কর্ণ বাবুর জন্মদিন 🎂🎂🥰
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জন্মদিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
জন্মদিন প্রতিটি মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটিকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন এবং অনেক আনন্দের কিছু মুহূর্ত থাকে।আর এই আনন্দকে ভাগাভাগি করার জন্য সবাই মিলেমিশে ঘরোয়া ভাবে ছোট্ট একটি আয়োজন করা হয়েছিলো।কর্ণ বাবু আমার কাছে খুবই বিশেষ একজন মানুষ।আমার একমাত্র ননদের একমাত্র মেয়ে পিংকি ও আমার ভাগ্নী তার একমাত্র সন্তান হচ্ছে কর্ণ বাবু। আর এই সূত্রে সে হচ্ছে আমার নাতি এই জন্যই কর্ণবাবু আমার কাছে খুবই স্পেশাল একজন মানুষ।আমার খুব ইচ্ছে ছিলো ওর জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা আমার বাসায় পালন করার।কিন্তু পরে চিন্তা করে দেখলাম পিংকি অনেক দিন পর ওর বাবার বাড়িতে এসেছে যদি ওকে আমি আমার এখানে নিয়ে আসি তাহলে ওর বাবা মা মনে কষ্ট পাবে।তাই সবকিছু বাদ দিয়ে ভাবলাম ওদেরকে ছোটখাটো একটা সারপ্রাইজ দেই।
শ্যামসুন্দর কে দিয়ে একটি কেকের অর্ডার দেওয়ালাম।আমাদের যতো অনুষ্ঠান আছে তার কেক সবসময় শ্যামসুন্দর নিজে থেকেই অর্ডার করে আনে।তার কারণ হলো কেকের দোকানদার ওর পরিচিত বন্ধু সেক্ষেত্রে একটু হলেও সুবিধা পাওয়া যায়।আর আমরাও সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শ্যামসুন্দরকে দিয়েই অর্ডার করাই।অনেকদিন ধরে ইচ্ছে ছিলো আমার আর কর্ণ বাবুর একটা ছবি দিয়ে কেকটা কাস্টমাইজ করে নেবো।তাই আগের দিন রাত্রে আমার আর কর্ণ বাবুর ছবিটি শ্যামসুন্দর কে পাঠিয়ে দিলাম।শ্যামসুন্দর কে বললাম তুমি এই ছবি দিয়ে একটি কেকের অর্ডার করে দাও সাথে সাথে শ্যামসুন্দর কেকের অর্ডার করে দিলো। পরের দিন সকাল সকালেই কেকটি নিয়ে হাজির। কেকটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ঠিক যেমনটি চেয়েছিলাম তার চেয়েও অনেক ভালো হয়েছে।
দুপুরের খাবার দাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিলাম।তারপর বিকেল চারটার দিকে ননদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।যাওয়ার সময় কিছু ফল মিষ্টি বিস্কুট বেলুন ক্যান্ডেল কিনে নিলাম।তারপর ওদের ওখানে চলে গেলাম।গিয়ে দেখি ওদের ওখানে কোনো প্রস্তুতি নেই তার কারণ ওরা জন্মদিনের অনুষ্ঠান করবে না বলে চুপচাপ বসে আছে।আমি কেকটা বের করে দেওয়ার সাথে সাথে কর্ণ বাবু খুশিতে মনে হয় লাফিয়ে উঠলো ওর সে-কি উচ্ছ্বাস দেখে খুবই আনন্দিত হলাম।এটা ভেবে ভালো লাগছিলো যাক ওর বিশেষ দিনে ওকে খুশি করতে পেরেছি।
তারপর আমার দুই মেয়ে মিলে বেলুন ফুলিয়ে একটু সাজানোর চেষ্টা করলো, আর পিংকি কিছু রান্নাবান্নার আয়োজন করলো।পায়েস লুচি মুরগির মাংস পোলাও পাপড় ভাজা বেগুন ভাজা এগুলো ছিলো খাবারের আয়োজন।সন্ধ্যাবেলা বাসার আশেপাশের ছোটছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে কেক কাটা হলো তারপর সবাই মিলে কেক লুচি পায়েস খাওয়া হলো।রাতের বেলা সবাই মিলে পোলাও মাংস খেয়ে আমি আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।তারপর ভালোভাবে বাসায় পৌঁছে গেলাম।খুব বড়সড় কোনো আয়োজন না হলেও ঘরোয়া ভাবে সবাই মিলে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছি।আর কর্ণ বাবু সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে এটাই হলো সবচেয়ে বড় পাওয়া।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার পরবর্তী সময়ে দেখা হবে অন্য কোনো নতুন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
OR
প্রথমে আমার পক্ষ থেকে জানাই কর্ণ বাবুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রত্যেক বছরে বাবুর জীবনে জন্মদিনের এই দিনটি ফিরে আসুক এই কামনাই করি। আপনার ভাগ্নের একমাত্র সন্তান কর্ণ বাবু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যাইহোক দাদার পছন্দের কেকটি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। আর এভাবে সারপ্রাইজ দেওয়াতে বাচ্চাটিও খুব খুশি হয়েছে। মনে করি যে আপনাদের এই দিনটি খুব আনন্দের সহিত কাটিয়েছিলেন। আসলে কেকটির ক্রেডিট কাকে দেবো তা ভেবে উঠতে পারছি না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দাদা কেক টি পেয়ে বাচ্চাটা খুবই খুশি হয়েছিলো।শ্যামসুন্দর কেই ক্রেডিট দিতে চাই কারণ ও না থাকলে হয়তো বা আমার পরিকল্পনা টা বাস্তবায়ন হতো না।ধন্যবাদ দাদা।
কর্ন বাবুর জন্মদিনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাচ্ছি। সারাদিন অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করেছেন এবং দিনশেষে তার জন্য জন্মদিন উদযাপন করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া কর্ণ বাবুকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় কেটেছিলো।তারপর সবাই মিলে কর্ণ বাবুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান টি ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছি।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।🙏🥰
কর্ণ বাবুর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। আপনি ঠিকই বলেছেন দিদিভাই, জন্মদিন প্রতিটি মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আর তাইতো আপনার ভাগ্নির ছেলে কর্নের জন্মদিন টাকে স্মরণীয় করে রাখতে খুব সুন্দর আয়োজন করেছেন। বিশেষ করে শ্যামসুন্দর ভাইয়ের অর্ডার করা কেকটি জন্মদিনের আয়োজনটাকে আরও আনন্দমুখর করে তুলেছিল। কেননা কেকটি দেখতে খুব খুব সুন্দর হয়েছে। এজন্য অবশ্যই শ্যামসুন্দর ভাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেওয়া যেতেই পারে। যাই হোক দিদিভাই, কর্ণ বাবুর জন্মদিনে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শ্যামসুন্দরের অর্ডার করা কেকেটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে আরও বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত তৈরি করে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই জন্মদিনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি কর্ণ বাবু অর্থাৎ আপনার নাতিকে। জন্মদিনের অনুষ্ঠান ঘরোয়া ভাবে করলেই খুব ভালো লাগে। আপনারা যদি না যেতেন, তাহলে তো তাদের অনুষ্ঠান করাই হতো না। তারা একেবারে সারপ্রাইজড হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা কর্ণ বাবু ভীষণ খুশি হয়েছে। কর্ণ বাবু তো দেখছি খুবই কিউট। সবমিলিয়ে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া আমরা না গেলে হয়তো সত্যিই জন্মদিনের অনুষ্ঠান করাই হতো না।সত্যিই কর্ণ বাবু সত্যিই অনেক কিউট।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ জন্মদিন কর্ণ।কর্ণের জন্মদিন খুব সুন্দর ভাবে পালন করেছেন দেখছি।আসলে মেয়েরা বাবার বাড়িতে আসেই মা,বাবার সাথে সময় কাটানোর জন্য আর মা,বাবাও চায় মেয়ে নাতি,নাতনি কাছে কাছে থাকুন। আপনি খুব ভালো করেছেন আপনার বাসায় না এনে ওদের ওখানেই আয়োজন করে।তাতে করে সবাই ভীষণ খুশি হয়েছে। কেকটি ভীষণ চমৎকার হয়েছে। সত্যি শ্যামসুন্দরের পরিচিত দোকানটি গুনে মানে সেরা কেক বানিয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক তাই মেয়েরা কয়টা দিন শান্তির জন্য মা-বাবার বাড়িতে আসে।আর সেজন্যই আমি পিংকি কে আমার বাসায় নিয়ে আসতে পারিনি।তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নাতির জন্মদিনে ওকে দারুণ একটা স্মৃতি উপহার দিয়েচগো দিদিভাই। এমন দারুণ কাস্টমাইজড কেক দেখলে তো খুশিতে লাফিয়ে উঠার কথা! বাচ্চারা আসলে জন্মদিনকে কেন্দ্র করে বেশ এক্সাইটেড থাকে। আর যেখানে এভাবে জন্মদিন পালন করার ই প্ল্যান ছিলো না, সেখানে এমন দারুণ একটি কেক আর এভাবে সাজিয়ে সেলিব্রেশনে কর্ণ বাবু ভীষণ খুশি হয়েছে। এভাবেই সকলের দিকে নজর রেখো সবসময়। সকলকে নিয়ে ভালো থাকো।
নাতি বলে কথা সারপ্রাইজ দিতেই তো হবে😁সেরকম ভাবে কিছু করার প্ল্যান ছিলো না,আমরা যাওয়াতে ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো।সবসময়ই সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করি মনা বাকিটা ভগবান ভরসা।🙏ধন্যবাদ মনা।