শো অফ থেকে যদি ভালো কিছু হয় ; তাহলে মন্দ কিসে||10% beneficiaries for shy-fox ||
একজন মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণগুলোর মধ্যে একটি হল- একে অন্যের বিপদে সাহায্য করা। আমরা যদি অন্যের বিপদের সময় অন্যকে বিপদ থেকে উদ্ধারই করতে না পারি, তাহলে আমরা মানুষ হলাম কি করে! আমাদের সকলের উচিত অন্যের ছোটখাটো বিপদ থেকে শুরু করে বড় যেকোন বিপদে যথাসাধ্য সাহায্য করা। আর একে অন্যের বিপদে সাহায্য করার মাধ্যমেই মানুষের মানবিকতা ধর্মের আসল পরিচয় পাওয়া যায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে হলো মানবিকতা ধর্ম। আর এই মানবিকতা গুন অর্জন করা যায় স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার মাধ্যমে।
তবে লোক দেখিয়ে অন্যের উপকার করা কখনোই একজন মানবিকতা সম্পন্ন লোকের কাছ থেকে কাম্য নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শো অফ করা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ একটি বিষয়ে সামর্থ থাকা সত্বেও কেউ যদি অন্যের ওই বিষয় সম্পর্কিত বিপদে এগিয়ে না এসে চুপচাপ বসে থাকে, তাহলে উপকার করে শো অফ করার মাধ্যমে তাদেরকে ধিক্কার জানানো উচিত।
রক্তদান একজন মানুষের মানবিকতা গুণগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতি চার মাস পর পর রক্ত দান করা যায়। রক্তদান করলে আমাদের কোন ক্ষতি হয় না; বরং আমরা উপকৃত হয়। সুতরাং সকল প্রকার ভয় ভীতি দূর করে আমাদের সকলের উচিত অন্যের রক্তদান সম্পর্কিত বিপদে এগিয়ে আসা। মূল ঘটনায় আসা যাক। আমার স্কুল এবং কলেজের থাকাকালীন সময়ে বন্ধু পাপন। সে অবশ্যই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ধর্মীয় দিক থেকে হিন্দু হলেও তার সঙ্গে আমার বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। কলেজে থাকাকালীন সময়ে তাদের বাড়িতে প্রায়ই যেতাম। ওদের বাসায় অবশ্য আমরা একসঙ্গে প্রাইভেটও পড়েছি।
কয়েকদিন আগে ওর এক ফুফুর অপারেশনের জন্য চার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন ছিল। রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। আমারও সেম। কলেজের মেসেঞ্জার গ্রুপে মেসেজ দেয়ার এক ঘন্টা পরও কেউ রেস্পন্স করছিল না। বিষয়টি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। পজেটিভ গ্রুপের রক্ত অ্যাভেলেবল হওয়া সত্ত্বেও, কেউ কিছু না বলাই বিষয়টা আমার কাছে আরো খারাপ লাগলো। দু'দিনের মধ্যেই ৪ ব্যাগ রক্ত জোগাড় করা ওর কাছে কষ্টসাধ্যই ছিল। আমি ২ মাস আগেই রক্ত দিয়েছিলাম। ওর কাকুতি-মিনতি শুনে শেষমেষ আমি রক্ত দিতে রাজী হয়ে গেলাম।সঙ্গে আমার এক ছাত্রকেও রক্ত দিতে রাজি করালাম। দুজন মিলে রক্ত দেয়ার পরপরই ছবি উঠিয়ে আমাদের কলেজের মেসেঞ্জার গ্রুপে সেন্ড করলাম। আর মেসেজে লিখলাম এ নিয়ে আমার ১১ বার।প্রতিবার চার মাস অন্তর অন্তর হলেও এবারেরটা আড়াই মাস পরই। যদিও এর আগে কখনো এমনভাবে শো অফ করিনি। সবাইকে ধিক্কার জানানোর জন্য এমনটা করেছিলাম। আমাদের সকলের উচিত প্রতিবছর দুই থেকে তিনবার রক্তদান করা। আপনারা সবাই নিজের রক্ত দান করুন এবং অন্যকেও উৎসাহিত করুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
আমি মাহমুদ দিপু। আমি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থান করছি।আমি পেশায় একজন ছাত্র। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হলেও লেখালেখি করতে আমার খুব ভালো লাগে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানো এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া আমার সখ। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে অনেক ভালোবাসি।
আপনি খুবই সুন্দর কাজ করেছেন ভাই। একে অন্যের বিপদে সময় যদি পাশে দাঁড়াতে না পারে তাহলে শিক্ষা অর্জন করে কি লাভ। রক্তদান একটি মহৎ গুণ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
জী ভাই,খুবই সুন্দর কথা বলেছেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও।
ভাই আপনাকে কি বলে যে প্রশংসিত করবো সেই ভাষা আমার জানা নেই। 🙂🙂 আপনি অনেক মহৎ একটি কাজ করেছেন। আপনার পোষ্টটি মোটেই কোনো সো অফ পোস্ট হয়নি এই পোস্টটি একটি উৎসাহিত মূলক পোস্ট হয়েছে। আপনার এই ত্যাগ তিতিক্ষা এবং এত সুন্দর মানসিকতার জন্য আপনাকে স্যালুট জানাই ভাই।
আপনার প্রশংসা ভরা মন্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।আপনিও বেশি বেশি রক্ত দান করবেন।আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
রক্তদান একটি মহৎ পেশা তবে এটা অবশ্যই লোক দেখানো নয় বরং অন্য কে উতসাহ দেওয়ার জন্যই আমরা নিজেদের রক্তদান করার চিত্র গুলো শেয়ার করি। আপনার জন্য অনেক দোয়া এবং ভালোবাশা রইলো ভাই।
🥰😍😍
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।