জন্মদিনে কাটানো কিছু সময়

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

জন্মদিনে কাটানো কিছু সময়

1000007574.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি এক ভাতিজার ছেলের জন্মদিনে কাটানো মূহুর্ত নিয়ে।গত শুক্রবার ছিল ভাতিজার ছেলের জন্মদিন। ভাতিজার ছেলের নাম হলো আয়াত।আয়াতের বয়স দুই শেষ হলো।তবে সব সময় আমার মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করে। যাইহোক এবার তেমন জন্মদিনে অনুষ্ঠান করেনি। আমাদের সবাইকে নিয়ে ঘরোয়া ভাবেই করেছিল। তবে আমার মনে হয় ঘরোয়া ভাবে করলেই বেশি মজা হয়। দুপুর বেলা আয়াতের আম্মু এসে বললো আজ সন্ধ্যায় আয়াতের জন্মদিনের কেক কাটা হবে মিমি ও রিমিকে নিয়ে যাবেন। এ কথা শোনা মাত্র আমার দুই মেয়ে যাবার জন্য অস্হির। আসলে জন্মদিনের দাওয়াত পেলাম সন্ধ্যায় কিন্তু তারা সকাল থেকে পড়ালেখা বাদ দিয়ে বসে আছে ও দাওয়াতের জন্য। আমার বড় মেয়ে বললো আম্মু আয়াতকে কি গিফট দেব। আমি বললাম এখন গিফট দেওয়ার সময় নেই টাকা দেব।কিন্তু আমার মেয়ে নাছরবান্ধা গিফট দিতেই হবে। এখন গিফট কোথায় পাওয়া যাবে। আমি বললাম পরে দিন কিনে দেব।যাইহোক অবশেষে তার বাবাকে দিয়ে গিফট কিনে এনেছে তারপর জন্মদিনে গিয়েছিল। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000007480.jpg

1000007493.jpg

1000007485.jpg

আমরা প্রথমে গিয়ে দেখি বেশ লোকজন চলে এসেছে।আসলে শুধু বাচ্চাদের নিয়ে অনুষ্ঠান তাই অনেক বাচ্চা এসেছে । তারপর বাচ্চারা আরো আসতে বাকি। তখন আমার দুই মেয়ে গিয়ে আয়াতের সাথে খেলতে শুরু করলো।আসলে বাচ্চাদের খাওয়ার থেকে এই আনন্দটা অনেক বেশি । আমার মেয়ে গিয়ে বসেছিল কিন্তু আয়াত তাকে এনে খেলতে শুরু করলো। আর তখন মনে হলো সব আনন্দ বাচ্চাদের খেলার মধ্যে। তবে আয়াতের জন্মদিনের নতুন একটা গাড়ি গিফট পেয়েছে সে সেটা আমার মেয়েকে দিয়ে পুরানটা চালাচ্ছে। আমি বললাম তুমি নতুনটা নাও সে বললে না এটা রিমি নেবে।যদিও নাম ভালো করে বলতে পারে না।

1000007478.jpg

1000007502.jpg

1000007503.jpg

যাইহোক কিছুক্ষণ খেলাধুলার পর সকল বাচ্চারা যার যার জায়গায় আবার ফিরে আসলো। এখন সবাই কেক কাটার জন্য রেডি। তবে আয়াত কিছুতেই কেক কাটতে আসবে না গাড়ি রেখে । তারপর যখন আমার মেয়ে বলল আসো আমরা হ্যাপি বার্থডে করি। তখন সে দৌড়ে এসে ওদের মাঝে বসে পড়ল। তারপর সে এসেই চাকু দিয়ে কেক কেটে ফেলল।তখন সবাই অন্য দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তারপর সবাই মিলে কেক কাটা শেষ করলো।আসলে কেক কেটেই বাচ্চারা অনেক আনন্দ পেল, তাদের আর কিছু দরকার ছিল না।

1000007489.jpg

1000007505.jpg

1000007511.jpg

কেক কাটা শেষ হলে সবাই সবাইকে একটু খাওয়ায়ে দিল। আর এদিকে খিচুড়ি পায়েস আয়োজন করা হয়েছিল সবার জন্য । কেক কাটা শেষ হলেই বাচ্চারা আবার আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠলো এদিকে আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। তারপর আমি কিছু খাবার নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম ওর দাদির জন্য। খাবার রেখে আবার গিয়ে দেখি বাচ্চারা খাচ্ছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই চলে আসলাম। আসলে আয়োজন অল্প হলেও আনন্দ ছিল অনেক। এভাবেই বারবার ফিরে আসুক আয়াতের জন্মদিনের আনন্দ। সবাই আয়াতের জন্য দোয়া করবেন। আমরা সেই দিন রাতে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000003112.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  
 last year 

জন্মদিন এ দেখছি ছোটরা ভীষণ আনন্দ করতেছে। ছোটদের খুশি দেখলে একটু বেশি ভালো লাগে। কেক টা বেশ সুন্দর। সুন্দর মহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জি ভাইয়া কেকটা অনেক সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আসলে এইসব ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্মদিনে ছোটরাই সবথেকে বেশি মজা করে। খাওয়া দাওয়াটা তেমন বিশেষ কোন ফ্যাক্টর নয়। তবে আমার মনে হয় আপনার ভাতিজার ছেলে আয়াত ওই গাড়িটা গিফট পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছে। তাছাড়া আপনার বাচ্চারাও অনেক খুশি হয়েছে, সেটা তো ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম। সব মিলিয়ে আপনারা সবাই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন যা বুঝলাম।

 last year 

জি ভাইয়া বাচ্চারা খাবার থেকেও খেলনা পেলে অনেক খুশি।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

খেলনা পেলে বাচ্চারা এতো বেশি খুশি হয় যে, তারা তখন খাওয়ার কথা ই ভুলে যায়।

 last year 

আপনার ছেলে মেয়ে ও ভাতিজা ভাতিজির সবারই জন্মদিন পালন করা হয়। সবাই খুব আনন্দ উল্লাস করে। প্রায় সময় আপনার পোষ্টে তাদের ফটোগ্রাফি দেখতে পায়। আজকেও আপনার ভাতিজার ছেলের জন্মদিনের অনুভূতি পড়লাম। পান্ডার কেকটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

 last year 

আসলে ভাইয়া বাচ্চাদের জন্মদিন টুকিটাকি হলেও পালন করতে হয়, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

প্রথমেই আয়াতকে জানাচ্ছি জন্মদিনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। যাইহোক বাচ্চারা সবসময় এভাবে আনন্দ করতে ভীষণ পছন্দ করে। আপনারা গিয়ে চমৎকার ভাবে জন্মদিন উদযাপন করেছেন। ঘরোয়া ভাবে এসব আয়োজন করলে খুব ভালো লাগে। আয়াতের জন্মদিনে আপনারা গিফট দিয়েছেন, এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। সবমিলিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপনারা। দোয়া করি আয়াত যেনো এভাবেই বড় হতে পারে এবং বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 95730.82
ETH 2731.31
SBD 0.68