কোচিং সেন্টারগুলো যখন হয়ে ওঠে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
আমাদের দেশে সেই ছোটবেলা থেকে একটি সন্তানের পড়াশোনার জন্য বাবা-মা রা খুব সচেতন থাকে। তাদের পড়াশোনার যাদের কোন কমতি না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। প্রয়োজনে সন্তানদের পেছনে একাধিক টিউশন টিচার এবং কোচিং সেন্টার গুলোতেও ভর্তি করে দেয়।
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক এর পড়াশোনায় সন্তানদের কোচিং এ ভর্তি না করে এ সময় শিক্ষকদের কাছেই পড়াশোনার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। এ সময় প্রতিটি ছেলে মেয়ে স্কুল কিংবা কলেজে পড়ার পাশাপাশি দুই বা ততোধিক প্রাইভেট পড়ে থাকেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে সবার ইচ্ছা থাকে কোন একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাওয়া। ছেলেমেয়েদের মেডিকেল, ভার্সিটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা কাজ করে। এই দুর্বলতার সুযোগে কোচিং সেন্টারগুলো শুরু করে দেয় তাদের ব্যবসা। গতবছরে যে সকল শিক্ষার্থীরা এসব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রথম দিকে থাকে তাদের নাম দিয়ে লিফলেট ছাপায়। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কোচিং সেন্টার যদি তাদের নিয়ে বিজ্ঞাপন করত তাহলে হয়তো বা বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া যেত, কিন্তু তা হয় না। দেশের যতগুলো বিখ্যাত কোচিং সেন্টার রয়েছে সেই সবগুলো কোচিং তাদের নামে লিফলেট তৈরি করে ওই লিফলেটগুলো বর্তমান ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি করে তোলে। ফলে কোচিং সেন্টারগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের মনের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কোচিং গুলো তাদের ব্যবসায়িক ফায়দা ঢুকিয়ে নেয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো অন্ধ হাফেজের মত বইয়ের পড়া গুলো শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়। এটাকে বলা যায় এক প্রকার বিদ্যা বেচে খাওয়া। কোচিং সেন্টার গুলোর এই ট্রেন্ড দূর করা প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের সশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার বিষয়টির ওপর জোর দেয়া উচিত।
একই শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের দুটি স্বনামধন্য কোচিংয়ের বিজ্ঞাপন
শিক্ষা এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা। এবং কোচিং সেন্টার গুলো তো ব্যবসা প্রতিষ্টানে। মেডিকেল বা বুয়েটে যে প্রথম হয় তাকে নিয়ে সব কোচিং সেন্টার লিফলেট ছাপিয়ে বলে আমাদের কোচিং থেকে এরকম সাফল্য পেয়েছে। কী একটা অবস্থা। খুব সুন্দর একটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
🙂🙂
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। আসলে কোচিং সেন্টার নামের শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ হওয়া উচিত। এই কোচিং সেন্টারগুলোর কারণে শিক্ষকেরা ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পরানো প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে। শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড। সেই শিক্ষা যখন ব্যবসায়িক পণ্য বানানো হয় তখন সেই মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অধিকাংশ কোচিং সেন্টারগুলি ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেক টাকা আয় করে, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।