গল্প: আবিষ্কার ( চতুর্থ পর্ব) শেষ পর্ব
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও ভালো আছি। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি গল্পের শেষ পর্ব শেয়ার করব । গল্পটির নাম হল " আবিষ্কার "। |
---|
ইতোমধ্যে পুনাম, সৌরভ, পুলিন স্ট্রপরেঞ্জ এর কক্ষপথে প্রবেশ করল। আর মাত্র ১০ সেকেন্ড বাকি তারপরই মিশুক ও হ্যারিনকে আস্ত পাওয়া যাবে না। এটা হ্যারিন তাদেরকে যোগাযোগ মডিউল দিয়ে জানিয়ে দিল। ৮ সেকেন্ডের মাথায় তারা এয়ার প্যাডে ল্যান্ড করল। তারপর মিশুক ও হ্যারিনের ঘরে ঢুকল। আর মাত্র ৬ সেকেন্ড।
পুনাম হ্যারিন ও মিশুকের পেটের বাম পাশে ছুরি ঢুকিয়ে দিল। নীরবে সহ্য করল তারা। সৌরভ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। তৎক্ষণাৎ পুনাম ছুরি দিয়ে ক্যাপসুল বোমাটি টেনে এনে দূরে ফেলে দিল। কিন্তু দেরী করে ফেলল পুনাম। যখন মাত্র ১ সেকেন্ড বাকি তখন বোমাটি বের করে আনল পুনাম। হাতের উপর বোমাটি বাস্ট হল। শুধু মাত্র চিৎকার। তারপরই পুনামের সারা শরীর কুকড়ে যেতে লাগল। হাড়, মাংস, রগ সব প্রচন্ড তাপে গলে বাইরে বেরিয়ে যেতে লাগল । এ দৃশ্য দেখে মিশুক চিৎকার করে উঠল। মুহুর্তে তারা ডেড বড়ি নিয়ে ১টি শক্তিশালী টাইমবোম ফিট করে স্ট্রপরেঞ্জ থেকে বিদায় নিল। মাত্র চার সেকেন্ডের মাথায় পুরো স্ট্রপরেঞ্জ খন্ড বিখন্ড হয়ে গেল।
সকাল ৮টা বেজে ৩০ মিনিট। "লিক্স" এর সদস্যরা ফিরল ১০ সেকেন্ডে। এখন তারা পাঁচজন না চারজন। অন্য একজনও ফিরে এসেছে, তবে অন্য বেশে। তারা চারজন জিমসটার পাশে এসে দাঁড়ালো।
হ্যারিন : এটাই কি সেই জিমস যার কারণে পুনাম আজ আমাদের পাশে নেই? সৌরভ: হ্যাঁ। এটাই সেই জিমস।
হ্যারিন : যে জিমসের জন্য আমাদের পুনামকে হারাতে হল সেই জিমসের কোন দরকার নেই। এই বলে কারও কিছু বলার আগেই সে জিমসটাকে নষ্ট করে ফেলল।
এখনও যদি কেউ উত্তর আমেরিকার আলবার্টায় যায় তবে সে শহরের প্রবেশ মুখেই দেখতে পাবে একটি শ্বেত পাথরের কবর।