জীবন ও জীবিকা
মানুষ মরণশীল। প্রতিটি মানুষকে একদিন না একদিন মরতেই হবে-এটাই চরম সত্য। কিন্তু মরার আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্য মানুষের খাদ্য থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার প্রয়োজন হয়। আর বেঁচে থাকার জন্য এবং এই চাহিদা সমূহ পূরণের জন্য মানুষকে জীবিকা অর্জন করতে হয়। সুতরাং জীবনের লক্ষে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজ করতে হয়।
প্রতিটি মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় ঘরোয়া কাজ সম্পন্ন করে বেরিয়ে পড়ে তাদের নিজ নিজ পেশায়। শ্রমজীবী,বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল পেশার মানুষ তাদের নিজ নিজ পেশায় জীবিকার তাগিদে ছুটে চলে। সারাটা দিন জুড়ে সবাই সবার কার্য সম্পন্ন করে। নিজ নিজ কাজ শেষে সবাই আবার ঘরে ফিরে আসে। বেঁচে থাকার জন্য কাজ করা অত্যাবশ্যক। অলস ভাবে সারাটা দিন শুয়ে বসে থাকলে নিজ মন থেকেই খারাপ লাগা কাজ করে। কর্মের মধ্যে সকল সুখ নিহিত রয়েছে। একজন মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দরকার হয়। কাজ কর্ম না করলে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় আহার্য জোগাড় করতে পারবেনা। আর প্রয়োজনীয় আহার্য সামগ্রী গ্রহণ না করলে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব। সুতরাং আমরা সহজেই একটি বিষয় অনুধাবন করতে পারছি যে, জীবনের তাগিদেই মানুষের জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলতে হয়। অর্থাৎ জীবন ও জীবিকা একে অপরের পরিপূরক।
জীবন ও জীবিকা পরস্পর পরিপূরক। তাই একটি ছাড়া অপরটি সম্ভব নয়। অর্থাৎ জীবনে বেঁচে থাকতে হলে জীবিকা অর্জনের জন্য ছুটে চলতেই হবে। সুতরাং প্রত্যেক মানুষের উচিত তাদের নিজ নিজ কর্মের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে নেয়া। আর দিনশেষে সেই সকল মানুষজন সুখে দেখতে পেরেছে যারা তাদের কর্মব্যস্তময় জীবনের মধ্যেই প্রশান্তি খুঁজে নিয়েছে।
ভালো লিখেছো ভাই ।শুভেচ্ছা রইল তোমার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালো লিখেছেন ভাইয়া।শুভকামনা রইলো।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।