বটগাছের রহস্য
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং
এই মাজার শরীফে যার নাম অনুসরণ করে পালন করা হয়, তার নাম হচ্ছে কুতুব উদ্দিন।তার নাম অনুসরণ করেই এলাকার নাম ও কুতুবপুর রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তার নাম অনুসরণ করে সেখানকার একটি ইউনিয়ন এর নাম কুতুবপুর ইউনিয়ন রাখা হয়েছে। এগুলো সম্পুর্ন কুতুব উদ্দিন এর নামে রাখা হয়েছিল। কুতুব উদ্দিন মুলত হঠাৎ একদিন নাগেরহাট এলাকার একটি বটগাছের মধ্যে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন এলাকার মানুষ এসে তার সাথে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিচিত হওয়ার পর এলাকার লোকজন জানতে পারেন সে একজন বিশাল পান্ডিত্য জ্ঞানের অধিকারী। পরবর্তীতে তাকে এলাকার মানুষ বট গাছের নিচে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। কুতুব উদ্দিন সেখানে থেকেই এলাকার মানুষ দের কে শাসন করেছিলেন, অবশেষে এক পর্যায়ে সে সেখানেই মৃত্যু বরণ করেন ।তার মাজার শরীফ বট গাছের নিচেই করা হয়েছে। কুতুব উদ্দিন হিন্দু ও মুসলিমদের কে কখনো ভাগ করে দেন নি।সে উভয় সম্প্রদায়ের লোকদের কে সমান চোখে দেখেছিলেন।
এখন প্রতি বছর তাকে স্মরণ করার জন্য এলাকার হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোক মিলিত হয়ে একটি ওরশ শরীফের আয়োজন করে।আর এই ওরশ শরীফের মধ্যে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায় একত্র হয়ে বট গাছের চারদিকে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাকে স্মরণ করার চেষ্টা করে। এটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাদের ন্যায়পরায়তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।আর এই ওরশ শরীফটি রাতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।আর সারারাত এই ওরশ শরীফের কার্যক্রম চলতে থাকে।
আপনারা বট গাছ টি দেখলে বুঝতে পারবেন এটি একটি পুরনো বট গাছ। অনেকেই ধারণা করেছেন এই বটগাছের বয়স প্রায় তিনশ' বছর হবে। তবে বর্তমানে এই বট গাছ টি সংরক্ষণ করে রেখেছে। হয়তো এই বট গাছ আরো যুগ যুগ ধরে এরকম থাকবে।বট গাছ পুরনো হলেও এর সৌন্দর্য অনেক সুন্দর। অনেকেই দুর দূরান্ত থেকে এই বট গাছ টি দেখার জন্য ছুটে চলে আসে। তবে এই বট গাছ টি দেখার মতো। আমি প্রথম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।বট গাছের পাতা গুলো খুবই সুন্দর।
অনেকেই অনেক দূর দূরান্ত থেকে এই ওরশ মাহফিলে চলে আসে। কুতুব উদ্দিন মানুষ টি মনে হয় খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন, সেজন্য তার এতো গুলো ভক্ত। আমার দেখা সব থেকে একটি মাজার শরীফ কুতুব বাবার দরগাহ। অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে মোমবাতি নিয়ে এসে এই গাছের মধ্যে জালিয়ে দিচ্ছেন। এই দৃশ্য টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।এই মাজার শরীফের দিনে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে একটি অন্যরকম আনন্দ থাকে।তারা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এক হয়ে এই দিনটি পালন করে। আবার রাতের শেষ প্রহরে মিলাদের মাধ্যমে সকল দর্শনার্থীদের কে কিছু পরিমাণ তবারক দেয়ার চেষ্টা করে। এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কেননা অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে চলে আসে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
৩০০ বছরের পুরনো বটগাছ মানে তো অনেক দিনের কথা ভাই। এটা সত্যি বলেছেন ভাই ঔরস মাহফিলে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ লক্ষ্য করা যায়। নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি অনেক জ্ঞানী ছিল তাই তার নামেই সব কিছু হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া প্রচুর পরিমাণ মানুষের সমাগম হয়েছিল এই ওরশ শরীফের মধ্যে। আমরা বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছি এই ওরশ শরীফের মধ্যে। আমার দেখা সেরা একটি ওরশ শরীফ।
বেশ তথ্য বহন করেছেন আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্যে। পুরাতন একটি বটগাছ এবং কুতুবের নাম অনুসারে স্থানের নাম ঠিক এভাবেই মাজার শরীফ আর সেখানে মানুষের সমাগম। ঠিক এমনই একটা জায়গা আমাদের এখানেও নির্মিত হয়ে গেছে। তবে এগুলো থেকে আমি অনেক দূরে থাকার চেষ্টা করি। তবে যেটাই হোক না কেন ভাই খুব সুন্দর তথ্য বহন করেছেন এই পোস্টের মাঝে। অজানা কিছু জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আমার।
জী ভাইয়া আমি বিভিন্ন মানুষের কাছে বেশ কিছু তথ্য শুনে নিয়েছি এবং তা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আপনার মন্তব্য টি পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই ওরসের কথা অনেকবার শুনেছি। তবে আজকে প্রথমবার আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিষয়টা সম্পর্কে ভালোভাবে জানলাম। যদিও জানিনা এসব করাটা আসলে ঠিক কিনা। তবে আসলে মানুষের বিশ্বাসের উপর কোনো কিছু নেই। ভালো লাগলো আপনার ব্লগটি পড়ে।
আসলে এই জায়গার ওরশ শরীফের মাজার সম্পর্কে অনেকেই জানে এবং দেখতে আসে। তবে এটি করা ঠিক কি না সেটা আমিও তেমন একটা জানি না। যাইহোক আমার কাছে ওরশ শরীফের সব কিছু আয়োজন অনেক বেশি ভালো লেগেছে।