ভালোবাসার আরেক নাম বগুড়া
বর্তমানে আমি বগুড়া শহরে অবস্থান করায়,এ শহরের সবকিছু আমাকে আপন করে নিয়েছে। এ শহরের রাস্তাঘাট, লোকজন এবং পরিবেশ সবকিছুই মনোমুগ্ধকর এবং আকর্ষণীয় লাগে। এ শহরে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে, ভালো লাগে শহরের কোলাহলপূর্ণ আবহাওয়া। এ শহর এত আপন করে নিয়েছে যে এ শহর ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না।
ভালোবাসা বিষয়টা জোর করে হয় না, মন থেকে চলে আসে। সেই গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই চলে এসেছি বগুড়া শহরে। প্রথমে এ শহরে এসে নিজেকে খুব খারাপ লাগছিল।এ শহরে এসে টিকে থাকতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। চেনা জানা কেউ ছিলনা। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এ শহরের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করলাম, শুরু করলাম এ শহরের মানুষ গুলোকে চিনতে। সবাই খুব ব্যস্ততার মধ্যে পুরোটা দিন কাটায়। কর্ম না থাকলে এখানে টিকে থাকা যায় না। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এখানকার ভাবগতি বুঝে ওঠায় এখানে ভালো লাগতে শুরু করল। পরবর্তীতে কলেজের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ভালো মিল হলে, তাদের সঙ্গে আড্ডা গুলো জমে উঠতে শুরু করল। সময় পেলে ঘুরতে যাওয়া, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খুনসুটি সবকিছুই চলতে লাগলো। এখন এখানে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে,ভালো লাগে এখানকার মানুষগুলোর ব্যস্ততা দেখতে। এ শহরের কিছু মানুষ আমার পরিবারের সদস্যদের মতোই হয়ে গেছে।
প্রাণের এই শহরের মায়া মমতা কাটিয়ে ওঠা দায় হয়ে পড়েছে। এ শহরের সবগুলো জায়গা পরিচিত হয়ে উঠেছে। আর পরিচিত শহর থেকে দূরে থাকতে কারই বা ভালো লাগবে। মায়া মমতায় ঘেরা এই শহর স্থান করে আছে মনের মনিকোঠায়।
সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন এবং তার সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল ভাইয়া।
ভাইয়া সুন্দরভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন বগুড়া শহরের সাথে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে ভাইয়া আপনি যদি ডিভাইস ও লোকেশন ব্যবহার করতেন আর অনেক ভাল হতো।
আসলে বগুড়া শহরটি আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি ওখানে গিয়েছিলাম।তাই আমি শহরটা মোটামুটি চিনি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।