বড় মেয়ের স্কুলে পরাপর দুইদিন ঘটে গেল দুটি ইন্সিডেন্ট
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
আসলে বাচ্চাদের স্কুলে দিয়েও শান্তি নেই।কখন কার সাথে কি ঘটে যায় তা বলা মুশকিল।বড় মেয়ের স্কুলে পরাপর দুই দিন দুটি ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনা দুটি আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রথমেই প্রথম ঘটনাটি বর্ণনা করছি।সাধারণত স্কুলে থাকতে হয় ৫ ঘন্টা।স্কুলে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন অন রাখা নিষিদ্ধ। মেয়ে কোনদিনও স্কুল থেকে আমাকে ফোন করেনি।স্কুল থেকে বের হয়ে ফোন করে।সেদিন স্কুলে যাওয়ার দুই তিন ঘণ্টা পর হঠাৎ দেখি আমার মেয়ের কল এসেছে।কল দেখে আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছি। তখন মনে হয়েছে নিশ্চয়ই কোন প্রবলেম হয়েছে।দ্রুত ফোন রিসিভ করি।রিসিভ করার সাথে সাথে মেয়ে ভয়ে ভয়ে বলছে সে আর তার এক বান্ধবী পি- ই চেঞ্জিং রুমে লক হয়ে গিয়েছে।সাধারণত পি-ই এর সময় ড্রেস চেঞ্জ করতে চেঞ্জিং রুমে গিয়ে। সেখান থেকে আমার মেয়ে ও তার বান্ধবী দুজনে গিয়েছিল ওয়াশরুমে।এরপর টিচার এসে দেখে রুমে কেউ নেই তাই রুম লক করে চলে গিয়েছিল। দরজা আর তারা খুলতে পারছিল না।
আমার মেয়ে বুদ্ধি করে আমার কাছে কল করে।স্কুলের ফোন নাম্বার ওর কাছে ছিল না তাই স্কুল অফিসে কল করতে পারেনি।আমাকে কল করে বলে সে একটি রুমে লক হয়ে গিয়েছে।আমি শুনে তো একেবারে হতবম্ভ। দ্রুত স্কুলে ফোন করে তাদেরকে বলি আমার মেয়ে লক হয়ে গিয়েছে একটি রুমে।তাড়াতাড়ি তাদেরকে বের করো।এরপর তারা দ্রুত গিয়ে রুমের লক খুলে তাদের কে বের করে নিয়ে আসে।আমি বলবো অবশ্যই টিচারের দোষ ছিল।কেন সে ভালোভাবে চেক করলো না? চেক না করেই ডোর কেন লক করে দিল।যাইহোক রুম থেকে বের হয়েই মেয়ে আমাকে ফোন করে সে বের হয়েছে।তখন টেনশন মুক্ত হলাম।
চলে যাচ্ছি দ্বিতীয় ঘটনায়।পরের দিন এই ঘটনাটি ঘটেছিল। হঠাৎ করে স্কুল ছুটি হওয়ার ২ ঘন্টা আগে মেসেজ আসে স্কুলে তাদের একটি ইন্সিডেন্ট ঘটেছে।এ কারণে স্কুল লকডাউন রাখা হয়েছে দুই ঘন্টার জন্য। স্টুডেন্ট ও টিচাররা সেফে রয়েছে তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কেউ যেন তাদের ছেলেমেয়েদেরকে পিকাপ করতে না আসে। অর্ধেক ঘটনা বলে রেখেছে কিন্তু কি ঘটেছে তা আর জানতে পারিনি।টেনশনে অবস্থা তো খারাপ।স্কুল ছুটি হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মেয়ের ফোন আসে।তখন ঘটনাটি জানতে পারি। আসলে ঘটনাটি হচ্ছে একটি মেয়ে তার বয়স হবে ১২/১৩ বছরের মত, সেই মেয়েটি তার টিচারের উপরে উত্তেজিত হয়ে একটি ঘুসি বসিয়ে দেয়। খুবই উত্তেজিত ছিল সেই মেয়েটি। এ কারণে স্কুল পুলিশ কল করে। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন ঘটনাটি কতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে।এরপর পুলিশ handcuffs লাগিয়ে মেয়েটিকে স্কুল থেকে নিয়ে যায়।এরপর মেয়েটির সাথে কি ঘটেছে তা আর জানতে পারে নি।এরপর পুলিশ মেয়েটিকে নেওয়ার পর স্কুল থেকে মেসেজ আসে তারা এখন সকলেই সেভ আছে , এখন আমরা পিক আপ করতে পারব।মেয়েটির আচরণ আসলেই হতভম্ব হওয়ার মত ছিল।জানিনা কেন এ ধরনের আচরণ করেছিল? আর টিচারের সাথে এ ধরনের আচরণ আসলেই কল্পনার বাইরে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আগামীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

প্রথম ঘটনাটি পরে অতীতের একটি বাংলা ছবি ছুটির ঘন্টায় হারিয়ে গিয়েছিলাম।আর দ্বিতীয় ঘটনাটি তো আরো বেশী সিরিয়াস।টিচারের উপর উত্তেজিত হয়ে ঘুসি বসিয়ে দেয়া।সব দেশেই আসলে বাচ্চাদের নিয়ে টেনশনে থাকতেই হয়।আপু আপনার আর আপনার পরিবারের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক,আমিন।
হুম আপু আমারও ছুটির ঘন্টার কথা মনে পড়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম ঘটনাটি টিচারের অসতর্কতার কারনে হয়েছে। টিচার যদি ভালো ভাবে সার্চ করতো তাহলে বুঝতে পারতো ওয়াশরুমে স্টুডেন্ট রয়েছে। আর দ্বিতীয় ঘটনাটি কেন ঘটলো বুঝতে পারি নাই, টিচার আবার মেয়েটির সাথে খারাপ আচরন করে নাইতো....?
ঠিক বলেছেন টিচারের অসতর্কের কারণে হয়েছে, আর মেয়েটির ব্যাপারে জানিনা কেন এমন করলো।
প্রথম ঘটনাটি শুনে বেশ অবাক হলাম। কারণ টিচার কেনো এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে। টিচারের অবশ্যই উচিত ছিলো ভালোভাবে চেক করে দরজা লক করা। তবে আপনার মেয়ের বুদ্ধির প্রশংসা করতেই হয়। সে আপনাকে সাথে সাথে ফোন করাতে খুব ভালো হয়েছে। তাছাড়া দ্বিতীয় ঘটনাটি শুনে তো মনে হচ্ছে ঘটনাটি ইংল্যান্ডে না বরং আমাদের দেশে ঘটেছে। কারণ আমাদের দেশে এই ধরনের ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটছে। একটু এদিক সেদিক হলেই স্টুডেন্টরা টিচারদের গায়ে হাত তোলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাবা যায় এত্তো ছোট্ট বয়সের একটি মেয়ের এরকম আচরণ। আমি তো আগে ভাবতাম শুধু আমাদের দেশেই আকাঙ্খািত ঘটনা ঘটে এখন দেখছি উন্নত দেশেও এরকম ঘটনা ঘটে।খুবই উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক ঘটনাটি।
প্রথম ঘটনাটি বাংলা সিনেমা ছুটির ঘন্টার কথা মনে করিয়ে দিলো। ইল্যান্ডের মতো দেশেও এই ঘটনা ঘটে।টিচারের দ্বারা এমন ঘটনা ঘটা আসলেই মেনে নেয়া যায় না। ভালোভাবে চেক না করে কিভাবে উনি লক করে দিলেন। দ্বিতীয় ঘটনাটিতো আরও বেশি ভয়ংকর। মেয়েটিকি মানসিকভাবে অসুস্থ নাকি টিচারের কোনা আচরনে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তা নিশ্চয়ই পরবর্তিতে আপনি জানতে পারবেন। খুবই চিন্তার বিষয়। ভালো থাকবেন আপনার পরিবার নিয়ে এই দোয়া করি।