ভিক্ষাবৃত্তি যেনো দারুণ ব্যবসা!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
কয়েকদিন আগে একটি কনটেন্ট দেখলাম যে কনটেন্ট টা দেখে আসলে আমি বেশ অনেকটাই অবাক হয়েছি। কারণ গুলশানের মতো একটি এরিয়াতে যে ভিত্তা ব্যবসা হতে পারে। সেটা আমার জানাই ছিলো না এবং সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো। একজন একেবারে প্রমাণ সহকারে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছে। যেখানে আসলে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ভিক্ষুকরাই আসল অর্থের ভিক্ষুক নয়।
অর্থাৎ তারা শুধুমাত্র এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। এবং একজন ভিক্ষুকের স্টেটমেন্ট দেখে আমি আরো বেশি অবাক হয়েছি। অর্থাৎ সেই ভিক্ষুকটা আসল অর্থই ভিক্ষুক ছিলো এবং সে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে না বলেই শুধুমাত্র ভিক্ষাবৃত্তির মতো একটি পেশা বেছে নিয়েছে।
তার বক্তব্য আসলে যেটা ছিলো।সেটা হচ্ছে, তার আশেপাশে এমন অনেক ভিক্ষুক রয়েছে। তারা একেবারে বিভিন্ন অসুস্থতার ভান ধরে। অর্থাৎ হাত ভাঙ্গা, পা ভাঙ্গা কিংবা মানসিক সমস্যা। এসব কিন্তু আসলে তাদের এই ধরনের কোনো সমস্যাই নেই। আর তার চেয়েও ভয়ংকর এবং কষ্টের ব্যাপার হলো-সাধারণ মানুষজন অর্থাৎ যারা রাস্তায় চলাচল করে। তারা ওই যে যারা ভান ধরে থাকে। তাদেরকে বেশি ভিক্ষা দেয়। কারণ তাদেরকেই দেখতে বেশি করুনা হয়, যেহেতু তারা আসলে এক্টিং করে।
তাহলে আপনারাই চিন্তা করুন যে, আমরা আমাদের কষ্টের টাকাগুলো কিছু ব্যবসায়ী ভিক্ষুকদের কাছেই দিয়ে ফেলি। আসলে তাদের দেখে কিন্তু বুঝার কোনো উপায় নেই যে কারা ভান করে রয়েছে, আর কারা সত্যিকার অর্থে needy মানুষ। আমরা আসলে এমন একটা সময় চলে এসেছি যে, কাকে যে বিশ্বাস করবো সেটাই ভেবে উঠতে পারছি না। আর এটাকে যে ব্যবসা বানিয়ে ফেলা যায়। সেটা দেখতেও বেশ অবাক হই। কিন্তু দিনশেষে এটাই সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার যে, যাদের দুমুঠো খাবারের দরকার রয়েছে। তারাই সেই খাবার থেকে বঞ্চিত হয়। তাই আমি মনে করি টাকা দেওয়ার চেয়ে মানুষকে প্রয়োজনীয় কোনো কিছু দিয়েই সাহায্য করা উচিত।
পুঁজি ছাড়া ব্যবসা হচ্ছে ভিক্ষা। বর্তমানে ভিক্ষা অভাবে নয় স্বভাবে করে থাকে। ভিক্ষাবৃত্তি দারুন একটি ব্যবসা পরিণত হয়েছে। ভিক্ষা করার কৌশল নিয়ে বর্তমানে কোর্স করানো হয়। আপনি সুন্দরভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে যারা রাস্তা ঘাটে ভিক্ষা করে, তাদের বেশিরভাগই এক্টিং করে। তাদের জন্য প্রকৃতপক্ষে যারা অসহায়, তারা বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু কিছু মা বাবা ভিক্ষা করার জন্য নিজের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। বাটপারি করার কতো যে কৌশল রয়েছে,তাদেরকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।