দাঁতের রুটিন চেক, প্রবলেম দেখা দিল মা মেয়ে তিন জনের এবং সাথে রয়েছে কিছু কেনাকাটা
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
রুটিন চেকের জন্য ৬ মাস পরপর যেতে হয় ডেন্টিস্টের কাছে। নরমালি আমাদের কারও বড় কোন প্রব্লেম ছিলনা দাঁতের। কিন্তু গতকাল চেক করে দেখলো আমাদের মা মেয়ে তিন জনেরই দাঁতের প্রবলেম হয়েছে।আমার একটি দাঁতে ক্যাপ পড়াতে হবে। ক্যাপ না পড়লে প্রবলেম হবে দাঁতের। ছোট মেয়ের একটি দাঁতের গোড়া দিয়ে দাঁত উঠে গিয়েছে।তবে আশা করছে ঠিক হয়ে যেতে পারে।তাই আবার দুই মাস পর যেতে বলেছে।যদি ঠিক না হয় তবে দাঁতে ব্রেসেস লাগবে।আর বড় মেয়ের দাঁতেও একটু প্রবলেম রয়েছে, তবে খুব বেশি প্রবলেম নেই। ডক্টর বললো আমরা চাইলে ব্রেসেস পড়াতে পারবো।মেয়েও দেখলাম রাজী আছে তাই হ্যাঁ বলে দিলাম।নরমালি এই দেশে ১৮ বছরের নিচে হলে দাঁতের ট্রিটমেন্টে কোন পয়সা লাগে না, তাই ভাবলাম যেহেতু এখন ফ্রি ট্রিটমেন্ট তাই রাজি হয়ে গেলাম।এদেশে দাঁতের ট্রিটমেন্টে অনেক টাকা লাগে। একটি দাঁতে ক্যাপ পড়াতে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগে।আর ব্রেসেস পড়তে কত লাগে সে বিষয়ে কোন ধারণা নেই কারণ এর আগে কখনো কারও করা হয়নি। যাইহোক দুই মাস পর আমাদের সকলের অ্যাপোয়েন্টম্যান্ট করে ফেললাম।আর যেহেতু হাজব্যান্ড এর অ্যাপোয়েন্টম্যান্ট একমাস আগে ছিল তাই তার আর কোন চেকাপ ছিলনা। অবশ্য তার দাঁতের কোন প্রবলেম ছিল না।
দাঁতের ডাক্তার দেখানোর পর চলে গেলাম শপিং করতে। যেহেতু শপিং মল ডক্টরের চেম্বারে পাশেই।আর আমাদের কিছু দরকারি কেনাকাটাও ছিল।শপিং এ গেলে কেনাকাটা যেন শেষই হয়না। ঈদের পর এই ফাস্ট শপিং করতে গিয়েছিলাম পরিবারের সকলকে নিয়ে। যেহেতু বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ ছিল তাই সকলে মিলে শপিং এর সুযোগ হয়েছিল।যেহেতু এখন সামার সিজন, তাই বাঁচ্চাদের গরম কাপড়ের দরকার ছিল।আর বাঁচ্চাদের ছয় মাস পরপর কাঁপড় চোপড় লাগে কারণ এ সময় তাঁদের দ্রুত বডির চেঞ্জ হয়।আগের বছরের সামারের ড্রেসগুলো এখন আর তাদের বডিতে ফিট হয় না।তাই তাদের কাপড়-চোপড় গুলো পুরো ভালো থাকে। অবশেষে পুরনো কাপড়-চোপড় গুলোর চ্যারিটিতে দিয়ে দেই।
আজকের শপিং এর উদ্দেশ্যেই ছিল বাচ্চাদের কাপড়চোপড় কেনা। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে পছন্দমত বেশ কিছু কাপড় চোপড় কিনে নিলাম।এছাড়া আমার দরকারি আরও কিছু কেনাকাটা সেরে নিলাম।যেহেতু স্কুল ছিল না তাই তেমন আর তাড়াহুড়া ছিলনা,আর ওই দিন হাসব্যান্ডের রেস্টুরেন্টও ছিলনা। অবশেষে দু তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করে কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরলাম।
আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওই দেশে ১৮ বছরের নিচে দাঁতের ট্রিটমেন্ট এর কোন পয়সা লাগে না, আর আমাদের দেশে ডাক্তারের কাছে গেলে যত কম বয়সের দাঁত তত বেশি টাকা নিবে। আমাদের দেশের অবস্থা। যাই হোক মা মেয়ের দাঁতের সমস্যা কিন্তু ভাইয়ার কোন সমস্যা নেই। তারমানে আপনারা দাঁতের সমস্যা করে এমন খাবার বেশি খাচ্ছেন, হা হা হা। ধন্যবাদ।
আমিও শুনেছি বাইরের দেশে দাঁতের ট্রিটমেন্টে খরচ অনেক বেশী।আপনি আর মেয়ে দুজন দাঁতের রুটিন চেক করতে গিয়ে সামান্য কিছু প্রবলেম দেখতে পেলেন।আশাকরা যায় এর সমাধান দ্রুত হবে।এরপর মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করতে গেলেন শপিংমলে।দুই-তিন ঘন্টা ঘুরে ঘুরে কিনলেন।এরপর বাসায় গেলেন।মেয়েদের স্কুল নেই,ভাইয়ার ও রেস্টুরেন্ট নেই।তাইতো নিশ্চিন্তে নিজের ও কিছু কেনাকাটা করতে পারলেন।পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ছোটদের ফ্রি ট্রিটমেন্ট করার ব্যাপারটা সত্যি অনেক ভালো লেগেছে আপু। বাংলাদেশে তো তেমন কোন ফ্রি ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থাই নেই। যেহেতু তিনজনেরই ছোটখাটো কিছু প্রবলেম রয়েছে আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে। অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু।