ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘরে বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার,০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
বেশ কিছুদিন আগে আমি রংপুর পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছিলাম। সেখানে আমার ডাটাবেজ প্রেগামিং এর একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটায়।আর পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর দুইটায়।আর আমি সকাল বেলা তেমন কিছু খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাইনি, তাই পরীক্ষা শেষ হতে আমার অনেক বেশি ক্ষুধা লেগেছিল।তাই আমি ভাবলাম যে, বিরিয়ানি খেয়ে বাসায় চলে যাবো। যেহুতু পরীক্ষা শহরের মধ্যে হয়েছিল, তাই সেখানে বিরিয়ানি হাউজ সব জায়গাতেই রয়েছে।তবে আমার কাছে ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘরের বিরিয়ানি অনেক বেশি ভালো লাগে।এর আগেও আমি অনেক বার বিরিয়ানি খাইছিলাম। তাদের ব্যবহার ও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
তো আমি আমার আরেকজন বন্ধু কে বললাম বন্ধু চলো কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে যাবো।সে ও আমার কথা মতো রাজি হয়ে গেল। আমাদের পরীক্ষা সেন্টার থেকে ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।তাই আমাদের কে একটি রিকশায় করে যেতে হবে। তারপর আমি এবং আমার বন্ধু সহ পরীক্ষা সেন্টার থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই একটি অটোরিকশা চলে আসলো , আমরা রিকশা ওয়ালা মামা কে বললাম আমাদের কে রংপুর লালবাগ এর সামনে নামিয়ে দিন। তারপর রিকশা ওয়ালা মামা লালবাগের উদ্যেশে যাইতে শুরু করলো। রিকশায় যাওয়ার সময় আমরা চারদিকের সুন্দর দৃশ্য গুলো উপভোগ করছিলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই রিকশা ওয়ালা মামা আমাদের কে রংপুর লালবাগ এর সামনে নামিয়ে দেয়। আমরা রিকশা থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি ঘরের মধ্যে।
এরপর আমরা ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলাম।প্রবেশ করে প্রথমে আমরা হাত এবং মুখ ধুয়ে নিলাম। এরপর আমরা টেবিলের মধ্যে এসে বসে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর একজন ওয়েটারর আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো, আমরা কি খাবো? আমরা বলে দিলাম কাচ্চি বিরিয়ানি খাবো। কিন্তু সে আমাদের কে জানালো আজকে কাচ্চি বিরিয়ানি শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পর আমরা বাধ্য হয়ে চিকেন বিরিয়ানির দুটি প্লেট অর্ডার করলাম। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই তারা আমাদের কে দুটি চিকেন বিরিয়ানির প্লেট দিয়ে যায়।তো আমরা বিরিয়ানি খেতে শুরু করলাম। বিরিয়ানির সাথে বেশ অনেক কিছুই ছিল, এছাড়া ও ছিল দেশি মুরগির দুটি রান।
বিরিয়ানি খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে অন্যান্য জায়গার তুলনায় এই বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। রংপুর শহরের বেশ কয়েকটি বিরিয়ানি হাউজে বিরিয়ানি খেয়েছি কিন্তু ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘরের বিরিয়ানির মতো এতো সুন্দর বিরিয়ানি কোথাও খেতে পারিনি।ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘরের পরিবেশ টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েকবার ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘরের মধ্যে বিরিয়ানি খেয়েছি। এককথায় অসাধারণ ছিল।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/riyad_xx2/status/1755439149396701253?t=ySLlGa6jXj5qBw0ABslDoA&s=19
রংপুরে ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানীর শাখা আছে সেটা কিন্তু বেশ ভালো। ঢাকার হাজি কাচ্চি বিরিয়ানীর স্বাদ এমনিতেই বেশ সু স্বাদু। আমার কাছে কিছু বেশ ভালো লাগলো যে আপনি রংপুরে বসেই ঢাকার হাজি কাচ্চি বিরিয়ানীর স্বাদ গ্রহণ করে নিয়েছেন এই কথা টুকু মনে করে।
জী আপু আমি রংপুর থেকে ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানীর স্বাদ গ্ৰহণ করেছি।আর ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানী সবসময় সেরা, আর সর্বদা সেরা থাকবেই।আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঢাকা হাজী কাচ্চি ঘরে বিরিয়ানি খেতে ভীষণ মজা লাগে। আমিও ঢাকায় গেলে খাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সবাইকে ভাই।
এখন ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি বাংলাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। আপনি ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছেন জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম।
কিছু কিছু বিরিয়ানি হাউস আছে যাদের বিরিয়ানি গুলো স্পেশালি মজার হয়। আপনারা হাজি কাচ্চি ঘরে গেলেন বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। শেষমেশ কিন্তু কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে পারলেন না। ভাগ্যে যা আছে তা চিকেন বিরিয়ানি খেয়ে নিলেন। তবে বিরিয়ানির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। অনেক মজাদার খাওয়া-দাওয়া করলেন আপনারা।
সব বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানি এক রকম হয় না, আর সব বিরিয়ানি হাউজ কখনো এক রকম বিরিয়ানি বানাইতে পারে না।একেক বিরিয়ানির হাউজের একেক রকম স্বাদ। তবে আমার কাছে ঢাকা হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি অনেক বেশি ভালো লাগে।
বিরিয়ানি খাওয়ার দারুণ এখন অনুভূতি আর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আজকের এই পোষ্টের মাঝে। বেশ ভালো লাগলো আনন্দঘন এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। আসলে মাঝেমধ্যে যদি এভাবে কোথাও বাইরে খাওয়া দাওয়া করা হয় আর সেই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দী করা হয় এবং শেয়ার করলে অবশ্যই সেটা স্মৃতি হয়ে থাকে।