মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার
বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ছোট ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের লোকজন মোবাইল ব্যবহার করছে। ছেলেমেয়েদের কাছে মোবাইল ফোন ছাড়া একদিনও অতিবাহিত করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
মোবাইল ফোন অনেক উপকারী একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। যেকোনো মুহূর্তে দেশের যেকোন প্রান্তে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে এই যন্ত্রের সাহায্যে। যার ফলে মানবজীবনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর অপরিহার্যতা রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসের ইতিবাচক প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনে আবার রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব ও। সুতরাং মোবাইল ফোনের ও যে নেতিবাচক প্রভাব থাকবে না তা কি করে হয়। বর্তমানে মোবাইল ফোন গুলো আপডেট হতে হতে এমন পর্যায়ে চলে এসেছে যে এই ফোন গুলোতে যেকোনো ধরনের গেমস খেলা যাচ্ছে এবং ভিডিও দেখা যাচ্ছে। অপরিণত ছেলেমেয়েরা মোবাইল হাতে পেলে তারা সারাদিন গেলি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা অতিরিক্ত গেম খেলতে খেলতে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে এটি তাদের নেশার মতো হয়ে গেছে। তাদের কাছ থেকে যদি একদিনের জন্য ফোন নিয়ে নেয়া হয় তাহলে তারা অস্থির হয়ে পড়ে। আবার অপরিণত বয়সে ফোন ব্যবহার করায়,ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখছে। আবার ইউটিউব কিংবা ফেসবুকেও বিনা কারণে সারাদিন সময় ব্যয় করে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। যার ফলে ছেলেগুলো বখে যাচ্ছে।
মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তাদের সন্তানদের অপরিণত বয়সে ফোন হাতে দেয়া যাবে না। সন্তানদেরকে সংস্কৃতি চর্চা এবং ধর্মীয় কার্যকলাপে ব্যস্ত রাখতে হবে। তাহলে তারা তাদের ভালো-মন্দ বুঝতে শিখবে।
আসলে আমি আপনার সাথে একমত যে অভিভাবকদের সচেতনতা তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। কারণ অভিভাবকরা যদি মোবাইল ফোন হাতে তুলে না দেন তাহলে মোবাইল ফোন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এখন বাচ্চাদের নেশার মতো হয়ে গিয়েছে।বাচ্চাদের মানসিকভাবে মোবাইল ফোন প্রভাব বিস্তার করছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।