বি পি এল.. রংপুর বনাম বরিশাল ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমরা যারা ক্রিকেটপ্রেমী তারা সবাই জানি এই মুহূর্তে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আজকের ম্যাচ ছিল বরিশাল বনাম রংপুর। আজকের ম্যাচটি অনেক উত্তেজনা পূর্বক একটি ম্যাচ ছিল। অনেকে এটিকে সাকিব বনাম তামিমের ম্যাচ হিসেবে আখ্যায়িত করছিলো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এই ম্যাচ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
প্রথমেই ব্যাটিং করতে নামে বরিশাল দল। বরিশাল দলের হয়ে ওপেনিং করতে নামে বরিশাল দলের ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল ও টম ব্যান্টন। প্রথমে শুরুটা বেশ ভালোই করে তামিম ইকবাল ও টম ব্যান্টন। কিন্তু বরিশাল প্রথম ইউকেট হারায় ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল এর, তামিম সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ২০ বলে ৩৩ রান করে চলে যায়। তামিম আউট হয়ে যাওয়ার পরেও বরিশাল ভালোই খেলছিলো প্রথম ১০ ওভার শেষে বরিশালের রান দাঁড়ায় ১০০ রানে ১ ইউকেট। কিন্তু ১০ ওভার এর পর থেকে বরিশালের রানরেট কমে যায় কারণ একের পর এক ইউকেট পড়তে থাকে। ব্যান্টন ২৪ বলে ২৬ এবং মায়ার্স ২৭ বলে ৪৬ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপর কেউ আর তেমন ভালো একটা খেলতে পারেনি। মুশফিক ৩ বলে ৫ রান, সৌম্য সরকার ২ বলে ০ রান, রিয়াদ ৯ বলে ৯ রান, মিরাজ ৮ বলে ৩ রান, সাইফুদ্দিন ৯ বলে ১০ রান, মাহারাজ ৫ বলে ১ রান, মেককয় ১২ বলে ১২ রান এবং রাব্বি ১ বলে ১ রান করে। সবশেষ এ ২০ ওভার শেষে বরিশালের রান দাঁড়ায় ১৫১ রান। ২০ ওভারে রংপুরের জন্য টার্গেট হয় ১৫২।
রংপুরের হয়ে ওপেনিং করতে আসে ব্রাডন কিং ও মমিনুল হক কিন্তু ২ বলে ০ রান করেই মমিনুল হক আউট হিয়ে যায়। এরপর রংপুরের হয়ে ব্যাটিং করতে নামে রংপুরের ক্যাপ্টেইন সাকিব আল হাসান। কিং ও সাকিব এর মধ্যে বেশ ভালো একটা পার্টনারশীপ হয়ে উঠেছিলো তখনি কিং ২২ বলে ৪৫ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপর সাকিব ও ১৫ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপর মাহাদি ও নুরুল হাসান যথাক্রমে ১১ বলে ৭ ও ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপর টম মরেস ও নিসাম এর মাঝে ভালো একটি ছোট্ট পার্টনারশীপ গড়ে উঠে যা রংপুর এর জন্য অনেক প্রয়োজনীয় ছিলো। এরপর প্রিটরিয়াস ১৫ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রংপুর কে ২ ওভারে ৩ রানের দরকার ছিলো কিন্তু রংপুরের কাছে ইউকেট ছিলো মাত্র একটি। ওই ওভারে মাত্র ১ রান হয়। রংপুরের জিততে দরকার ছিলো ১ ওভারে ২ রান ও বরিশালের দরকার শুধু ১ টি ইউকেট। এরকম চরম উত্তেজনায় ম্যাচটি পৌঁছে যায়। কিন্তু ৩ বল হাতে রেখেই ১ ইউকেট এ রংপুর ম্যাচটি জিতে নেয়।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ পড়াশোনা করছি । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে বরিশাল ভালোই রান করেছিল।পরে তাদের প্রচুর পরিমাণে উইকেটের পতন হয়।বিশ ওভার খেলতে তাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে ম্যাচ টি টান টান উত্তেজনার মধ্যে সমাপ্ত হয়। আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টি উপভোগ করেছি। ইদানিং আমাদের রংপুর রাইডার্স খুবই সুন্দর খেলছে। রংপুর রাইডার্স টানা আটটি ম্যাচ ইউন হয়। রংপুর রাইডার্সের জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই ম্যাচটি অনেক টান টান উত্তেজনার মাঝে শেষ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ রংপুর এবার কাপ জিতবে।
এই খেলাটি আমি দেখেছি ভাই। খেলা শেষের দিকে একটা উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত রংপুর যেতে চাই কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর একটি ম্যাচ হয়েছে। এ ধরনের খেলা গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। টানটান উত্তেজনা কে হারবে কে জিতবে এই একটা যে মজা ক্রিকেট খেলা এই মজাটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাহোক আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন শ্বাসরুদ্ধকর একটি ম্যাচ হয়েছে৷ রংপুর এবার কাপ নিবে ইনশাআল্লাহ আমারা আশাবাদী।
আসলেই টানটান উত্তেজনাময় সময় ছিল খেলার শেষের দিকটা।তবে অভিনন্দন জানাচ্ছে রংপুর টিমকে অবশেষে তারা জিতে গিয়েছে বলে।