আমার প্রিয় বিদেশি লেখক - জেমস রোলিন্স
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে চলছে একুশে বইমেলা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুরো মাসে আমি আমার বাংলা ব্লগে শুধুমাত্র বই নিয়ে লিখব। তারই ধারাবাহিকতায় আজ লেখব বিদেশি একজন লেখক নিয়ে।
.jpg)
দেশি সাহিত্য নিয়ে তো অনেকগুলো লেখা লিখলাম। আজ মনে হলো বিদেশি সাহিত্য নিয়ে লেখা উচিৎ। তাই আমি আজ একজন বিদেশি সাহিত্যিকের গল্প বলব। তার নাম জেমস রোলিন্স। জেমস রোলিন্স মূলত একজন থ্রিলার উপন্যাস লেখক। তার বিখ্যাত থ্রিলার সিরিজের নাম সিগমা ফোর্স। এটি মূলত এটি গোয়েন্দ-ভিত্তিক সিরিজ।
আমি তার সিগমা ফোর্স সিরিজের দুটি বই পড়েছি। ম্যাপ অব বোনস এবং স্যান্ডস্টর্ম। এর বাইরে আরেকটি উপন্যাস পড়েছি। তা হচ্ছে অ্যামাজন জঙ্গল নিয়ে লেখা অ্যামাজোনিয়া। অবশ্যই আমি বইগুলোর বাংলা অনুবাদ পড়েছি। এত বড় বই তো আর মূল ভার্সনে পড়ার মতো যোগ্যতা আমার নেই।
তার বইয়ের সবচেয়ে যে বিষয়টা আমার বেশি ভালো লাগে তা হচ্ছে খুব সুন্দর একটি সংমিশ্রণ। বইগুলো মূলত গোয়েন্দা বই। কিন্তু সেখানে আশ্রয় নেয়া হয়েছে ইতিহাসের, সমাজে প্রচলিত মিথ এবং কুসংস্কারের, এর সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান। কি অপূর্ব সংমিশ্রণ!
তার লেখা থ্রিলার পড়লে মনেহয়, কোন এক সময় ঘটা ঘটনাই তিনি বর্ণনা করছেন। এতটা সাবলীল এবং বাস্তব সম্মত ঘটনার বিন্যাস থাকে তার লেখাগুলোতে। তিনি আবেগের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠান, রোমান্সের সর্বশেষ ধাপ পর্যন্ত নিয়ে যান, রহস্যের সবচেয়ে গভীরে নিয়ে যান পাঠককে। এমনভাবেই তিনি তার লেখাগুলো সাজান। তার লেখায় প্রধান চরিত্র সর্বেসর্বা হয়না। তাকে তার সঙ্গীদের উপর নির্ভর করতে হয়। যা তার লেখাকে আরো বাস্তব করে তুলে। যেমনটা অন্য গল্পগুলোতে হয় তেমনটা তার লেখায় থাকে না। যার কারণে ঘটনাগুলোকে বেশি বিশ্বাস করা যায়। মনেহয় এমনটাই বুঝি হয়েছে।
প্রতিটা চরিত্রের আলাদা আলাদা গুন থাকে। তারা তাদের সেই দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে। ঠিক যেমনটা প্রফেশনালিজমের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই।প্রচলিত ইতিহাসকে তিনি আবার বাস্তব করে তোলেন বিজ্ঞানের সাহায্যে। যার কারণে তাকে আমার বেশি ভালো লাগে। তার সবগুলো লেখাই আমার পড়ার ইচ্ছা। খুব শীঘ্রই হয়তো পড়ে ফেলব। আজ এতটুকুই থাকলো তাকে নিয়ে।

![]() | ![]() | ![]() | ![]() |
---|---|---|---|
Twitter Promotion | CMC Promotion | DEXScreen Vote | #CoinGem# Vote |