হ্যাপি বার্থডে বিন্দু
আজ পহেলা মে। আজকের মহান শ্রমিক দিবস। তবে আজকের দিনটি এজন্য স্পেশাল নয়। আজকের দিনটি স্পেশাল কারন আজকে ভগবান আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার পাঠিয়েছিলেন। আজকে আমার সব থেকে আদরের ছোট বোন বিন্দুর জন্মতিথি।এই দিন মায়ের কোল আলো করে পৃথিবীতে আসে বিন্দু।
সেই দিনটা আমার খুব ভালভাবে মনে আছে। তখন তো ছোট বুঝতাম না অতটা,বাইরে গেছিলাম খেলতে। আসার পর শুনি আমার ছোট বোন হয়েছে। আমি তো অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিলাম।কারন সবাই যখন ছোট ভাই বোন নিয়ে খেলত আমার একটু হিংসে হত। মনে হত আমার যদি একটা ভাই বা বোন থাকত।ঈশ্বর এতদিনে মনের ইচ্ছা পূরণ করেছেন।
একট ভাইয়ের জীবন তখনই পূর্ণতা পায় যদি তার বড় বা ছোট বোন থাকে। ভাই থাকা যে খারাপ তা বলছি না।ছোট ভাইয়ের কদর আলাদা। তবে ছোট বোন যে কতবড় উপহার যার আছে সে জানে। অন্তত আমার জন্য তো বেস্ট উপহার। বিন্দু ছোট থেকেই আমাদের অনেক ভাল বন্ডিং ছিল। ভাইবোনের মাঝে অনেক ঝগড়া ঝামেলা হয়,কিন্তু জেনে অবাক হবেন আমার আর বিন্দুর মাঝে কখনো এমন সমস্যা হয়নি।
যত বড় হয়েছি দুইজন তত আমাদের বন্ড স্ট্রং হয়েছে। কতবার যে আমাকে ধোলাই খাবার হাত থেকে বাচিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ওর সাথে সব কিছুই শেয়ার করতাম।আমি ছোট থেকেই প্রচুর বই পড়তাম,আমার এই গুণটা বিন্দুও পেয়েছিল। সব থেকে বেস্ট হত যখন বই পড়া শেষে দুজন মিলে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করতাম বা দেশের সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে গভীর আলোচনা চলত।
আহ্!কিসব দিন ছিল সেগুলো।
খুব মিস করি দিনগুলো। এখন তো বিন্দু বগুড়ায় থাকে।তাই সেভাবে আড্ডা দেওয়া হয়ে ওঠে না।বিন্দুর বার্থডে কিন্তু বরাবরই জমজমাট ভাবে পালন করা হত। তবে একটা সমস্যা বাধত।ওর জন্মদিনের কেক পেতে খুব অসুবিধা হত প্রথম দিকে।কারন তখন দোকানপাট এত কমন ছিল না,সব দোকানে কেক পাওয়া যেত না। আর পহেলা মে শ্রমিক দিবসের বন্ধ।তাই আগের দিন সংগ্রহ না করলে আর কেক পাওয়াই যেত না।
যাই হোক আজকে বিন্দুকে খুব মিস করতেছি আজকে। পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে ওর ও গোবিন্দগঞ্জ আসা হয়নি আবার আমারো বগুড়া যাওয়া হয়ে ওঠে নি।তাই এবার সেলিব্রেশনটাও হয়ে উঠল না।তবে আমি ঠিক করেছি ফ্রি হলেই ওকে গ্র্যান্ড একটা ট্রিট দেব। তবে মন থেকে ওর জন্য অনেক আশীর্বাদ ও শুভ কামনা জানাই।ওর ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল হোক,সেই সাথে সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক ওর জীবন এই প্রার্থনা করি।
শুভ জন্মদিন @biindu । সবাই দোয়া করবেন আমার ছোট বোনের জন্য।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিটা ভাই বোনের সম্পর্ক এমনটাই হোক এই প্রত্যাশায় করছি।আসলেই অবাক হলাম ভাইয়া শুনে যে আপনাদের মাঝে কোনো ঝামেলায় হয়নি।সত্যি খুব ভালো লাগলো।তবে সময় করে আপনার ছোট বোনকে ট্রিট দিয়ে দিয়েন ভাই নইলে আবার মন খারাপ করবে।তার জন্যে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো।
আসলে সবাই চায় তার যেন একটা ছোট বোন হোক। বড় হোক বা ছোট বোন হলেই হলো। আর আপনি আপনার ছোট বোনের সাথে এত ভালো বন্ধুত্ব নিয়ে আছেন সেটা ভাবতেই অবাক লাগে। কারণ ভাইবোনদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ যেকোনো কারণেই লেগে যায়। আর সেটা ভালোও হয়ে যায়। তবে আপনাদের মাঝে এরকম কোন ঘটনা নেই শুনে অবাকই হলাম। যাইহোক আপনার ছোট বোনের জন্য অনেক ভালোবাসা এবং দোয়া রইল। @biindu আপনাকেও জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাকে পেয়ে তোর জীবন পূর্ন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।এই খুশিতে আগে একটা ট্রিট দিস😁
এবার জন্মদিনে আমি মা বাবাকে অনেক মিস করসি।কিন্তু তোকে কম মিস করছি😁
হাহহা।ট্রিট তো দিবই৷ পরীক্ষা শেষ হোক চুন্নুর চাপ খাওয়াবো নি বা কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি।
পরীক্ষার মাঝেও ট্রিট নেয়া যায়😌
দাদাকে কম মিস করলেও সরাসরি মুখের উপর এরকম করে বলতে নেই বোন! হিহি..😂😂
প্রত্যেকটা ভাইয়ের কাছেই তার বোন অনেক বেশি আদরের এবং ভালোবাসার। ভগবানের আশীর্বাদ থাকলেই একটা বোন পাওয়া যায়। আপনি আসলেই অনেক ভাগ্যবান ভাই। তবে খারাপ লাগছে এই ব্যাপারটা জেনে যে, এই বছর আর আপনার বোনের সাথে জন্মদিন পালন করতে পারলেন না। তবে একটু সময় পেলে তাকে ট্রিট দিয়ে দিয়েন, তাহলে সেও খুশি হয়ে যাবে। জানি অনেকটা দেরী হয়ে গেল, তারপরও আপনার বোনের জন্য অনেক আশীর্বাদ রইলো আমার পক্ষ থেকে।