বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ /১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
সকলকে জানাই শুভ নববর্ষ
সকলের প্রতি নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল
আজ পয়লা বৈশাখ, অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ।
আজকের এই শুভ দিনে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্মানিত ফাউন্ডার, সন্মানীত এডমিন, সম্মানিত মনিটর সহ সকল ইউজারদের কে জানায় বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ
আজকে বাংলা বছরের প্রথম দিন। আজকের দিনটি থেকে শুরু করে বছরের প্রতিটি দিন যেন সবাই খুব সুন্দর, আনন্দময়, সুখে-শান্তিতে প্রতিটি পর্যায়ে সাফল্যমন্ডিত হল সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বাঙালি বা, বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা সবাই ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অপরের প্রতি সহযোগিতায়, সহমর্মিতা, মমত্ববোধ, ভালোবাসা আদান প্রদানের মাধ্যমে সুন্দর, শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে এই আশা কামনা করছি।
[source](ডিসকোড় থেকে সংগৃহীত )
আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিনটিকে বাঙালির জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। এই উৎসবে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অত্যান্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সবাই সম্মিলিতভাবে আনন্দ সহকারে উৎসবটি পালন করে। বাংলা নতুন বছরের বর্ষবরণের দিন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই উৎসব স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। সবার মাঝে সুসম্পর্ক ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়। এটি বাঙালি জাতির মূল সংস্কৃতি।পহেলা বৈশাখে বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাঙালি সংস্কৃতি অনুযায়ী সুতির কাপড়ের লাল সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়ে থাকে । আর মেয়েরা জামদানি, খাকি কাপড় লাল সাদা শাড়ি পড়ে। নতুন বছরে উপলক্ষে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলে বাড়িতে যায় সকলের সাথে দেখা করে। সকলের সাথে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। বিশেষ করে সকালে ইলিশ মাছ আর পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এটি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য।
তাছাড়া ঘরোয়াভাবে আরো বিভিন্ন আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে হিন্দি পরিবারগুলোতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেখানে মুসলিম পরিবারের লোকজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সকলেই উৎসব মুখর পরিবেশে খাবার গ্রহণ করে থাকে। এবং সেখান বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মেলা আয়োজন করা হয়। মেলাতে বাঙালি সংস্কৃতি সমূহ তুলে ধরা হয় বিশেষ করে হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জারি গান, বাউল গান, ভাটিয়ালি গান, রবীন্দ্র সংগীত এবং নজরুল সংগীত পরিবেশন করা হয়। তাছাড়া দেশীয় সংস্কৃতির বাদ্যযন্ত্র সমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একতারা, দোতারা, বাঁশি, ঢোল, তবলা, হারমোনিয়াম ইত্যাদি। এসব বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে যখন গান পরিবেশন করা হয় তখন হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আসলে এসব সাহিত্যে অনুষ্ঠানে গেলে বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্ববোধ করা যায় ।কারণ গর্ব করার মতো আমাদের অনেক কিছু রয়েছে। প্রতিটি গানের কথাতেই আমাদের সংস্কৃতির সৌন্দর্য পরীক্ষিত করা যায়।
পহেলা বৈশাখের মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়ানট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এটি রাজধানী ঢাকার রমনা পার্কে বটমূলে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য বাংলার আপামর জনতা দলবেঁধে রমনা পার্কে উপস্থিত হয়। সাংস্কৃতিক শিল্পী পুরাতন বছরকে বিদায় জানাই নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। গানের মাধ্যমে নতুন বছরকে আহ্বান জানায়।বলে রাখা ভালো যে, ১৯৬৭ সাল থেকে বটমূলে এই অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। পহেলা বৈশাখ সারাদেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয় । দেশে দেশে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি এলাকা গুলোতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুনদিনের উৎসব পালন করে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে বিভিন্নভাবে বাংলা বছরকে স্বাগত জানাই।
পহেলা বৈশাখের আরো একটি ঐতিহ্য হলো হালখাতা। বিগত বছরের সকল হিসাব নিকাশ শেষ করে নতুন বছরের হিসাব নিকাশ শুরু করা হয়। ব্যবসায়ীরা খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে হালখাতা অনুষ্ঠান করে থাকে। ব্যবসায়ীরা তাদের সকল ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে একটি নির্দিষ্ট দিনের জন্য দাওয়াত দেয়। ঐ দিন বিভিন্ন আয়োজন করা হয়ে থাকে বিশেষ করে ভালো গুণগতমানের খাওয়া দাওয়া ব্যবস্থা করা হয়। ক্রেতাগণ তাদের পুরাতন বছরের হিসেব-নিকেশ শেষ করে নতুন বছর হিসাব নিকাশ খোলা থাকে। আর বিক্রেতা গণ তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাদের ব্যবসা সফলতা অর্জনে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে। দোকানদার বা, ব্যবসায়ী তাদের সকল ক্রেতা বিক্রেতা সকলের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। ব্যবসায়ীগণ সকলকে সুন্দর পরিবেশে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করাতে কমতি করে না।
পরিশেষে বলতে চাই নতুন বছর সবার খুব ভালো কাটুক ।সবাই যেন খুব সুখে শান্তিতে দিনগুলো অতিবাহিত করতে পারে এই আশা রেখে আপনার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আসসালামু আলাইকুম, আপনার প্রতি রইল বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে, মোগল আমল হতে ভারতীয় উপমহাদেশের পহেলা বৈশাখের উৎসব চালু হয়ে আসছে। এটি পূর্বে গ্রামবাংলার মানুষের উৎসব হয়ে থাকলেও বর্তমানে তা শহর-বন্দর সহ উচ্চমহলে এই উৎসবটি সেলিব্রেট করা হয়। আপনাকে ধন্যবাদ পহেলা বৈশাখের এই দিনে একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোষ্টটি সম্পর্কে এত সুন্দর ভাবে মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রথমে আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আসলেই নববর্ষ খানের প্রাণের উৎসব। আর নতুনত্ব কে বরণ করে নেয়ার দিন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি নববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। মেয়েদের শাড়ি পরা ও পুরুষদের পাঞ্জাবি পরা সেইসাথে হালখাতা সহ নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নববর্ষ উপলক্ষে এই পোস্টটি করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য।
আপনাকে পহেলা বৈশাখ কিংবা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।আপনি পোস্টের মাধ্যমে নববর্ষ সম্পর্ক বেশ ভালো লিখেছেন।ভালো লাগলো আপনার লিখাগুলো পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে অনেক কিছু লিখছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার উপস্থাপনা টা অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে মনে অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা ভাই। পহেলা বৈশাখ মানেই পান্তা ইলিশ গরমে মেলায় ঘোরাঘুরি নতুনভাবে বছরটাকে বরণ করে নেওয়া। অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। নতুন বছরটা যেন আপনার অনেক ভালো কাটে সেই কামনা করি।
এত সুন্দর ভাবে পোস্টটির সম্পর্কে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে অনেক কিছু বিস্তারিত লিখেছেন দেখছি। পহেলা বৈশাখ আমাদের জন্য অনেক আনন্দের একটা দিন। ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখে অনেক বেশি মজা হত। কারণ মেলায় যেতে পারতাম। এখন তো আর মেলায় যেতে পারি না। আপনার লেখাগুলো অনেক ভালো লেগেছে।
পোস্টটি পড়ে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
আপনাকেও শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। ভাল থাকবেন ভাই, ধন্যবাদ।