয়ানিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৪ ই এপ্রিল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon


আরে কি বলেন বাহিরে কোথাও গেলে কি আর না খেয়ে আসা যায়। আর যদি চোখের সামনে পড়ে নান্না বিরানি তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঢাকায় অনেক জায়গায় নান্না বিরানির অনেকগুলা আউটলেট আছে মাঝে মাঝে সেখানে যে খাওয়া হয়। ওদের রান্নাটা সেরকমই হয়। আপনার তো তিনজন বেশ মজা করে খেয়েছেন। খেয়েছেন তো খেয়েছেন কিন্তু চোখের সামনে এভাবে ঝুলে দিয়েছেন। এখন তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারা তো দেখছি কুষ্টিয়ার নান্না বিরিয়ানি হাউস থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলেন খুবই মজা করে। কাচ্চি বিরিয়ানি তো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনার ভাই অর্ঘ্য এবং আপনার বন্ধু সাগরকে নিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করেছিলেন তাহলে। যেহেতু জায়গাটিতে আপনি পাঁচ বছর ছিলেন তাই একটা মায়ায় জড়িয়ে যাওয়ারই বিষয়।
কাচ্চি বিরিয়ানি খাবারটা আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম আপু। সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
যেখানে লেখাপড়া করা যায় সেই জায়গার প্রতি সবারই একটা অন্যরকম টান থাকে। এর জন্যই আপনার কুষ্টিয়ার প্রতি একটা অন্যরকম ভালোলাগা এখনো রয়ে গিয়েছে। তাই তো বাড়িতে গিয়ে আপনার পুরনো পছন্দের শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া সবাই মিলে বেশ মজা করে বিরিয়ানিও খেয়েছেন দেখছি।
হ্যাঁ আপু অনেকদিন যেখানে লেখাপড়া করেছি সেখানে একটু টান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ!! অসময়ে বিরিয়ানি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো ভাইয়া। যদিও কখনো কুষ্টিয়ার এই বিখ্যাত বিরিয়ানি খাওয়া হয়নি তবে কাচ্চি বিরিয়ানি আমার অনেক বার খাওয়া হয়েছে। কাচ্চি বিরিয়ানির ভেতরের আলুটা জাস্ট অসাধারণ লাগে ,মেখে মেখে খেতে। আপনারা তিন জনে বেশ জমিয়ে খেয়েছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিরিয়ানি দেখলে জিভেতে জল আসবে এটাই তো স্বাভাবিক আপু। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কুষ্টিয়া শহরে ঘোরাঘুরি করতে সকলেই অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে যারা একবার কুষ্টিয়ার শহরে অনেকদিন কাটিয়েছে তাদের কাছে কুষ্টিয়া শহরটা সবসময় স্বপ্নের মত। যাইহোক তিনজন ঘুরাঘুরি শেষে বিরিয়ানি খেয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো কুষ্টিয়ার বিরিয়ানি বরাবরই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই কুষ্টিয়া শহরটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি কুষ্টিয়া থেকে বিরানি খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমিও যখন কুষ্টিয়াতে ছিলাম প্রায় দুই একদিন পরপরই এই দোকানে বিরানি খেতে যেতাম। আসলে মেসের খাবার তেমন খুব একটা ভালো হতো না সেইজন্য বাইরে খাওয়া যে হতো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে আমিও আপনার মত বাহিরে কোথাও ঘুরতে গেলে চেষ্টা করি কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার। কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর তাই তো আপনাদের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা ভাই। তিনজনে মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। আপনাদের তিনজনের কাছেই এই বিরিয়ানি খেতে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে।
বাহ্ ভাই আপনিও আমার মতই বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে কাছে বিরিয়ানি খান জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।