হঠাৎ করে মহাস্থানগড় ভ্রমণ, পুণ্ড্রনগর। ১০% @btm-school
আমার কাকাতো বোন, রংপুর আছে। সে পুলিশে চাকরি পাওয়ার জন্য ছয় মাসের ট্রেনিং এ ছিল। তো তার মধ্যে সে দিন কয়েক এর ছুটি পেয়েছিল। তাই বাড়ি আসবে বলে আমি ওকে বগুড়ায় আনতে গিয়েছিলাম। তো বগুড়ায় আমি পৌঁছে দেখি তার আসতে আরও দুই ঘন্টার মত দেরি। তাই দেরি না করে হঠাৎ বেড়িয়ে গেলাম ভ্রমণে, কাছেই মহাস্থানগড়, বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। আমার দেখার খুব ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই, তাই হঠাৎ মাথায় আসলো সময় নষ্ট করে লাভ নেই। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষনা হয়। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থান গড় অবস্থিত। মহাস্থানগড় যেতে হলে শুরুতেই আপনাকে যেতে হবে বগুড়ায়। রাজধানী থেকে বগুড়ার দূরত্ব প্রায় ২১৪ কিঃ মিঃ এবং বগুড়া থেকে মহাস্থানগড়ের দূরত্ব প্রায় ৯ কিঃ মিঃ। বগুড়া থেকে মহাস্থানগড়ে বাস বা সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাওয়া যায়। বগুড়ার চারমাথা মোড় থেকে আমি বাসে গিয়েছিলাম। তারপর বাস থেকে নেমে অটো করে সোজা মহাস্থানে। মহাস্থানগড়ে যাবার পথে, নদীর পাশে শীলা দেবীর ঘাট পড়ে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সেখানে মৃত দেহ সৎকার করে। ভালোই দেখলাম সবকিছু, লজ্জাবতী’র গাছ এটি, সেখানেই ছিল, অনেকেদিন পর গাছগুলো দেখে ভালোই লাগলো।
তারপর দেখা শেষ করে মহাস্থান বাজারে চলে আসলাম, সেখানে প্রচুর কটকটি, যাবার সময়ও দেখেছিলাম অবশ্য, কটকটিকে কেন্দ্র করে শতাধিক দোকান গড়ে উঠেছে। কিছু কটকটি নিলাম খাওয়ার জন্য, খুব অল্প সময় নিয়ে ঘুরে এলাম, এর মধ্যে দু ঘন্টা শেষ হতে চলেছে।
কটকটিগুলো আকৃতিতে খুব একটা পার্থক্য দেখা না গেলেও স্বাদে একটির সঙ্গে আরেক দোকানের তফাত রয়েছে। অবশ্য উপাদানের ভিন্নতার জন্য যেমন স্বাদে আলাদা, তেমনি দামেও রয়েছে রকমের। ৮০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় কটকটি। ঢাকায় বসেও মহাস্থানগড়ের কটকটি পাওয়া যাবে। দাম পড়বে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। কটকটি গুলোর ছবি দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। এই হলো আমার হঠাৎ মহাস্থানগড় ভ্রমণ। তারপর বোন নামলো বগুড়ায়, তারপর আমারা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। বাড়ি আসতে প্রায় ১০ টা বেজে গিয়েছিল। কেমন লাগলো আমার এই ঝটিকা অভিযান, অব্যশই জানাবেন।
ভালো থাকবেন এবং সুস্থ্য থাকবেন।
হুম, ভালো হয়েছে আপনার মহাস্থানগড়ে ঝটিকা সফরের কাহিনী। তবে মহাস্থানগড় সম্পর্কে আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য পেলে লেখাটি সোনায় সোহাগা হতো।
মহাস্থানগড় জাওয়ার ইচ্ছা ছিলো বগুড়া আমাদের প্রায় জাওয়া হয় কিন্তু সময় হয়ে উঠে না । আপনার পোস্ট পড়ে জাওয়ার আগ্রহ আরও বেড়ে গেলো।
কটকটি এটা কি জিনিস? নতুন শুনলাম নাম। মহাস্থানগড় সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ অনিক দাদা ।